C:\Users\asusmobile\Desktop\FF.jpg
আমি গত কয়েকদিন ধরে কারেন্টের আসা যাওয়ার উপর একটু লক্ষ্য রাখছি। প্রথমে দিনে ১ বার যেত। সেটা জানুয়ারির খবর। দিনে ঠিক কখন কারেন্ট যাবে ঠিক করে বলা যেত না।
এরপর দিনে ২ বার যাওয়া শুরু করল।
ঠিক মনে নেই, হয়ত মার্চের দিকে।
একদম দুপুর ১২:৫২ তে কারেন্ট চলে যেত, ১:৫২ তে ফেরত আসত।
এই ১ ঘন্টা মাথার ঠিক উপরে সুর্যটা থাকে। বাসার ভেতরটা মনে হোতো যেন ওভেনে পরিনত হয়েছে। এরপর কারেন্ট যেত, ঠিক সন্ধ্যা ৫:৫০ এ।
১ ঘন্টা বিরতি দিয়ে আবার ৬:৫০ এ ফেরত আসতো।
তো গেল মার্চের কথা। এই এপ্রিল মাসে অবস্থার যে কি পরিমান অবনতি হয়েছে, তা বলার ভাষা নেই।
এই মাসের প্রথম দিকে ২ দিন কোন কারেন্ট যায়নি। খুব অবাক হয়েছিলাম।
দুপুর ১২:৫২ তে তৈরি ছিলাম, কারেন্ট যাবার জন্য।
কিন্তু কারেন্ট যায়নি। এমনকি সন্ধ্যা ৫:৫০-এ যায়নি।
পরপর ২ দিন নিরবিচ্ছিন্ন কারেন্ট উপভোগ করলাম।
এরপর এল আসল মজা।
উপভোগ কাকে বলে ও কত প্রকার, বুঝিয়ে দিল।
ঠিক সকাল ৯:৩০-এ কারেন্ট চলে যাবে। ১:৩০ ঘন্টা পর, ১১টার দিকে ফেরত আসবে। তারপর আবার ১২:৫২ তে চলে যাবে, আসবে ১:৫২ তে। হুমমম...।
এরপর বিকাল ২:৫৫-এ চলে যাবে, আসবে ১ ঘন্টা পর, বিকাল ৪টায়। এরপর যাবে সন্ধ্যা ৫:৫০-এ, ১ ঘন্টা পর ৬:৫০-এ আসবে। এরপর যাবে রাত ৮টায়, ঠিক ১ ঘন্টা পর ৯টায় ফেরত আসবে।
কাল রাতে হঠাৎ করে একটু নতুন কিছু দেখলাম। সারাদিন সব মিলিয়ে প্রায় ৫/৬ ঘন্টা কারেন্ট বিনা কাটিয়ে একটু বাতাস খাচ্ছিলাম, আর নেট ব্যবহার করছিলাম।
হঠাৎ করে কারেন্ট চলে গেল। তখন রাত বাজে ১২:৪৫। আমি কিছুক্ষন স্তম্ভিত হয়ে থাকলাম। এরপর রাত ১:৪৫ এর দিকে কারেন্ট এল।
এখানে লক্ষ্যনীয় ব্যাপার হল, আমাদের এই তুমুল অরাজকতার দেশে কারেন্ট চলে যাওয়াটা কিন্তু অতন্ত্য নিষ্ঠার সাথে পালন করা হচ্ছে।
আপনি হাসপাতালে গেলে ডাক্তার নাও পেতে পারেন, সরকার আপনার বেতন দিতে মাসের পর মাস বিলম্ব করতে পারে - কিন্তু প্রতিদিন ৬ ঘন্টা কারেন্ট থেকে আপনাকে বঞ্চিত করা হবে, এবং সেটা একদম ঠিক সময়ে, এতে কোন বিলম্বতা নেই (১-২ মিনিট এদিক সেদিকের জন্য সরকার দায়ী নহে)।
আমাদের এই নিষ্ঠা যদি আর সব কিছুতেই দেখাতে পারতাম আমরা...
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।