আমি একজন পর্যটন কর্মী। বেড়াতে, বেড়ানোর উৎসাহ দিতে এবং বেড়ানোর আয়োজন করতে ভালোবাসি।
হামেশা নানা কটূ কথা রাস্তায় শুনি। নানা গোছের মানুষ রাস্তায় থাকে। তাই তারা নিদজদের খেদ, জিদ যে কানো ভাষাতেই আওড়ান।
এটাতে কেউ খুব একটা মাথা ঘামান না।
কিন্তু জাতীয় সংসদ, যেটাকে সাংসদরা মহান বলেই মুখে ফেনা তোলেন, সেখানকার মহান ভাষা আমরা দারুণভাবে আহত হই।
সংবাদপত্রে এ খবর পড়ে নোংরা আনন্দও লন , অনেকে।
দেশের শীর্ষ কাগজেও আমরা নোংরা, অশ্রাব্য ও অশ্লীল শব্দমালা দেখি।
এটাকে কোনো ভাবেই সমর্থন করা যায় না।
নারীদের নিয়ে আলোচনা বরাবরই মুখরোচক, সেই নারী যদি হয় সেলিব্রেটি তাহলে তো কথাই নেই।
আমাদের এক নেত্রী আরেক নেত্রীর চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। তাও আবার জন সভায়। ওই সভায় যারা হাজির থেকে নিজেদের ধন্য মনে করেন তারা আবার সে গুলো পরে আওড়ান। বেশ সক্ষমতার সাথেই মাইকে বলেন।
অ্যাডাল্ট কথা আমরা বন্ধু মহলে বলি, অ্যাডাল্ট জোকস করে খিল খিল করে হাসি। কিন্তু এখন নয় অনেক আগে থেকে রাজনৈতিক দলের মঞ্চে, সংসদে এর চর্চা আমাদের আহত করে। তবে নিহত হই না। কারণ আমাদের কাছে এটা এক ধরণের অভ্যস্ততায় পরিণত হচ্ছে।
এ থেকে মুক্তি চাই।
নিহত বিবেককে জাগিয়ে তুলতে চাই। বেহুলা সুন্দরীর মত আমাদের নাচের কলা শেখা নেই। তাই বদবতাকে খুশী করে প্রাণ ফিরে পাওয়া যাবে না ঠিক। কিন্তু সংসদে এ মহান সঙ্কট কাটিয়ে ওঠা খুব একটা দু:সাধ্য হবে বলে মনে করছি না।
মহান সাংসদরা অ্যাডাল্ট চ্যানেলে পরিণত করেছে সংসদ টিভিকে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।