সামুতে বারবার ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করলেও কর্তৃপক্ষের নিশ্চুপ থাকার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসাবে ব্লগিং বন্ধ করলাম এখানে। ধিক্কার সামুর কর্তৃপক্ষকে
যেহেতু ১মবার তাই আগ্রহ আর উচ্ছাস ছিলো বেশি। সকাল ১০টার দিকে বাসা থেকে বের হলাম, জাপানের ইকেবুকরো নামক জায়গায় নিশিগুচি পার্কে আজ ১৮ই এপ্রিলের, ২০০৯ এ বৈশাখি মেলার অংশগ্রহনের জন্য। পার্কটির কাছাকাছি পৌছেই মনে হলো, জাপানে না, বাংলাদেশেই অবস্থান করছি। কারন বাংলাদেশি মানুষের আনাগোনা পেলাম।
আস্তে আস্তে বাংলায় কোলাহল আর চিরচেনা বাংলা গানের মাঝে আমি খুজে পেলাম কিছুটা হলেও সেই বাংলাকে। পৌছেই পরিচিত বন্ধু-কলিগ-সিনিয়রদের তালাশ শুরু করলাম, এর মাঝে প্রথমআলো ব্লগের ব্লগার কেএস আরেফিন ভাই এর সাথে দেখা হলো, ছবি তুললাম দুজনে। এরপর শুরু হলো পরিচিতদের সাথে আড্ডা, ছবিতোলা আর ভিডিও করা। স্টেজে তখন চলছিলো পিচ্চিদের নিয়ে ফ্যাশনশো, এরপর শুরু হলো অতিথিদের বরন, উপস্থিত ছিলেন, জাপানে নিযুক্ত বাংলাদের রাষ্ট্রদূত, এছাড়া কথা সাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন, জাপানের কয়েক সন্মানিত ব্যক্তিবর্গসহ অনেকেই। তাদেক ফুল-ক্রেস্ট নিয়ে বরন করে নেওয়ার পর বক্তৃতা শুরু হলো।
বক্তৃতার পর শুরু হয় গান-নাচ। ক্লোজআপ তারকা সাব্বির আর নিশিথা ছিলেন, গানের জন্য, এছাড়া জাপান প্রবাসীরাও গান গেয়েছেন ও নেচেছেন। উপস্থাপক বারবার অনুরোধ করলেন, স্টেজে গান-নাচের সাথে কেউ নাচলে যেন স্টেজের সামনে না নেচে পিছনে ফোয়ারার কাছে ফাঁকা যায়গায় নাচানাচি করে, তবে গরম আর লোকে লোকারন্যের মাঝে তেমন উৎসাহ পাওয়া গেল না। স্টেজের ডান পাশে চলছে দেশিয় খাবারের স্টলের রমরমা বিজনেস। অনেকদিন পর পেলাম, শিককাবাব, পেঁয়াজু, সিংগাড়া দর্শন।
এছাড়া ছিলো মুরগীর ডোনার কাবাব, খিচুড়ি, মিষ্টি, পিঠা, ফ্রেন্স ফ্রাই, বিরিয়ানি, হালিম, চটপটি। আমাদের দেশিয়দের চেয়ে গ্রাহক কোন অংশে কম না, জাপানিজসহ অন্যান্যদেশিয়দের। জাপানিজরা দেখলাম বেশ আগ্রহ নিয়ে খাচ্ছে। অনেক জাপানিজ দেখলাম, বেশ কষ্ট করে হলেও দেশিয় খাবারের নামগুলি উচ্চারনের চেষ্টা করতে। তবে মজা পেলাম জাপানীজদের উল্টা স্টাইলে খাবার দেখে, নান রুটি আর কারি একসাথে মিশিয়া না খেয়ে অনেকে নান খালি খেয়ে পরে কারি খাইতেছিলো।
আগে থেকেই জানতাম এই নিশিগুচি পার্কে শহীদ মিনার আছে, কিন্তু লোকজনের ভিড়ে খুজে পাচ্ছিলাম না, পরে এক কলিগের কাছে অবস্থান দেখে সেদিকে এগিয়ে গেলাম, কিন্তু এতো ছোট যে, চোখেই পড়ে নাই, এই শহীদ মিনারটি তৎকালিন প্রধানমন্ত্রী বেগম জিয়া নিদর্শন হিসাবে এটা প্রদান করেন।
ভিডিও আর ছবিগুলো আশা করি ভালো লাগবে।
-------------
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।