নোয়াখালী-লাকসাম রেল পথে অর্ধশত ল্যাবেল ক্রসিংই অরক্ষিত। কয়েকটি স্থানে রেলের লাইনম্যান থাকলেও প্রতিনিয়তি ঘটছে দূর্ঘটনা।
নোয়াখালী - লাকসাম রেল পথে ৪০কিঃমিঃ দীর্ঘ এই রেল পথে ছোট বড় ল্যাবেল ক্রসিংয়ের পাশাপাশি নোয়াখালী -ফেনী ও নোয়াখালী- কুমিল্লা হাইওয়ে ওপর ৩টি ল্যাবেল ক্রসিং রয়েছে ।
জেলার প্রধান বাণিজ্য কেন্দ্র চৌমুহনী রেল ষ্টেশনে, সোনাপুর (নোয়াখালী), সোনাইমুড়ী ও মাইজদীসহ ষ্টেশন গুলোতে রেলের পুকুর, নালা, ডোবা এমনকি খেলার মাঠও দখল করে নিয়েছে অবৈধ দখলদাররা।
এসব অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে রেলের কর্মকর্তাদের মোটা অংকের ঘুষ গ্রহনের অভিযোগ ওঠেছে জোরালোভাবে।
একই প্রক্রিয়ায় রেলের গুদাম, পতিত জমি এমনকি ষ্টাফ কোয়ার্টার গুলো ও হাতিয়ে নিয়েছে দগখলদার চক্র।
১/১১ পরবর্তী সময়ে সারাদেশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানের সময় ধারণা করা হয়েছিলো দীর্ঘ দিন ধরে অবৈধ দখলদারদের হাতে চলে যাওয়া রেলের জমি থেকে দখলদারদেরকে উচ্ছেদ করা হবে। কিন্তু উচ্ছেদতো দুরের কথা উপরন্তু প্রতিদিনই নতুন নতুন ঘর উঠছে রেলের জমিতে।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, দখলদার চক্র রেলের পূর্বাঞ্চলীয় জোনের ষ্টেট অফিসে নিদ্ধিষ্ট ভূমির বন্দোবস্তের জন্য আবেদন করে। সেই আবেদন পত্রের একটি রিসিভিং কপি সংগ্রহ করে একেই বন্দোবস্তের দলিল বলে চালিয়ে রাতারাতি ঘর তুলে নেয় দখলদার চক্র।
এ চক্রের সাথে রেলের ষ্টেট অফিসের কর্মকর্তা, নিরাপত্তা বাহিনী, রেল পুলিশ এবং সংশ্লিষ্ট ষ্টেশনের মাষ্টার। রেলের ষ্টেট অফিসার এক প্রশ্নের জবাবে জানান, উচ্ছেদের ব্যাপারে তিনি জেলা প্রশাসনের ক্ষমতা হোল্ড করে। ফলে দখলদারদের তালিকা জেলা প্রশাসনে দিতে হয় না।
অবশ্য এ ব্যাপারে দিগন্ত টেলিভিশনের সামনে মুখ খুলতে রাজী হননি নোয়াখালী জেলা প্রশাসন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।