আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

রূপরেখা সংসদে দিন:  ১৪ দল

একই সঙ্গে মুক্তিযুদ্ধের ‘পক্ষের’ অন্যান্য দলকেও জোটে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ধানমণ্ডিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের বৈঠক শেষে কেন্দ্রীয় মুখপাত্র আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম সাংবাদিকদের বলেন, “তারা (বিএনপি) আন্দোলনে ব্যর্থ হয়েছেন। আন্দোলন করতে পারেনি। এখন নির্বাচনের সময়; তথাকথিত আন্দোলনের সময় নয়। যেকোন প্রস্তাবই তারা সংসদে দিতে পারে।

সেখানে গিয়ে বলুক। আপত্তির কিছু নেই। ”
১৮ দল ‘আন্দোলনের ট্রেন মিস করেছে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সোমবার বিএনপির সংসদীয় ককাসের এক আলোচনা সভায় দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, বিএনপির পক্ষ থেকে দ্রুত ‘অর্ন্তবর্তী সরকারের রূপরেখা’ দেয়া হবে। প্রায় দুই বছর আগে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্ত করার পর থেকেই তা পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বিএনপি ও তাদের শরিকরা।


সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ২৭ অক্টোবর থেকে ২৪ জানুয়ারির মধ্যে বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচন হওয়ার কথা। এর বিরোধিতায় বিএনপি নেতারা বলছেন, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে তারা যাবেন না।
অন্যদিকে সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের অধীনে।
১৪ দল সম্প্রসারণ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “বৈঠকে ১৪ দলের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের অন্যান্য দলকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা এর আগেও জোট নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেছি।

অন্যান্য দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। ”
তবে কোন কোন দলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে সে বিষয়ে কিছু বলেননি তিনি।
‘সংসদ বহাল রেখে নির্বাচন করা কঠিন’- নির্বাচন কমিশনের এমন বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে নাসিম বলেন, “এটা একজন নির্বাচন কমিশনের ব্যক্তিগত অভিমত। তাছাড়া সবকিছুই এখন আলোচনার পর্যায়ে আছে। ”
দুই দলের মধ্যে সংলাপ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে ১৪ দলের অন্যতম শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “অতীতে ১৪ দলের পক্ষ থেকে বাবার সংলাপের আহ্বান জানানো হলেও বিরোধী দলীয় নেত্রী তাতে সাড়া দেননি।

তারা সংলাপে আসতে চাইলে ১৪ দল স্বাগত জানায়। তারা সংসদে কথা বলতে পারে। ”
সংসদের বাইরেও এ বিষয়ে আলোচনা হতে পারে বলে জানান তিনি। ১৪ দলের এই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত।
তিনি বলেন, “তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে সরে এসেছেন।

জনগণ তাদের ওই দাবি প্রত্যাখান করেছে। এতে লজ্জার কিছু নেই। নিজের বুদ্ধিতে হোক আর অন্য কারো বুদ্ধিতে হোক তারা একটি রূপরেখা দেবেন বলেছেন। তাদের শুভ বুদ্ধির উদয়কে স্বাগত জানাই। ”
“দেখি কোথায় তারা রূপরেখা দেন।

আর দুইদিন পরে সংসদ শুরু হচ্ছে। সংসদ আলোচনার জন্য সর্বোচ্চ জায়গা। ”
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত শেষ করার তাগিদও দেন জোটের নেতারা। অন্যদের মধ্যে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, জাসদের সাধারণ সম্পাদক শরিফ নুরুল আম্বিয়া, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক শিল্পমন্ত্রী দিলীপ বড়ুয়া, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরুর রহমান সেলিম, ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান মল্লিক, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের আহ্বায়ক ওয়াজেদুল ইসলাম প্রমুখ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।


সোর্স: http://bangla.bdnews24.com

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.