উঁকি দাও ফুল!
সন্দেহ প্রকাশ করিতেছি না, কেবল পেঙ্গুইন প্রকাশিত মনিষী অফলাতুন লিখিত লাস্ট ডেইজ অব সক্রেটিস নামের একখানা সংকলন নীলক্ষেত্রের সড়কপার্শ্বে পাইয়া পাঠ করিয়াছিলাম, আর এইখানে ওইখানে দুই চারি কথা... সক্রেটিস বিষয়ে এই আমার বিদ্যার দৌড়।
অধুনা সামহয়ারব্লগে জ্ঞানী এক ব্যক্তির সাক্ষ্যাৎ পাইলাম, জ্ঞানের ভারে যিনি ভ্রুক্ষেপন করিয়া চলিয়াছেন। তাহার ব্লগে পাইলাম এক অমর বাণী: তর্ক করে শুধু বোকারা, সক্রেটিস।
বাণী আমি চিরকাল ভালবাসি, তবে সক্রেটিস এই বাণী কোথায় উদগীরণ করিলেন, তা জানার বাসনা আমার ব্লগ জীবনে মিটিল না।
মনিষী আফলাতুন এর চিত্রিত সক্রেটিস আজীবন তর্কই করিয়া চলিলেন, আদালেত ঢোকার মুখে তর্ক, আদালতে তর্ক, বাজারে তর্ক, মৃত্যুর আগ মুহূর্তেও পারিলে আসো কিছু তর্ক করি, এমত ব্যক্তিত্বই তার রচনায় পাই।
আজিকার ক্রসফায়ারের যুগে তর্ক অনভিপ্রেত, তাই হয়তো বা সক্রেটিসের আধুনিক বঙ্গদেশীয় ভূত ভ্রুক্ষেপিত জ্ঞানকে স্বপ্নে এই বাণী দিয়াছেন, হইতেও পারে! কিংবা হইতে পারে আফলাতুনের সমগ্র রচনায় কোন অসচেতন মুহুর্তের্ উদ্ধৃতি।
জানি না, জানিবার উপায়ও নাই। ভ্রুকে প্রথম যেদিন চিনিলাম, উহার ব্লগে ঢুকিয়া দেখি আমার ওইখানে মন্তব্য করা বারণ।
সক্রেটিস পূর্বজন্মে বিশ্বাস করিতেন, বুঝিবা ভ্রুর সাথে আমার পূর্বজন্মেরই কেনা বিরোধ থাকিয়া থাকিবে, জাতিস্মর না হইবার কারণে যার স্মৃতিআমার নাই, ভ্রুর আছে।
আপত্তি নাই, খালি যদি জানিতাম, সক্রেটিস কোন স্থলে তর্ক না করিতে বলিয়াছেন...
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।