পহেলা বৈশাখের সাজ নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন আকাঙ্ক্ষ’স বিউটি পার্লারের রূপবিশেষজ্ঞ জুলিয়া আজাদ।
বাঙালির বার মাসে তের পার্বণ। একথা যেমন সত্য আবার প্রত্যেক উৎসবের গুরুত্বও আমাদের কাছে আলাদা। পহেলা বৈশাখ প্রত্যেক বাঙালির উৎসব। লাল-সাদা শাড়ি আর পাঞ্জাবিতে নিজেকে নতুন করে ফিরে পাওয়া।
ছেলেদের জন্য না হলেও, শাড়ি পরার পর এই উৎসবের দিনে সব মেয়েই সুন্দর করে সাজতে পছন্দ করেন।
জবড়জং নয়, খুবই হাল্কা সাজ হলেই ভালো। বাংলা নববর্ষে নিজের কোমলভাব ফুটিয়ে তুলতে কয়েকদিন আগে থেকেই চর্চা শুরু করুন।
শরীরের দুষিত পদার্থ বের করতে পানির প্রয়োজন। পাশাপাশি গরমের সময় ত্বকের কোমলতা বৃদ্ধি করে আর মুখে ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনাও কমিয়ে দেয় পানি।
তাই পহেলা বৈশাখের আগে থেকেই বেশি পানি পান করুন।
তবে বিভিন্ন রোগের কারণে যারা ডাক্তারের পরামর্শে নির্দিষ্ট পরিমাণ পানি পান করেন, তারা সেভাবেই খাবেন।
বাইরে বেড়াতে গেলে চোখে কাজল বা আইলাইনার আর ঠোঁটে লিপস্টিকই যথেষ্ট। তবে কোনো ঘরোয়া উৎসবে চলতে পারে হালকা সাজ।
পহেলা বৈশাখের আগেরদিন অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে ফেইশল করতে পারলে ভালো।
সম্ভব না হলে এক্সফলিয়েট করে নিন অথবা ফেইশল মাস্ক লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এরপর ভালো করে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে মালিশ করে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে মুখ ভালো করে ধুয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিন।
সাধারণত পহেলা বৈশাখের উৎসবগুলো দিনের বেলায় হয়। তাই বেশি ভারী সাজ কখনোই ভালো লাগবে না। আবার একেবারে সাদামাটা মেইকআপও মানানসই হবে না।
মেইকআপ করার আগে সান্সক্রিন লোশান লাগিয়ে একটু অপেক্ষা করুন। তারপর ত্বকের স্বাভাবিক রং বজায় রেখে খুবই যত্ন নিয়ে মেইকআপের বেইস করুন। একটু সময় নিয়ে ভালো করে ত্বকে মিশে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এই বেইস মেইকআপ যত ভালোভাবে ব্লেন্ডিং করবেন তত বেশি স্বাভাবিক লাগবে আপনাকে।
এরপর ট্রান্সলুসেন্ট বেইস পাফ করে নিন।
ট্রান্সলুসেন্ট পাউডার না থাকে তবে ফেইস পাউডার এক্সট্রা করে পাফ করে নিন। এরপর অল্প পানি স্প্রে করুন পুরো মুখে। এখন পাফ দিয়ে পাউডার ভালোভাবে মিলিয়ে নিন ত্বকে।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।