www.bdearned.blogspot.com
কওমী মাদ্রাসাকে নিয়ে সরকার যতই টাল বাহানা করুক না কেন কওমী মাদ্রাসা কখনোই জঙ্গি তৈরির সুতিকাগার হতে পারে না। এখান থেকে ছাত্ররা দ্বীন ইসলামের এলেম নিয়ে থাকে । আর দ্বীন ইসলাম কখনোই জঙ্গীবাদের দোহাই দিয়ে মানুষ হ্ত্যা সমর্থন করে না।
সম্প্রতি সরকারের একজন গুরুত্বপুর্ন মন্ত্রী সেনাবাহিনী সম্পর্কে মন্তব্য করেছেন, সেখানে নাকি কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা ঢুকে পড়েছে । নাশকতা মুলক কর্মকান্ডের প্রস্তুতি নিচ্ছে ।
তাকে জিজ্ঞাসা করা হলো কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের তো সরকারী সীকৃতি নেই । তারা সেখানে ঢোকার আবেদন করলো কেমন করে । পরে উক্ত মন্ত্রী নিজের ভাষ্যকে স্লিপ অব টাং বলে উল্লেখ করেছেন ।
এই যদি হয় ডিজিটাল সরকারের ডিজিটাল অপপ্রচারের সিস্টেম তাহলে আমরা তার থেকে ইসলাম নিয়ে কি আশা করতে পারি। কারন এটাতো স্পস্ট যে তাদের অপপ্রচার মুলত ইসলামের বিরুদ্ধে ।
তারা চাচ্ছে ইসলামী গবেষক তৈরির মুল সুতিকাগার বন্ধ হয়ে যাক । তা না হলে হয়তো বা তারা নির্বাচনের আগে মাথায় পট্টি বেধে তওবা করে মানুষকে বিভ্রান্ত করতে পারবে না ।
যেহেতু কওমী মাদ্রাসার সরকারী স্বীকৃতি নেই । তাই তারা সরকারী বা বেসরকারী চাকুরিতে যোগ দিতে পারে না । এজন্য অনেকে কওমী মাদ্রাসার ছাত্রদের দেশের বোঝা বলে অভিহিত করেন ।
কিন্তু আমি যতটুকু জানি কওমী মাদ্রাসার ছাত্ররা নিজেদের কর্মসংস্হানের জন্য কার উপর চাপ প্রয়োগ করেন না। তারা নিজেদের কর্মসংস্হানের ব্যবস্হা নিজেরাই করে থাকেন। এদের বেশির ভাগই মধ্যপ্রাচ্চে চলে যান । আরবি ভাষা জানা থাকায় ভাল কাজ পেয়ে থাকেন । কেউ কেউ আবার দেশে ব্যবসা বানিজ্যের কাজে লেগে যান ।
তাই বলছি কওমী মদ্রাসার ছাত্ররা কখনোই দেশের বোঝা নয় । বরং সম্পদ।
তাই সরকার সংশ্লিষ্টদের বলছি, কওমী মাদ্রাসার বিরুদ্ধে অপপ্রচার বন্ধ করুন । কওমী মাদ্রাসাকে নিশ্চিন্ন করার চিন্তা ভাবনা মন থেকে মুছে ফেলুন। নইলে বুকের রক্ত দিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।