আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

অপেক্ষা কল্প-গল্প



১। ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক বসানোর কাজটা প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। মাসুদের কাজটা শেষ পর্যায়ের। কানেক্টিভিটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে, সেটার ডাটা মিসিং এর হারটা বের করাটাই তার এখনকার দায়িত্ব। বান্দরবানের এদিকটায় তাদের কোম্পানীই সবার প্রথমে এ সুবিধা চালু করছে।

তাই হ্যাপাটা বেশী, যা করার নিজেদেরকেই করতে হচ্ছে সব। গত ১৬ ঘন্টা ধরে লুম্বিক পাহাড়ের চূড়ায় ছোট এই কুঠুরীতে সে একাই কাজ করে যাচ্ছে। এমনিতেও মাসুদ লোকজনের সঙ্গ একটু এড়িয়ে চলতে পছন্দ করে। সাধে কি আর ইউনিভার্সিটিতে তার নাম ছিল 'রোবট'! আবেগের বাড়াবাড়ি কখনোই তার ভেতরে খুব একটা দেখেনি কেউ। তবে শুধু খুব কাছের ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা জানে, মাসুদ খান আসলে কতোটা স্বপ্নের ঘোরে থাকে।

একা একা স্বাধীনভাবে কাজ করা যায় আর খবরদারী করার তেমন কেউ নেই দেখে - এ চাকরীটা তার খুব পছ্ন্দ। যাই হোক, ফিরে আসি লুম্বিক পাহাড়ের ঘরটাতে। বাহিরে ঘুটঘুটে আঁধার। হাতে আর ঘন্টাচারেক সময় আছে। তারপরই ফিরে যেতে হবে বান্দরবান শহরে।

এখানকার কাজটা আপাততো শেষ। দুরনিয়ন্ত্রিত নিরাপত্তা প্রহরীর নজরদারীতে সোলার প্যানেলের পাওয়ারেই, অটো সিস্টেম কাজ করতে থাকবে। গোছগাছ করে উঠার শেষ মুহুর্তে ল্যাপটপে ডাটা রিটার্নিং রেইট টায় আবার চোখ বুলাচ্ছিল মাসুদ। ঠিক তখনই ভূমিকম্পটা হলো! ২। নিউজ চ্যানেল ছাড়াও প্রায় সবকটা চ্যানেলেই ভূমিকম্পের লাইভ কাভারেজ দিচ্ছিল।

কদিন ধরেই সবজায়গায় 'ভীম-৩৫২' নিয়ে জোর আলোচনা চলছে। এবারকার ভূমিকম্পটির নাম দিয়েছে বান্দরবন পর্যটন করপোরেশন। গত কদিন ধরে ভূমিকম্প প্রেমী পর্যটকদের ভিড় দেখতে দেখতে বিরক্তি ধরে গেছে ফিউচার গার্ল-২৩১ এর। আর ভীড় হবে না কেন? রিখটার স্কেলে ৮ মাত্রার ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞ তো আর প্রতিদিন দেখার সৌভাগ্য হয় না! বান্দরবনের সবচেয়ে পশ এরিয়া 'ছড়ার পাড়ে'র ফাঙ্গাস এপার্টমেন্টের ৪১৩ তালায় বসে কিছুটা একঘেয়েমি নিয়েই চ্যানেলগুলি বদলে বদলে যাচ্ছিল সে। 'ভীম-৩৫২' এর কারণে আজকে ইউনি ছুটি।

শহরের রাস্তাঘাটের ভাইব্রেশন সিস্টেম অটুট থাকলেও অতিউৎসাহী, বেপরোয়া তরুণরা যাতে ভূমিকম্প এলাকায় না ঢুকে পড়ে এই জন্যই মেয়র সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি দিয়ে দিয়েছেন। আজকাল এই এক ফ্যাশন হয়েছে। ইচ্ছে মতো ঝুঁকির মুখে ঝাঁপিয়ে পড়া! এই 'ইয়াবা সিন্ড্রোমে'র কারণে গত ঘূর্নিঝড় 'তুল্লা'র সময় পাঁচ পাঁচটি কিশোর মারা গেছিল। তারা সব দল বেঁধে হ্রদের পাড়ে চলে গিয়েছিল ঝড় দেখতে। সন্ধ্যা প্রায় ঘনিয়ে এসেছে।

ফিগা (ফিউচার গার্ল-২৩১ কে তার বাবা এ নামেই ডাকে, যদিও সে খুব বিব্রত হয় শুনলে; তারপরও আমরা তাকে বাবার দেয়া নামেই ডাকবো) মিডিয়া সেন্টার সরিয়ে দিয়ে কমিউনিকেশন মডিউল নিয়ে বসলো। ল্যাব টেস্টের মার্কস ক্রমাগত খারাপ হচ্ছে। একটু ঝালাই করে নেয়া দরকার। ফিগা এখন পড়ছে ডাটা ট্রান্সফারের ইতিহাস। সেশনালের কাজটুকু আবার করা দরকার।

বিংশ শতাব্দীর ডাটা মডিউলের নেটওয়ার্কটা অন করলো সে। এটার ব্যবহার জানে এমন লোক আজকাল আর পাওয়া যায় না। ওদেরকেও পড়ায় একজন রোবোট। জ্ঞানের খাতিরে ইতিহাস জেনে রাখা আর কি! মাঝে মাঝে তার মনে হয় , ইতিহাসের অংশটুকু না থাকলে খুব ভালো হতো! অযথা পন্ডশ্রম। ঠিক ৫ মিনিটের মাথায় ফিগা সিগনালটা ধরতে পারলো।

যদিও সে অবাক হলো না। কালকে তার ক্লাশের অন্তত ১৫ জনের পরীক্ষা, এই ফ্রিকোয়েন্সির ডাটা টাইপ নিয়ে ওদের কেউ না কেউ অনলাইনে থাকতেই পারে। সে কিছু না ভেবেই কমিউনিকেশন লিংক এক্সেপ্ট করলো। ৩। মাসুদ বুঝতে পাচ্ছিলোনা, সে ঠিক কোন অবস্থায় আছে! চেয়ার থেকে ছিটকে পড়েই সে টের পেয়েছিল ভূমিকম্পের ব্যাপারটা।

এখনও সে আগের জায়গাতেই আছে; কিন্তু চারদিক এখনো নিকষ আঁধার। দশ মিনিট পরের কথা। পরিস্থিতি তার কাছে এখন পরিষ্কার দিনের মতো স্বচ্ছ! পাহাড়ের চূড়ায় বানানো সোলার পাওয়ারের এই ক্যাম্প মডিউলটা ভূমি ধ্বসের কারণে বেশ খানিকটা পাহাড়ের পেটে ঢুকে গেছে! এখন সেটা গেঁথে আছে জ্বালামুখের মতো কোন একটা গর্তে। সে যে চেতনা হারিয়েছিল- এতে কোন সন্দেহ নেই। কতোটা সময় পার হয়েছে বলা মুশকিল।

মোবাইল কাজ করছে না- বলছে সীম রিজেক্টেড। ল্যাপটপের ঘড়ি ১-১-২০০০ থেকে কাউন্ট শুরু করেছে। মাত্র ৩০ মিনিট পার হয়েছে। তার মানে ভূমিকম্প হয়েছে ৩০ মিনিট আগে?! সে তাহলে মিনিট পনেরোর মতো অচেতন ছিল। ? জানালার বাইরে তাকিয়ে খুবএকটা ভরসা পেলো না সে।

কোথাও কোন আলোর ঝলকের দেখা নেই। আগে অফিসে তার পজিশন টা অন্তত জানিয়ে দেয়া দরকার। মাসুদের 'রোবোটিক' মাথা দ্রুত কাজ করতে লাগলো শান্ত, স্থিরভাবে। বেশ কিছুক্ষণ ব্যর্থ প্রচেষ্টার পর একটাই লিংক পেলো! ফিগার ফ্রিকোয়েন্সিটাই ছিল তার সাহায্যের আহ্বানের একমাত্র সাড়া! সে দ্রুত টাইপ করলো- "ডাটালিংকের মাসুদ বলছি; আমি ভূমিধ্বসের কারণে লুম্বিক পাহাড়ে আটকা পড়েছি; মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন, সাহায্য চাই!" ৪। 'ফিগা'র ২২ বছরের জীবনে এতো অদ্ভুত ঘটনা আর কখনো ঘটেনি।

ইতিমধ্যে সে নিশ্চিত হয়েছে মাসুদ তার পরিচিতদের ভেতর কেউ না, এই শহরেরই কেউনা, এমনকি এই সম্ভবত সময়েরই কোন লোক সে নয়! তাদের কথাবার্তা হচ্ছিল পুরানো আমলের প্রাথমিক স্তরের নিয়মে- অর্থাত টাইপ করে করে টেক্সট এর মাধ্যমে। ফিগা লিখলো- "আমি আপনার লোকেশনটা বুঝতে পারছি না! কারণ, যেই লোকেশনটা দিচ্ছেন ঠিক সেখানেই আমি আছি! এটা সুরক্ষিত টাউনশীপ, ভূমিকম্পের আওতার বাহিরে। এখানে তো কিছু হবার প্রশ্নই উঠেনা!! কেন বোকা বানাতে চাচ্ছেন। ?" যদিও তার ইনটুইশন বলছে লোকটা সম্ভবত মিথ্যে বলেনি। মাসুদ আবার তার অবস্থান রিপীট করলো।

তার বোধের মধ্যে আসছে না, 'ফিউচারগার্ল২৩১' নামের এই মেয়েটি এই নেটওয়ার্কে ঢুকলো কিভাবে!! মিলিটারী ইন্টেলিজেন্স ছাড়া কারো এখানে অ্যাকসেস থাকার কথা নয়। হতে পারে কোন হ্যাকার! সেটাই সম্ভব, নামটাতো হ্যাকারদের মতোই। কিন্তু তার রিডিং বলছে মেয়েটা এই পাহাড়ের কোল ঘেষেই আছে! সেটা কোনভাবেই সম্ভব নয়! এই দুর্গম এলাকায় কোন আবাসিক এলাকা বা বিল্ডিং তো দূরের কথা কোন পাহাড়িদের বসতি পর্যন্ত নেই! কোথাও একটা ঘাপলা আছে। বিদ্যুত চমকানোর মতো করে মাসুদের মনে একটা অবিশ্বাস্য ধারণা উঁকি দিলো। তবে কি কোন ভাবে.....কোন কারণে, সে ভবিষ্যতের জগতে?!! নিজেকে হাস্যকর করা হচ্ছে জেনেও মাসুদ টাইপ করলো...... "আজকের তারিখ কি? এখন সময় কত?" "২রা মে, ২০৫৯, এখন সন্ধ্যা ৭ টা!" মাসুদের শীরদাড়া বেয়ে ঘামের হিমেল ধারা নামতে লাগলো! সে ভুল দেখছে নাতো?! মেয়েটার কথা যদি সত্যি হয়, যেকোন ভাবেই হোক সময় ৫০ বছর এগিয়ে গেছে।

আধাঘন্টার মধ্যে ফিগা তাকে জানিয়ে দিল অনেক গুলো তথ্য। ২০৫০ এর ভেতর পাহাড়ি এলাকা বাদে বাংলাদেশের সব নিম্নাঞ্চল পানির নীচে। চট্টগ্রাম এখন রাজধানী! বান্দরবন সবচেয়ে অভিজাত এলাকা, সুপার মেট্রোপলিটন! জীবনযাত্রা এখন পুরোপুরি কমিউনিকেশন মডিউল ভিত্তিক; খুব কমই রাস্তা ঘাটে বের হতে হয়। কলকারখানাগুলি সব মুলত রোবট পরিচালিত; বাংলাদেশ সাইবেরিয়ার একটা বড় অংশ লিজ হিসাবে পেয়েছে, ওখানেই সব শিল্প কারখানা। বাংলাদেশের মুল রপ্তানী পণ্য নাকি নদীর মিষ্টি পানি!! ইকোনোমি এখন পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম! এই আলাপের ঘোর কাটতে হয়তো আরো সময় লাগতো; যদি না 'ফিগা' হঠাৎ জানতে চাইতো- "আচ্ছা, আপনি কি পরের ভূমিকম্পটার জন্য প্রিপারেশন নিয়ে রেখেছেন?" "পরের ভূমিকম্প মানে?! আরেকটা হবে নাকি?! জানলে কিভাবে?" "আরে, নিউজে তো এক মাস আগে থেকে বলেছে।

জানবোনা কেন?!! এটা দেখতেই তো সব পর্যটকরা এখন বান্দরবানে। খুব রেয়ার ঘটনা কিনা। " " ফিগা, আমি যে সময়ে আছি এখানে ভূমিকম্পের কোন প্রেডিকশন হয়না। তুমি কি বলতে পারবে হাতে আর কতোক্ষণ সময় আছে?" " মিনিট বিশেকের মতো। " "আমার এখানটায় ফর্সা হয়ে আসছে; সকাল হলো মনে হয়।

একটা জিনিষ এখনো পরিষ্কার হলোনা, তুমি বলছো সন্ধ্যা, আমি দেখছি সকাল!" "সেটা তো জানিনা। আমি বুঝতেই পারছিনা আপনি কিভাবে আমার সাথে যোগাযোগ করছেন! তবে আপনি নিশ্চিন্ত থাকুন; আরেকটা ভূমিকম্প হলো বলে। "- নিজেদের উন্নত জগৎ নিয়ে মেয়েটার গলায় একটু যেন আত্মপ্রসাদের সুর। মাসুদ ল্যাপটপটা হাতে করে নিয়ে বের হয়ে আসলো ঘর থেকে। চারপাশটা এখন পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে।

ভূমিকম্পের ধ্বংসযজ্ঞের চিহ্ন চারদিকে। প্রবল আক্রোশ নিয়ে কেউ যেন উলট পালট করে দিয়ে সব গাছপালা, মাটির ঢিবি! ঢিবিটা মনোযোগ দিয়ে দেখতে গিয়েই চোখে পড়লো ধাতব স্তুপটা। প্রায় তার কন্ট্রোলরুমের আকারের একটা কালো রঙের ঘনক। কিছুটা মাটির ভেতর ঢুকে আছে। দেখে মনে হচ্ছে মাটির নীচ থেকে প্রবল চাপে বের হয়ে এসেছে।

হাতঘড়িতে থাকা কম্পাসের দিকে চোখ বুলালো মাসুদ। যা আন্দাজ করেছিল তাই! উত্তর মুখী না হয়ে কাটাটা পাগলের মতো নাড়াচাড়া করে নির্দেশ করছে ধাতব স্তুপের দিকে। মাসুদ নিশ্চিত হলো-এটা একটা ম্যাগনেটিক আকরিক ছাড়া আর কিছু নয়। এটার কারনেই মোবাইল কাজ করছে না। ডাটা কমিউনিকেশনের আজব আচরণ করার পেছনে এটাই হয়তো দায়ী।

কিন্তু প্রকৃতির আজব খেয়ালের কথা এখন ভেবে লাভ নেই। আপাততো তাকে নিজেকে বাঁচাতে হবে আগে। মাথা থেকে অসংখ্য কি, কেন, কিভাবে জাতীয় প্রশ্ন ঝেড়ে ফেললো মাসুদ। দ্রুত নিরাপত্তা ভাবনা চলতে লাগলো তার মাথায়, স্মৃতিতে ট্রেনিং এর সময় পাওয়া ইনস্ট্রাকশন গুলি। হাত আর মিনিট কয়েক সময় আছে।

পাহাড় থেকে নামার চেষ্টা করে লাভ নেই। তার জানা মতে এই কক্ষটি বিশেষ নিরাপত্তাসূচক মেনে তৈরী করা। ভূমিকম্পের এট্যাক ঠেকানোর জন্য এখানেই অপেক্ষা করতে সিদ্ধান্ত নিল সে। বাকি সময়টা 'ফিগা'র সাথে কথা বলে দেখা যাক, নতুন কোন তথ্য বের করা যায় কিনা। "আমি প্রস্তুত।

সেকেন্ড এট্যাকটা গেলে কি এই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে মনে হয়?" চটজলদি উত্তর দেখে বোঝা গেলো অপেক্ষা করে করে 'ফিগা' অস্থির হয়ে পড়েছিল- "বুঝতে পারছি না। আচ্ছা, আপনার কি মনে হয় কোনভাবে আপনি টাইম ট্রাভেল করে ফেলেছেন?" "না। সেটা মনে হচ্ছে না। কারণ আমার পরিবেশ আগের মতোই দেখতে পাচ্ছি। সম্ভবত কোন ম্যাগনেটিক ফিল্ডের অস্বাভাবিক আচরণের কারণে আমাদের কমিউনিকেশন মডিউল সিন্ক্রোনাইজ করে গেছে, যার কারণে অতীত আর বর্তমানের ভেতর ডাটা আদানপ্রদান হচ্ছে।

" বলছে বটে, কিন্তু মাসুদ জানে যদিও এর কোন বৈজ্ঞানিক ভিত্তি দাড় করানো সম্ভব নয়। একটু পরই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়লো কোন প্রকার জানান না দিয়েই। পরস্পরকে বিদায় জানানোর সুযোগও পেলোনা তারা! ৫। লাইভ কাভারেজের কল্যানে ফিগা দেখতে পেলো কিভাবে লুম্বিক পাহাড়ের ঢালু উপত্যকা গুলি উলটপালট হয়ে যাচ্ছে। নেপথ্যে সংবাদকর্মীর উচ্ছাস!! তার ভেতরেই আলাদা করে কথাগুলি কানে বাজলো তার।

" ........আপনারা জানেন ঠিক ৫০ বছর আগে এমনই অদ্ভুত এক ভূমিকম্পের কারণে আমাদের এই শহরের গোড়াপত্তনের সুযোগ সৃষ্টি হয়। সেই ভূমিকম্পের একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী জনাব মাসুদের মাধ্যমেই শুরু হয় নতুন যুগের অধ্যায়......" বরফের মতো জমে গেলো যেন ফিগা! তার মানে?! মাথার চুল ছিড়তে ইচ্ছা হলো তার! বান্দরবান শহরের আজীবন মেয়র মাসুদ খানের কথাটা কেনো তখন মাথায় আসেনি। তবে কি এই ব্যাখ্যাতীত যোগাযোগের ফলেই মাসুদ এই অগ্রনী ভূমিকা রাখতে পেরেছিল?! মাথায় কিছুই যেন ঢুকছে না ফিগা'র। এর মানে কী- এক জগতে নয় বরং প্যারালাল ইউনিভার্সেই তারা দুজন আছে!? তাহলে কেন এতোদিন মাসুদ খান তার সাথে যোগাযোগ করেননি?! তবে কি অতীত আর বর্তমান দুই ই পাশাপাশি চলছে দেখেই এই যোগাযোগ আগে সম্ভব হয়নি?! প্রশ্নের জবাব খোঁজার খুব বেশী সময় পেলো না ফিগা। রোবট সেন্সর জানান দিল, বাহিরে কোন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি তার অপেক্ষায় আছে।

হলোগ্রাম না দেখেও ফিগা বলতে পারে লোকটি কে! ৬। দরজা খুলতে মেয়েটা অনেক সময় নিচ্ছে; ভাবছিলেন মেয়র মাসুদ খান। থাক্‌, দেরী হলোই বা! দীর্ঘ ৫০ বছর অপেক্ষায় থেকেছেন তিনি এই সময়টির জন্য, আর ৫ মিনিটে কিই বা এসে যায়!

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.