আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

পিলখানা ষড়যন্ত্র ও কিছু কথা

সাবধান!! এখানে সিআইএ-র গোপন ক্যামেরা আছে

ক’দিন পরপরই এখানে ওখানে চোখে পড়ে ঢাউস সাইজ কিছু পোস্টার। হিযবুত তাহরীর নামক একটি সংগঠনের ব্যানারে এসব পোস্টারে ঢাকার বিভিন্ন দেয়াল ছেয়ে যায়। গত দু’দিন যাবত এরকম পোস্টার ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় দেখলাম। তাতে বড় করে লেখা পিলখানা ষড়যন্ত্র। বিষয়টা দেখে আমার বেশ আগ্রহ জন্মালো।

কারণ, বিষয়টি বেশ স্পর্শকাতর। এই বিষয়টি নিয়ে অনেক জল ঘোলা হচ্ছে। আসল ঘটনা সাধারণ জনগণ কিছুই জানতে পারছে না। ওনাদের দৃষ্টিতে ঘটনার বিশ্লেষণ শোনার জন্য গত বিকেলে গিয়েছিলাম ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে। আলোচনা শুরু হওয়ার পর প্রত্যেক বক্তাই তাদের আলোচনায় এই ঘটনার জন্যে ভারতকে সন্দেহের শীর্ষে রাখলেন।

কেন শীর্ষে রাখলেন সেই বিষয়ে ওনারা যে ব্যাখ্যা দিলেন তা হলোঃ ১। বাংলাদেশের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল করা ভারতের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ। অতীতেও ভারত এই প্রচেষ্টা চালিয়েছে। এর মাধ্যমে ভারতের অখন্ড ভারত ও প্রতিদ্বন্দ্বী আঞ্চলিক শক্তির মর্যাদা লাভের পথ সুগম হয়। ২।

মুসলিম প্রধান দেশ হিসেবে বাংলাদেশের সেনাবাহিনী সবসময়ই ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি। বি.ডি.আর বিদ্রোহের মাধ্যমে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমাদের সেনাবাহিনী। এখানেও লাভবান একমাত্র ভারত । যেসব মেধাবী সেনা কর্মকর্তাদের নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে তাদের মতো সেনা কর্মকর্তা তৈরী করতে দীর্ঘ সময় প্রয়োজন। উপরন্তু, এই সেনা হত্যাকান্ডের মাধ্যমে বি.ডি.আর ও সেনাবাহিনীর মধ্যে যে সন্দেহ এবং ভুল বুঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে, তার দীর্ঘ মেয়াদী সুবিধাও যাবে ভারতের পকেটে।

৩। দেশের সীমান্ত অরক্ষিত হলে সবচেয়ে সুবিধা হবে ভারতের। ভারত এ সুযোগে অনেক পুশ ইন করবে, যার মধ্যে রয়েছে ফেনসিডিল, ইয়াবা, ভারতীয় মোটর সাইকেল এবং কিছু মানুষ, যারা কোন ঘটনা ঘটাবার অপেক্ষায় থাকবে। অন্যদিকে বি.ডি.আরের চেইন অব কমান্ড ধ্বংসের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বি.ডি.আর কে তার পূর্বের শক্তিশালী অবস্থায় ফিরিয়ে আনতেও দীর্ঘ সময় প্রয়োজন।

এই বিষয়গুলো কি ভারতের প্রতি বিষেদেগার নাকি রূঢ় বাস্তবতা?

সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     বুকমার্ক হয়েছে বার

এর পর.....

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।