আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রাজাকারের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে অষ্ট্রেলিয়ার সিডনী এবং মেলবোর্নও আজ শাহবাগ স্কয়ার

প্রতিটি রাতে স্বপ্ন দেখি একদিন সব আমারই হবে, আজ না হলেও কাল তো ঠিকই আজ দুপুর দুটোর দিকে, আমরা বেশ কয়েকজন তখনও সদ্য শেষ হয়ে যাওয়া সংহতি সমাবেশের উত্তেজনায় সাঁতার কাটছি - দেখলাম প্র্যাম ঠেলে এক তরুনী মা আসছেন। পাশে হাটছে ফুটফুটে এক মেয়ে। হাতে ছোট্ট বাংলাদেশের পতাকা। অপরিচিত। তাতে কি? আজকে তো ব বলতে সব বাঙ্গালী।

আমি খানিকটা এগিয়ে গেলাম। আমাকে এগিয়ে যেতে দেখে তিনি বললেন, শেষ হয়ে গ্যাছে না? ইস আমি মিস করলাম। বিশ্বাস করবেন কিনা জানি না; আমার আনন্দে কান্না পেয়ে গেল। অনেক চেষ্টায় সেটা চেপে বাচ্চাটিকে গাল ছুঁয়ে আদর করলাম। মনে মনে ওকে বললাম, মা রে, আমি আর তুই আমরা পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান।

কারন আমরা দুজনেই বাঙ্গালী মায়ের গর্ভে জন্মেছি। তরুনী মায়ের দিকে তাকাতেই, তিনি হেসে বললেন, সরি, ট্র্যাক ওয়ার্ক চলছে। আমার আসতে অনেক দেরী হয়ে গেল। আমি বললাম কিচ্ছু দেরী হয়নি। আমি তাকে পুরো ঘটনা বর্ননা করলাম।

এমনকি মেয়েটিকে নিয়ে জয় বাংলা শ্লোগান দিলাম। উপরের কথাগুলো ফেইসবুকে শেয়ার করেছেন আবেগপ্রবন এক সিডনীপ্রবাসী ভদ্রলোক। যিনি ফাসির দাবীতে সিডনীতে অনুষ্ঠেয় মানববন্ধনের একজন আয়োজক। তার মতই আরো হাজারো অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ভাইবোনদের আবেগ এবং অনুভূতি্ই যেন হয়ে উঠে এক একটি শাহবাগ স্কয়ার। তা সেটি পৃথিবীর যেখানেই থাকুক না কেন।

আর যুদ্ধাপরাধীদের ফাসির দাবিতে শাহবাগের প্রজন্ম চত্ত্বরে ও দেশজুড়ে অবস্থানরত সকল বাংলাদেশি ভাইবোনুদের প্রতি একাত্নতা ও সংহতি জানাতেই সিডনীর এ্যাসফিল্ড পার্কে ও মেলবোর্নের ফেডারেশন স্কয়ারের পেছনে প্রবাসী বাংলাদেশীরা আয়োজন করে মানববন্ধনসহ গনস্বাক্ষরতা কার্যক্রম। রোববার মেলবোর্নের ইয়ারা নদীর পাড়ের অ্যাঞ্জেল স্ট্যাচু পার্ক ও সিডনীর এ্যাশফিল্ড পার্কও যেন হয়ে উঠেছিল আরেকটি শাহবাগ। বয়স-পেশা আর দলীয় রাজনীতির সীমাবদ্ধতা ও সংকীর্ণতার উর্ধ্বে ওঠা সাত –আট’শ প্রবাসী চিন্তা-চেতনা-ভাবনা আর মানসিক ঐক্যে পার্ককে বানিয়ে ফেলেছিলেন শাহবাগ। মানবতাবিরোধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিও জানান তারা। বাজানো হয় জাতীয় সংগীত, একাত্তরের রণাংগনের নানা গান।

আয়োজিত এ সম্মিলন থেকে একাত্তরের ঘাতকদের ফাঁসির দাবিতে নেওয়া হয় সাক্ষর অভিযানের পাশাপাশি বাংলাদেশকে রাজাকার মুক্ত রাখার। স্বাক্ষরিত চিঠিটি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক ট্রাইবুন্যালসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো হবে। এছাড়া্ও সুইনবার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলাদেশী ছাত্রদের আয়োজনেও হয় আরেকটি মানববন্ধন। কৃতজ্ঞতা: এস.এম তরিকুল আলম,রোমানা শারমীন,রাজন নন্দী(সিডনী) মেহেদী আল ইমরান(মেলবোর্ন)  ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.