আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সংসদে আলোচনার পথ খোলা বলে মনে করে আ.লীগ

আগামী নির্বাচন কোন ধরনের সরকারের অধীনে হবে, তা নিয়ে আলোচনার পথ এখনো খোলা আছে বলে মনে করে আওয়ামী লীগ। বিএনপি মনে করে, সচিবসভায় প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্যের পর সমঝোতার সব পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত সোমবার সচিবসভায় বলেছিলেন, সরকারের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগে আগামী ২৪ জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হবে। মন্ত্রিসভা দৈনন্দিন কাজ করবে, নীতিগত সিদ্ধান্ত নেবে না। সংসদ বহাল থাকবে, তবে অধিবেশন হবে না।

এই বক্তব্যের পর বিএনপি বলেছিল, সমঝোতার পথ বন্ধ হয়ে গেছে।
আওয়ামী লীগের নেতাদের মতে, ১২ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া সংসদ অধিবেশনে বিরোধী দলের সঙ্গে এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। তবে বিরোধী দলকেই নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা নিয়ে আলোচনার প্রস্তাব দিতে হবে।
আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রথম আলোকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য নিয়ে কোনো বিভ্রান্তি বা বিতর্কের সুযোগ নেই। তিনি সংবিধান অনুযায়ী কথা বলেছেন।

তবে বিরোধী দল চাইলে সংসদ অধিবেশনে আলোচনা করতে পারে। সেখানে আলোচনার পথ খোলা আছে।
আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই নির্বাচন হবে। সচিবসভায় দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যই হচ্ছে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক অবস্থান। এই নেতারা মনে করেন, বিএনপি এখন যা-ই বলুক, শেষ পর্যন্ত তারা নির্বাচনে আসবে।

কারণ, গত সাড়ে চার বছরে আওয়ামী লীগের অধীনে প্রায় সব নির্বাচনে তারা অংশ নিয়েছে। সেসব নির্বাচনে বেশির ভাগ ক্ষেত্রে তাদের প্রার্থীরা জয়ীও হয়েছেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপি শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের অধীনেই নির্বাচনে আসবে। নির্বাচন নিয়ে দলটির নেতারা এখন যা বলছেন, তা তাঁদের রাজনৈতিক কৌশল মাত্র।
আওয়ামী লীগের শীর্ষস্থানীয় নেতাদের কেউ কেউ মনে করেন, রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে নির্বাচন করেই ক্ষমতায় যেতে হবে।

গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচন না করে ক্ষমতায় যাওয়ার সুযোগ নেই। সুতরাং বিএনপি যদি মনে করে, জনগণ তাদের সঙ্গে আছে, তা হলে দলটিকে নির্বাচনে অংশ নিতে হবে।
এ প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের একজন নীতিনির্ধারক বলেন, নির্বাচনে বিএনপি এলে ভালো। আর না এলেও খারাপ কিছু দেখছেন না তিনি। সরকারের দুজন জ্যেষ্ঠ মন্ত্রীও মনে করেন, শেষ পর্যন্ত বিএনপি নির্বাচনে অংশ নেবে।


নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার মূল লক্ষ্য তাঁর দুই ছেলেকে রক্ষা করা। এ জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের নামে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করছেন। রাজনৈতিক দল হিসেবে তাঁদের নির্বাচনে না এসে কোনো বিকল্প নেই।
দেশকে নির্বাচনমুখী করে বিরোধী দলের আন্দোলন মোকাবিলার কৌশলও নিয়েছে আওয়ামী লীগ। সে জন্য প্রধানমন্ত্রী দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশ অব্যাহত রাখবেন।

কয়েক দিন ধরেই তিনি বিভিন্ন সভা-সমাবেশে দলীয় প্রতীক নৌকায় ভোট চাইছেন। এ ছাড়া আজ থেকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী মনোনয়ন-প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। শেখ হাসিনা তৃণমূল নেতাদের সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে মতবিনিময় করবেন। শরিক দলগুলোর সঙ্গেও শিগগিরই বৈঠক করবেন তিনি। চলতি মাসের মাঝামাঝিতে আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও আনুষ্ঠানিকভাবে গঠন করা হবে।

কমিটি গঠনের পর শরিক দলগুলোর সঙ্গে আসন ভাগাভাগি নিয়ে আলোচনা শুরু হতে পারে বলে মনে করছে সূত্র। ।

সোর্স: http://www.prothom-alo.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.