আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ব্লগে ১বছরের আমলনামা ২য় কিস্তি যতো প্রিয় আছে

পাখি এক্সপ্রেস

আশরাফ, আমাদের পাশের উপজেলার ছেলে । দুর্দান্ত কবিতা লেখে। তাকে খুব ইর্ষা হয়। আমাকে শানানোর জন্য তার প্রচেষ্টা মুগ্ধ করে। ফরহাদ উদ্দিন স্বপন আমাকে নন প্র্যাকটিক্যাল মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করেছে।

আমাকে নিয়ে যে ভাবেন এতে খুব খুশি। আরো খুশি হই যখন তিনি সামনে পরীক্ষা দেয়ার বিষয়ে খোজ খবর নেন। ব্লগার রাঙা মিয়া আমাকে নিয়ে খুব আশাবাদী। অনেকগুলো দ্রোহের কবিতা লিখিয়েছেন সবাকের হাতে। দরদ দিয়ে লিখিনি বলে যার অনেকগুলো দেখলে এখন খুব আফসুস হয় ।

বানরের ছবিওয়ালা প্রোফাইলধারী সাঁঝবাতি'র রুপকথা এক পোস্টে আমাকে তার প্রিয় ব্লগার হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। কারণ হিসেবে ছিলো রাজাকার বিরোধী লেখা। ভীষন উঃসাহ পেয়েছিলাম সেদিন। কাঁকন নামের ব্লগারের সাথে ব্লগে মুখোমুখি হতে আমার ভয় লাগে। ভুমিপুত্র নামের আমার ব্লগ উপন্যাসের নিয়মিত ঘোরতর পাঠক ছিলেন।

অনেকবার অনুরোধ করেছিলেন উপন্যাসটা শেষ করতে কিন্তু আমি পারিনি। ব্লগটাকে রাজাকারমুক্ত করার জন্য রিয়াজ শাহেদের তৎপরতার কথা আমার মনে থাকবে। এক কবিতায় এসে লিখে গিয়েছিলেন "সুমনভাই আগে ব্লগটারে রাজাকার মুক্ত করি, তারপর ইচ্ছেমতো কোবতে লেখা যাবে"। আবদুর রাজ্জাক শিপনকে ভাবতাম দেশে থাকে, আবার আলী আরাফাত শান্তকে ভাবতাম বিদেশে থাকে। আসলে পুরো ভাবনাটাই মিথ্যা ।

আমার ব্লগে তাদের উপস্থিতি আমাকে ব্লগে সময় ব্যয়ে উঃসাহিত করে। একজন ব্লগারকে খুব মিস করি, তার নাম রূপার পালকি। তার ব্লগিংয়ের শুরু থেকে আমার পাতায় পা রাখতো। এখনো ব্লগে আসলেই আমার বাড়ি একবার আসবেই। ইমরোজ (হমপ্রগ) আমার কাছে আরেক বিশেষ ব্লগার।

খুব ভালো লাগে লোকটাকে। খুব। পারভেজ ভাই'র কবিতা খুব ভালো লাগে। আমার দেখা সবচে ইমোশনাল পোলা। নাম অন্তিম।

তারে চেনার আগে নিজেরেই সবচে ইমোশনাল ভাবতাম। আমার Ranking টারে মাঠে মাইরা দিছে এই পোলা। কখনো সুযোগ পেলে অন্তিমের সাথে জীবনের বেশ ক'টা দিন কাটানোর ইচ্ছা আছে। এতো নন প্প্প্র্যাকটিক্যাল পোলা খুবই আছে। নিয়ন আলোয় বাউলের লেখার মাঝে আমি সুপ্ত কিছু দেখি।

তারমাঝে কিছু একটা আটকে আছে। সে ছাড়তে পারছে না। তবে একদিন ঠিকই পারবে। প্রাকৃত'র কথা বলি, সোজা সাফটা কবিতা লেখে। একেবারেই সরল।

আমাকে রীতিমতো দুখুমিয়া বানিয়ে ছাড়লো। অন্তিম, নিয়ন আলোয় বাউল আর প্রাকৃত'র নাম আমি পাশাপাশি রাখতে পছন্দ করি। তনুজা, অদৃশ্য, নিবিড়, তারার হাসি, শতরূপাসহ বেশক'জন ব্লগার আছেন যাদের ব্লগে সময়ের অভাবে যেতে পারি না এখন আর আগের মতো কাজে ফাঁকি দিই না কারণ বিয়ার বিয়ার বয়েস হচ্ছে আমাকে মাঝে মাঝে কিছু ব্লগার চমকে দিয়েছিলেন। ফোন অথবা ম্যাসেঞ্জারে এ্যাড করে। প্রথম চমকটা আসে নিহন থেকে।

একদিন বিকেলে ব্লগার মানব মানিকের ফোন পাই। কিন্তু তিনি কোনভাবেই আমাকে পরিচয় দিচ্ছেন না। অনেকক্ষন পর যখন মানব মানিক বললেন তখন তার লেখা আমার খুব প্রিয় একটি কবিতার নাম মনে পড়ে যায়। নাম "গডফাদার"। আর তার বার বণিতার জবানবন্দী নামের কবিতাটিতো এক খাঁসা সৃষ্টি।

ব্লগার বৃত্তবন্দী (কাউয়া) ঈদে আমাকে একটি এসএমএস করে। আমি ফোন করে জানতে পারি বৃত্তবন্দী। তখন তার প্রোফাইল ছবি দেখে ভাবতাম চল্লিশোর্ধ এক মানুষ। কিন্তু প্রথম যখন তাকে দেখি, আমিতো "প"। এতো পুরা আগুন যুবা।

রুবেল শাহ আমাকে এক রাতে ফোন দেয়। শুরুটা ছিলো "শালা" দিয়ে। এতো খুশি হয়েছিলাম তার ফোন পেয়ে, যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। তবে শালার "শালীটা" খুব ভালা। ব্লগার মেসবাহ যায়াদ বিশেষ বিশেষ দিবসে অনেকের সাথে আমাকেও একটি এসএমএস সেন্ড করবেন।

তার এসএমএসগুলো আমার পিসিতে সেভ করা আছে। সর্বশেষ চমক দেয়েছে সত্যের মতো বদমাশ। গতপরশু আমাকে ফোন দিয়েছিলো। একজন প্রণব আচার্য। যাকে আমি গুরু সম্বোধন করি।

ভালো লাগে মুক্তি মন্ডলের কবিতা। খুব ভালো লাগে। ফয়সল নোই খুব কম লেখে আর যাই লেখে জোওস লেখে। একজন কবির কবিতা পুরোটা না পড়েই এড়িয়ে যেতাম। একপর্যায়ে খুব বিরক্তও লাগলো।

পরে প্রণব আচার্য বললেন, আপনি পড়ে দেখুন ভালো লাগবে। আসলেই তাই, আন্দালীব অসম্ভব ভালো লেখে। অরণ্য ! তার কবিতা একেবারে হৃষ্টপুষ্ট খরগোশের মতো। বিচ্ছিরি প্যাটেন্টধারী বৃত্তবন্দীর উপর ইদানিং কাউয়া নজর ফেলছে। কে জানে হয়তো কবির সাথে কাকের একটা সম্পর্ক আছে ।

মাঠশালার কবিতা মনযোগ দিয়ে পড়লে নেশায় পড়ি। সোমেস্বর অলির কবিতা স্নানঘরে নিয়ে যায়। এই দু'ইয়ের কবিতা পর পর পড়ি। এবং অশোক দেব। আমার প্রচুর সময় নষ্ট করেন।

ওনার লেখা পড়তে গেলে অনেক প্রস্তুতি নিয়ে যেতে হয়। দিনমজুরের ক'টা লেখা পড়েছি। কেন জানি তার লেখাগুলো খুব কার্যকর মনে হয়। নাস্তিকের ধর্মকথার ধর্ম বিষয়ক পোস্টগুলো দেখি আর ভাবি একজন মানুষ কতটুকু জ্ঞান ধারণ করতে পারেন ! গল্প খুবই কম পড়ি। একবার খুব মনযোগ দিয়ে আকাশচুরি আর মোস্তাফিজ রিপনের গল্প পড়ি।

লোভে পড়ে যাই। কিন্তু তারা এতো দেরি করে লেখা দেন যে বারবার ফিরে আসতে হয় । ফারহান দাউদের চাকরি ছেড়ে দেয়া সংক্রান্ত একটি লেখা বেশ কয়েকবার পড়েছি। রাগ ইমনের কয়েকটি লেখা পড়েছি। ভালো লাগছে ভীষণ।

পুতুল নামের এক ব্লগারের কয়েকটি লেখা আমার কাছে ভিন্নমাত্রায় ঠেকেছে। লীনা ফেরদৌসীর শ্লোকছড়াগুলো পড়তে যাই। নম্রতার কবিতা পড়ার লোভে ভুগি। লাবন্যপ্রভার প্রথমাবস্থার লেখাগুলো খুব ভালো লাগতো। নাফিস ইফতেখার।

একটি অত্যাশ্চার্য ছেলে। তার একেকটি পোস্ট দেয়ার পেছনে যে পরিমান সময় ব্যয় করে, আমার দ্বারা কখনো সম্ভব হবে না । নির্মল বিনোদন দিয়েই যাচ্ছে ব্লগারদের। আমারতো এখন তার নাম দেখলেই হাসি আসে। কইলজাভর্তি জোক নিয়ে পোলাটা চলে মনে হয়।

যদি মেয়ে হতাম। তবে একটি ছেলেকে প্রেমের জালে আটকানোর জন্য যতো ফাঁদ পাতা যায়, সবই পাতার চেষ্টা করতাম। এতো বৈচিত্রময় সে, আমার মনে হয় তার জীবনটা অবিকল তার কবিতার মতো। আমি নির্ঝর নৈ:শব্দের কথা বলছি। কি সুন্দর লেখে।

(খুব কনফিউসনে আছি কোন কোন প্রিয় মনে হয় লেখায় আসেন নি ) ============================= বাকিটা ৩য় এবং ৪র্থ কিস্তিতে (আরেকটা কিস্তি বাড়লো, ওই কিস্তিতে সব অপ্রিয় ঝেড়ে ফেলবো। )

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.