সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
বর্তমান সরকার সবচেয়ে আশ্চর্য জনক একটি কাজ করছেন। এই কাজটি যদি করতে পারেন তবে নিশ্চিত বর্তমান সময়ের একটি অনন্য ও অসাধারন কাজ। বিশ্বের তাবৎ দেশ যেখানে বিদ্যুত, জ্বালানি, পানি সমস্যা সমাধানের জন্য এবং তাদের রিজার্ভ বাড়ানোর জন্য গলদঘর্ম হচ্ছে ঠিক তখনই আমাদের দেশেও এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য সবাই উঠে পড়ে লেগেছে। তবে প্রকৃয়াটা একটু ভিন্ন।
আর সেটা হল, এগুলোর রিজার্ভ বাড়ানো চেষ্টা না বরং কমানোর চেষ্টায় নিয়োজিত। কারণ আমাদের লজিক হল, সবাইতো পৃথিবীতো একদিন ধংস হবেই। আর সবকিছুতো আর অসীম না। তো তাদের রিজার্ভ এদিন না একদিন শেষ হবেই। তখন তারা পড়বে বিপদে।
তার চেয়ে বরং আমরা আগথেকেই অভ্যেস করে ফেলি কিভাবে বিদ্যুৎ ছাড়া শুধু হাত পাখা আর পত্রিকার পাতা দিয়ে চলা যায়, কিভাবে পানি ছাড়া নিত্যদিনের কাজগুলো সাড়া যায়। সে উদ্দেশ্যের প্রথম পদক্ষেপ স্বরুপ আজ শুক্রবার সরকারী ছুটির দিনেও ৭ঘন্টা ১৫ মিনিট লোডশেডিং। নিচের তালিকাটা একটু দেখুন
বিদ্যুৎ ফেইলের শুরু সময় শেষ সময় মোট লোড শেডিং
সকাল ৬.৩৭ সকাল ৭.৩৭ ১ ঘন্টা
সকাল ৮.৩০ সকাল ৯.৩০ ১ ঘন্টা
সকাল ১০.৩৫ সকাল ১১.৩৭ ১ ঘন্টা ৩ মিনিট
দুপুর ১২.৩৬ দুপুর ১.৩৮ ১ ঘন্টা ২ মিনিট
দুপুর ২.৩৫ দুপুর ৩.৩৫ ১ ঘন্টা
বিকাল ৪.৩৩ বিকাল ৫.৩৫ ১ ঘন্টা ২ মিনিট
সন্ধা ৭.৪৬ রাত ৮.৫১ ১ ঘন্টা ৫ মিনিট
মোট ৭ ঘন্টা ১২ মিনিট।
বিদ্যুৎ ছাড়া ডিজিটাল বাংলাদেশের রাজধানীর এই অবস্থা। এবার বুঝুন এর চেয়ে বড় ডিজিলাইজেন আর কিই বা হয়ে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।