আমার কথা শুনিতে খারাপ লাগে তাদের..., যারা অন্যের গৌরবে গর্ভবতী আগে থেকেই। সে গর্ভবতী নর নারীদের বমি হইবার সম্ভবনা শত ভাগ। তাই সাবধানে..... :) http://shonarbangla-blog.blogspot.com/
নিচের লেখাটা পড়ে বলুন গত ১৫ /২০ বছর ধরে এমন শহরে(ঢাকায়) আমাদের দুই জন মহিলা প্রধানমন্ত্রী বাস করেছে। অনেকের কাছে নেত্রী হাসিনা খালেদা পুজাময় আবার রাতের হাসিনা খালেদা ভোগের!! নারী অধিকারের নামে কিছু কিছু এনজিও অভাবী নারীদের দিয়ে কি যৌন ব্যবসায় লিপ্ত? বা তাদের কে উৎসাহ দেয় কি? লজ্জার বিষয় হলো গত ১৫/২০ টা বছর এই দেশের রাষ্ট্র প্রধান দুইজন মহিলা! তারা হজ্বে যায়! নেতারা মন্দিরে দিনের বেলায় পুজা দেয় কুমারীর, রাতে তারা এবং তাদের শীর্ষ্যোরা কুমারী যৌন কর্মী খুজে বেড়ায়! মানবতাবাদীরা অধিকারের কথা বলে আবার এই বাংলার নারীদের কে যৌন ব্যবসায় যাইতে উদার মনার পরিচয় দেয়। স্বাধীন দেহ ব্যবসা নিয়া চুল পাকায় দুই চার খান লালু সালু রচনা করে রাতের সরাবে বুদ হয়ে।
আবার তারা ইতিহাস পড়ায় জানো ৭১রে আমাদের মা বোন দের পাকিরা ধর্ষন করেছে লাইনে দাঁড়িয়ে। তারা না হয় দেশের জন্য নিজেদের স্বত্তা দান করেছে। আমরা তাদের ত্যাগের কাছে নত আজন্ম। আবার সেই স্বাধীন দেশের মা বোনদের স্বদেশীয় মনুষ্যত্বহীন কুকুর কাছে দিনের মহলে; রাতের জোৎস্নার আলোয় বিক্রি হতে দেখে লজ্জা করে না? নাকি এতে প্রগতির জোৎস্নার আলো উপচাইয়া উপচাইয়া পরে? আমি দুঃখিত এ ধরনের প্রগতিতে মোর ঘৃণা।
রাতের ঢাকা: হাতে মোবাইল ফোন, কড়া মেকআপ
পারফিউমের গন্ধ ছড়িয়ে অপেক্ষা
কাফি কামাল: বট গাছের আলো-আঁধারির মধ্যে পুলিশের সঙ্গে যৌনকর্মীদের জমজমাট আড্ডা।
আরেক জায়গায় মোবাইল ফোনে খদ্দেরের সঙ্গে দীর্ঘ সময় দর কষাকষি। যৌনকর্মীর সাবধানবাণী ‘ভাই, চলে যান ওরা ছিনতাইকারী, পকেটে ক্ষুর আছে। ’ এ হচ্ছে রাজধানীর রাতের খণ্ডচিত্র। রাতের ঢাকার আসল চেহারা। দিনভর পরিশ্রমে ক্লান্ত ঢাকাবাসী যখন ঘুমিয়ে পড়ে তখন রাজপথের মোড়-বাঁকে জেগে থাকে কিছু মানুষ।
তারাই জমিয়ে তোলে অন্যরকম এক সাম্রাজ্য। গড়ে দেয় রাজধানীর রাত-দিনের পার্থক্য। উগ্র সাজগোজ, হাতে মোবাইল ফোন, কড়া মেকআপ ও পারফিউমের গন্ধ ছড়িয়ে মাদকতা ছড়ানো চোখে খদ্দেরের জন্য অপেক্ষা করে নিশিপরী। পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় ছুড়ে দেয় নানা মন্তব্য আর করে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি। তাদের আশপাশেই ঘুরঘুর করতে থাকে রিকশা, ধীরগতিতে চালানো ট্যাক্সিক্যাব ও সিএনজি ট্যাক্সি।
নিরাপদ সুযোগ-সুবিধার লোভ দেখিয়ে নানা কণ্ঠে আর আকারে-ইঙ্গিতে হাঁক দেয় চলাচলরত লোকজনের উদ্দেশে। কিছু অভিজাত যৌনকর্মীকে দেখা যায় হঠাৎ পাশে এসে দাঁড়ানো দামি গাড়ি বা মোটরসাইকেলের পেছনে চড়ে বসতে। আবাসিক হোটেলগুলোর সামনেই সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ে নিশিপরীদের আনাগোনা। দেখা যায় কারও বগলদাবা হয়ে হোটেলে ঢুকতে বা দ্রুত বেরিয়ে যেতে। রাত গভীর হলেই রাজধানীর ফার্মগেট থেকে রমনা-হাইকোর্ট পর্যন্ত অর্ধশতাধিক স্পটে বসে মাদকবিক্রেতা ও যৌনকর্মীদের মেলা।
সারারাত ফার্মগেটের চারটি ওভারব্রিজ, খেজুরবাগান, ইন্দিরা রোড, খামারবাড়ি, তেজকুনি পাড়ার মোড়, এফডিসি, কাওরানবাজার মোড়, বাংলামোটর মোড়, মন্ত্রিপাড়া, সবজিবাগান, শেরাটন মোড়, রমনা ওভারব্রিজ, হাইকোর্ট চত্বর, শিশুপার্কসহ ওইসব স্পটের নিয়ন্ত্রণ চলে যায় মাদকসেবী, মাদক বিক্রেতা আর যৌনকর্মীদের দখলে। রাত ১২টা থেকে ভোর চারটা পর্যন্ত ফার্মগেট থেকে রমনার ওসব স্পটে কিছু দূর পর পর দেখা যায় যৌনকর্মী ও নানা বয়সী খদ্দেরের জটলা। এলাকাভেদে বিভিন্ন শ্রেণী ও দরদামের এসব যৌনকর্মীর কেউ কেউ আবার বিভিন্ন এনজিও কর্মী বলে পরিচয় দেয়। ওভারব্রিজ, আন্ডারপাসসহ পার্কগুলোতে যৌনকর্মীদের পাশাপাশি সতর্ক দৃষ্টিতে আসর জমিয়ে তোলে মাদকসেবী ও বিক্রেতারা। সক্রিয় হয়ে ওঠে ছিনতাইকারী ও ছিঁচকে মাস্তানরা।
অতি আগ্রহ দেখালেই তেড়ে আসে। আশপাশে থাকা টহল পুলিশও হয়ে পড়ে সে সাম্রাজ্যের অংশীদার। কোথাও আবার দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাকে ঘিরেই জমে ওঠে আড্ডা। আড্ডা জমে ওইসব স্পটের একাধিক চায়ের স্টলেও। নানা বয়সী লোকজন স্টলের টেলিভিশনে বিভিন্ন ছবি দেখতে দেখতে নানা বিষয়ে আড্ডা মারছেন।
আড্ডারত পুলিশের সামনে ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটলেও তারা হয়ে পড়ে নীরব দর্শক। রাস্তায় রাস্তায় পুলিশের অস্থায়ী চেকপোস্টে দায়িত্বরত পুলিশদের মাদক ও যৌনকর্মীদের চেয়ে পণ্যবোঝাই ট্রাক থামাতেই বেশি আগ্রহী দেখা গেছে। বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর ফার্মগেট, কাওরানবাজার, রমনা এলাকা ঘুরে এ চিত্র দেখা গেছে। রাত সাড়ে ১২টার সময় ফার্মগেটে ছাউনি দেয়া ওভারব্রিজের কোণায় এক আদিবাসী মেয়েসহ কয়েকজন তরুণীকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেল। কড়া পারফিউম আর মেকআপ করা এসব তরুণীর সঙ্গে কথা বলছে তরুণ থেকে বিভিন্ন বয়সী খদ্দের।
ফার্মগেট থেকে কাওরানবাজার, এফডিসি এলাকায় একাধিক যৌনকর্মীকে দেখা গেল মোবাইল ফোনে দীর্ঘ সময় কথা বলতে। কথা বলতে বলতেই ট্রাকে ওঠে গেল একটি মেয়ে। ছবি তুলতে গেলেই এক যৌনকর্মী মুখ ঢেকে নিয়ে বলে- ছবি তুলে তো ব্যবসা করবেন। ১০ টাকা তো সাহায্য করবেন না। চোখের সামনেই দুই তরুণীকে নিয়ে কয়েকজন রিকশায় চড়ে গ্রিন রোডের দিকে চলে যেতে দেখা গেল।
আনন্দ সিনেমার সামনে খদ্দেরের জন্য অপেক্ষা করছিল কয়েকজন। তাদের একজনের কাছে জানতে চাইলে বললো, আশপাশেই তাদের থাকার সুবিধা আছে। আশপাশেই রিকশা বা সিএনজি ট্যাক্সি দাঁড়ানো। কাউকে এলোমেলো হাঁটতে দেখলেই ধীরগতির ট্যাক্সিক্যাব ও সিএনজি ট্যাক্সি চালকরা উঁকি দিয়ে বলে, লাগবে ওস্তাদ। চলে যান, কোন সমস্যা নাই।
একই রকম কাওরানবাজার, মন্ত্রিপাড়ায় ধীরগতিতে চালানো ট্যাক্সিক্যাব নিয়ে চালকদের একই কথা বলতে শোনা গেছে। রাত আড়াইটার সময় ফার্মগেট আনন্দ সিনেমার সামনে যখন একটি ট্যাক্সিক্যাব থেকে তিনজন তরুণী নেমে পাশের একটি হোটেলে ঢুকছিল তখন অদূরে দাঁড়িয়ে ছিলেন সৌম্যদর্শন এক ব্যক্তি। এক তরুণী মুচকি হেসে তাকে হাতের ইশারা করেই ভেতরে ঢুকলে সৌম্যদর্শন ব্যক্তিও পাশের নিউ স্টার হোটেলে ঢুকে পড়েন। একটু পর ফার্মগেট ছাউনি ওভারব্রিজের পূর্বদিক থেকে দুইজন, পশ্চিম দিক থেকে তিনজন যুবককে ওভারব্রিজে উঠতে দেখা গেল। তাদের পিছু নিয়ে ব্রিজে উঠেই দেখা গেল হাতে পোঁটলা টানাটানি করছে।
একজন মোবাইল ফোনে দেরি হওয়ার জন্য সমানে গালাগালি করছিল। অদূরেই দাঁড়িয়ে আছে পুলিশ ভ্যান। ছবি তুলতে গেলেই তেড়ে আসে ফার্মগেট ওভারব্রিজের ওপর মাদকসেবীরা। টানাটানি করে ক্যামেরা নিয়ে। একজন ফোনে কাউকে জানায়- ভাই সাংবাদিক আইছে।
আমাদের ছবি তুলতেছে। আরেকজন বলে, আমাগো ভাইবেরাদর আছে, ছবি তুলে কিছু হবে না। ঝামেলা করলে খবর কইরা দিমু। এ সময় সিভিল ড্রেসের টহল পুলিশের গাড়ি দেখেই দ্রুত ওভারব্রিজ থেকে নেমে পালিয়ে যায় মাদকসেবীরা। কিছুক্ষণ পর ক্যামেরা হাতে ফার্মগেটের আরেকটি ওভারব্রিজে উঠতেই পুলিশ হুইসেল দিয়ে টহল হম্বিতম্বি শুরু করলো।
ওদিকে ব্রিজের উপর জড়ো হওয়া পাঁচজন পশ্চিম দিকে নেমেই দ্রুত আনন্দ সিনেমা হলের দিকে ছুটে গেল। আরও কিছুক্ষণ পর ফার্মগেট বড় ওভারব্রিজে উঠতে গেলেই পাশে অপেক্ষাকারী জানতে চায়, কি দরকার। সতর্ক করে- ওদিকে যাইয়েন না। রাত দুইটায় এফডিসি’র সামনে দেখা গেল অপেক্ষা করছে ভাল সাজগোজের কয়েকজন যৌনকর্মীকে। সোয়া দুইটার সময় হঠাৎ একটি দামি গাড়ি থামতেই দ্রুত দুই যৌনকর্মী গাড়িতে চড়ে বসল।
একইভাবে মোটরবাইকের পেছনে তরুণীদের নিয়ে দ্রুতগতিতে বিভিন্ন দিকে ছুটে যেতে দেখা গেল। মিন্টু রোডের পেছনেই সবজিবাগান এলাকায় কয়েকজন যৌনকর্মীকে দেখে এগিয়ে যেতেই পালিয়ে যেতে দেখা গেল এক খদ্দেরকে। অপ্রস্তুত অবস্থায় ছবি তুলতেই এক যৌনকর্মী তেড়ে এসে গালাগালি শুরু করল। সে পাশেই দাঁড়ানো কয়েকজন খদ্দেরের দিকে ইঙ্গিত করে বলল- পারলে ওদের ছবি তোলেন। ওই সময় সবজিবাগানের দুই দিকের গলি থেকে মুহূর্তেই সেখানে হাজির হয় কয়েকজন মধ্যবয়সী পুরুষ।
কড়া গলায় জানতে চাইলেন- এখানে ছবি তোলার অনুমতি কে দিয়েছে। এ সময় ফটো সাংবাদিক শাহিন কাওসার পুলিশের অনুমতির কথা বলতেই একজন ক্যামেরায় হ্যাঁচকা টান দিয়ে বলেন, তোদের ওই বাপদের আমরা মাসোহারা দেই। ওগুলো এখন তাদের কাছেই নেব। পরে অনেক তর্কবিতর্কের পর একজন তরুণ এগিয়ে এসে হুমকির সুরে বলল, ছবি ছাপলে (...) ভইরা দেব। যা ভাগ।
ওই সময় গাড়ির সামনে প্রেস লেখা একটি পিকআপ ভ্যান দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে বুয়েসল অফিসের সামনে। রাত দুইটার সময় হোটেল শেরাটনের সামনে বেশকিছু খালি সিএনজিচালিত ট্যাক্সি দাঁড়িয়ে আছে। ছবি তুলতে গেলেই একজন তেড়ে আসে, ছবি তুলবেন না নিষেধ আছে। অনেক কথাবার্তার পর একজন বললো, রাতে কিছু মহিলা যাত্রী রাজধানীর বিভিন্ন অভিজাত এলাকায় যায়। তাদের নেয়ার জন্য তারা অপেক্ষা করছেন।
কথা বলতে বলতেই এক সুন্দরী তরুণীকে দ্রুত একটি ট্যাক্সিতে উঠতে দেখা গেল। একটু পরেই শেরাটনের উত্তর গেটে দাঁড়ানো গোমটা দেয়া এক তরুণী মোবাইলে কাকে যেন দ্রুত আসতে বলছিলেন। এ সময় পাশেই দাঁড়ানো ট্যাক্সিচালক বলেন, শেরাটনকেন্দ্রিক তাদের নিয়মিত কিছু যাত্রী রয়েছে। রাত আড়াইটার সময় রমনা ওভারব্রিজের উপর কয়েকজন খদ্দেরকে দেখা গেল যৌনকর্মীদের সঙ্গে দামদর করতে। ছবি তুলতে গেলেই তেড়ে এলো একদল যৌনকর্মী ও কয়েকজন খদ্দের।
এনজিওকর্মী পরিচয় দেয়া মালেকা নামে’র এক মধ্যবয়সী মহিলা তেড়ে এসে বললো- কার অনুমতি নিয়ে ছবি তুলছেন। এখনই মুছে ফেলেন। পরে টহল পুলিশ এগিয়ে এলে পালিয়ে যায় খদ্দেররা। মালেকা জানান, তিনি যৌনকর্মীদের নিয়ে কাজ করা এনজিও কেয়ার এর কর্মী। তিনি রমনা থেকে চানখাঁরপুল পর্যন্ত ভাসমান যৌনকর্মীদের মধ্যে কনডমসহ নানা ওষুধ বিতরণ ও তাদের সুখে-দুঃখে পাশে থাকেন।
ঢাকা শহরে যৌনকর্মী ও এনজিওগুলোর এলাকা ভাগ করা আছে। এক এলাকায় অন্যরা যেতে পারে না। শিশু পার্কের দিকে এগুতেই দেখা গেল কয়েকজন যৌনকর্মী লাইন ধরে দাঁড়িয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গি করছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উল্টো পাশে খদ্দেরদের সঙ্গে খোশগল্প করতে দেখা গেল বেশ কয়েকজন যৌনকর্মীকে। কারও কারও হাতে কনডমের প্যাকেট।
কারও হাতে সিগারেট ও গুল। ছবি তুলতেই পাশে বসা কয়েকজন তরুণ তর্ক জুড়ে দিয়ে বললো, যান ফুটেন। এক যৌনকর্মী পাশে ডেকে নিয়ে বললো ভাই, চলে যান ওরা ছিনতাইকারী, পকেটে ক্ষুর আছে। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন যমুনার আশপাশেও একই দৃশ্য দেখা গেছে। ১২টার সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চারুকলা অনুষদ ও দোয়েল চত্বরের সামনে দু’টি চেকপোস্ট বসানো হলেও হাইকোর্ট চত্বরের চিত্র ছিল ভিন্ন।
হাইকোর্টের দক্ষিণ গেটের তালা খুলে এক তরুণকে কয়েকজন মেয়ে ভেতরে নিয়ে যেতে দেখা গেল। পাশেই বট গাছের আলো-আঁধারির মধ্যে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তা চারপাশে কয়েকজন যৌনকর্মীকে নিয়ে দিচ্ছেন জমজমাট আড্ডা। পাশেই গাঁজার কল্কি টানছে কয়েকজন। ১০ মিনিট পরেই প্রেসক্লাবের দিক থেকে চিৎকার করতে করতে ছিনতাইকারীর পেছনে দৌড়াতে দেখা গেল এক মধ্যবয়সীকে। ছিনতাইকারীটি সচিবালয়ের দিকে দৌড়ে পালিয়ে গেলেও হাইকোর্ট চত্বরের পুলিশ ছিল নির্বিকার।
রাত দেড়টায় বাংলামোটর-সার্ক ফোয়ারার মাঝামাঝি পুলিশ চেকপোস্টে দুই তরুণসহ এক কিশোরীকে আটকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে দেখা গেল। তাদের কিছুক্ষণ আগেই দেখা গেছে শহীদ মিনারের সামনে থেকে তড়িঘড়ি করে রিকশায় চড়তে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে প্রথমে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিলেও একপর্যায়ে তারা প্রেমিক-প্রেমিকা বলে জানায়। ছেলে দু’টি নিজেদের ফল বিক্রেতা পরিচয় দিলেও মেয়েটি চুপ ছিলেন। ছবি তুলতে গেলেই তেড়ে আসে পুলিশ।
রাত ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত কাওরানবাজার আন্ডারপাসের পশ্চিম পাশে সারিবদ্ধভাবে বসে গাড়ির অপেক্ষা করছিলেন কয়েক শ’ মানুষ। ঢাকা থেকে সবজি চালান খালাস করা খালি ট্রাকে করে তারা যাবেন উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন জেলায়। তাদের কেউ রাজধানীতে রিকশা চালান, কেউ করেন দিনমজুরির কাজ। ২০ টাকা থেকে ৪০ টাকা ভাড়ায় তারা যাবেন কাওরানবাজার থেকে বগুড়া, রংপুর, গাইবান্ধাসহ বিভিন্ন জেলায়। রাত গভীর হতেই জমে ওঠে কাওরানবাজারের কাঁচাবাজার।
সারাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আনা সবজি ও মাছবাহী ট্রাক লোড-আনলোড করতে সবাই ব্যস্ত। সমানে চলছে বিভিন্ন গ্রুপের চাঁদাবাজিও। ট্রাক ও পণ্যের ওপর নির্ভর করে চাঁদার হার। রাত তিনটার সময় মিন্টু রোডেই দেখা গেল একদল হিজড়া। পাশেই এলোমেলোভাবে ঘোরাফেরা করছে কিছু খদ্দের।
একটু দূরেই ফুটপাতে একটি বছর দেড়েকের শিশু বসে আছে ঘুমন্ত মায়ের পাশে। যেন ঘুমন্ত মাকে পাহারা দিচ্ছে। রাত সোয়া তিনটায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের চারুকলার সামনে দেখা গেল- সারজাহান বেগম তরুণী মেয়ে রোজিনাকে নিয়ে ফুলের দোকানের আবর্জনা পরিষ্কার করছেন। জানালেন, সপ্তাহ শেষে দোকান প্রতি ৩০ থেকে ৫০ টাকায় আটটি দোকানের আবর্জনা পরিষ্কার করেন। দিনে করেন ফুলের দোকানের বিভিন্ন কাজ।
পাশেই রাস্তায় পলিথিন ঘেরা আশ্রয় স্থলে শুয়ে আছেন সারজাহান বেগমের অসুস্থ স্বামী। সাড়ে চারটায় বড় রাস্তাগুলোতে দেখা গেল সিটি করপোরেশনের মহিলা ঝাড়ুদারদের। সেই সঙ্গে কিছু বয়স্ক মানুষকে ‘জাগো মুসলিম জাগো, ফজরের নামাজে চলো- জাগো’ বলে হাঁক দিতে।
http://www.manabzamin.net/lead-05.htm
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।