অন্যদের কথা আর কি বলবো, ২০১০ সালে ব্লগিং জগতে পা দিলাম, কষ্ট করে করে আর্টিকেল লিখতাম ডেইলি ১টা করে। সোশ্যাল বুকমার্ক ও ডিরেক্টরি সাবমিশোন ও করতাম। সব মিলিয়ে ডেইলি ট্রাফিক হতো ৩০ থেকে ৬০! কষ্ট লাগে ওই দিন গুলোর কথা ভাবলে। সব কিছুর একটা নিয়ম কানুন থাকে। আজকের আর্টিকেলে চেষ্টা করবো, ওয়েবসাইট এর ট্রাফিক ও রেঙ্কিং বাড়ানো নিয়ে কিছু সাজেশন দেওয়ার।
ভালো লাগলে জানাবেন ভুল হলেও জাবাবেন। তো, শুরু করি।
ভালো মানের আর্টিকেল যে ভাবে লিখবেনঃ
হুম। আর্টিকেল কিং, কিন্তু সব আর্টিকেল নাহ। আপনার আর্টিকেল হতে হবে তথ্য সম্পূর্ণ।
আপনার ওয়েবসাইট যেই টপিক এর সমসময় সেই টপিক নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন। মনে করেন, আপনার ওয়েবসাইট SEO Tutorial এর জন্য। এখন যদি আপনি আপনার ওয়েবসাইটে টেকনোলজি নিউজ দেন তাহলে তো ট্রাফিক বিরক্তবোধ করবেই। রিলেভেন্ত আর্টিকেল পাবলিশ করুন আপনার ওয়েবসাইটে। ছোট আর্টিকেল লেখা থেকে বিরত থাকুন।
কমপক্ষে ৪০০+ ওয়ার্ড এর আর্টিকেল লিখুন। আপনার আর্টিকেল এর জন্য প্রয়োজনীয় ফটো বা ভিডিও দিন। গুগল ইমেজ সার্চ করে ফটো নিতে পারেন। মনে রাখবেন ফটোটা সরাসরি কপি পেস্ট নাহ করে প্রথমে ডাউনলোড করুন তারপরে ফটোশপ দিয়ে সাইজ কম বেশি করে দিন, সম্ভব হলে কিছুটা এডিট করে দিন। আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে যেই ওয়ার্ড গুলোর সাথে আপনার ওয়েবসাইট এর অন্য আর্টিকেল গুলো মিলে সেই ওয়ার্ড এ অন্য আর্টিকেল এর লিঙ্ক যোগ করুন।
মিল নাহ থাকলে নাহ করাই ভালো। আপনার আর্টিকেল পরিষ্কার রাখুন ও ছোট ছোট প্যারাগ্রাফ লিখবেন নাহ। যেই টপিক নিয়ে আর্টিকেল লিখবেন সেই টপিক এর সম্পূর্ণ তথ্য দিবেন আপনার আর্টিকেল এর মধ্যে। মনে করেন, আপনি “” On-Page SEO “”নিয়ে আর্টিকেল লিখলেন – তাহলে On-Page SEO এর সকল তথ্য আপনার আর্টিকেলে প্রভাইড করুন, প্রয়োজন হলে, পার্ট, পার্ট করে লিখতে পারেন। আপনার আর্টিকেল এর জন্য সঠিক কি-ওয়ার্ড ব্যাবহার,টাইটেল ও বিবরণ লিখুন।
প্রয়জনে, আলাদা ভাবে কি-ওয়ার্ড রিসার্চ করে নিতে পারেন। আপনার আর্টিকেল লেখা শেষ হলে সোশ্যাল নেটওয়ার্ক গুলোতে শেয়ার করুন। অবশ্যই, কোন প্রকার টুল,সফটওয়্যার বা কপি পেস্ট করবেন নাহ আপনার আর্টিকেল এর জন্য। নিজের যোগ্যতাই যতটুকু পারেন চেষ্টা করুন। আজ নাহ হলে কাল বা পরশু অবশ্যই ভালো ভাবে আর্টিকেল লিখতে পারবেন।
ব্লগে বা ওয়েবসাইটে নিয়মিত ভালো মানের আর্টিকেল পাবলিশ করলে ট্রাফিক এমনিতেই বাড়তে থাকবে।
রেঙ্কিং ও ট্রাফিক বাড়ানোর জন্য কিছু টিপসঃ
গেস্ট ব্লজ্ঞিং: সবার আগে গেস্ট ব্লগিং এর কথাই বলি কারন গেস্ট ব্লজ্ঞিং এর মাধ্যমে ভালো মানের ব্যাকলিঙ্ক সহ প্রচুর ট্রাফিক পাবেন, যদি জনপ্রিয় হাই পেজ রেঙ্ক যুক্ত ব্লগ গুলোতে গেস্ট ব্লজ্ঞিং করেন। আপনার রিলেভেন্ত (relevant) ব্লগ গুলো খুজে বের করুন ও সেই ব্লগ গুলোর জন্য আর্টিকেল লিখে সাবমিট করুন। প্রতি সপ্তাহে, ২ থেকে ৩ টা ভালো হাই পেজ রেঙ্ক যুক্ত ব্লগে গেস্ট ব্লজ্ঞিং করলে প্রচুর ট্রাফিক পাবেন। মনে রাখবেন, আপনার রেলেভেন্ত ব্লগ গুলোতেই শুধু গেস্ট ব্লজ্ঞিং করবেন আর যেই ব্লগে ট্রাফিক কম সেই সব ব্লগে নাহ করাই ভালো।
সোশ্যাল বুকমার্কঃ ট্রাফিক এর জন্য মারাত্মক কার্যকর। আপনার ব্লগ এর লিঙ্ক সহ আপনার আর্টিকেল এর লিঙ্ক গুলো দিয়েও সোশ্যাল বুকমার্ক করতে পারেন। আপনার ব্লগের নতুন আর্টিকেল গুলোর লিঙ্ক দিয়ে সোশ্যাল বুকমার্ক করলে সেই আর্টিকেল গুলো সার্চ ইঙ্গিনের সার্চ রেজাল্টে প্রথম দিকে আসবে।
500 DofollowTop Social Bookmarking Site List
ব্লগ কমেন্টঃ ব্লগ কমেন্ত খুবি কার্যকারী মাধ্যম রেঙ্কিং বাড়ানোর জন্য। আপনার রিলেভেন্ত ব্লগ গুলোতে কমেন্ত করুন।
প্রতিদিন ৬/৭ টা এপ্প্রুভ কমেন্ত মেনেজ করুন। হাই পেজ রেঙ্ক যুক্ত ব্লগ গুলো থেকে এপ্প্রভ কমেন্ত নেমাব্র চেষ্টা করুন।
অন্যোন্য এসইও এর কাজ যেমন ডিরেক্টরি সাবমিশোন,আর্টিকেল সাবমিশোন এগুল সপ্তাহে ১ বার করুন। ফোরাম পোস্টিংটা রেগুলার করতে পারেন। তবে এগুল থেকে আশা নুরুপ ফল পাওয়া মুস্কিল।
কুয়ালিটি আর্টিকেল, গেস্ট ব্লজ্ঞিং, সোশ্যাল বুকমার্কিং ও ব্লগ কমেন্ট নিয়মিত করলেই আপনি কাঙ্খিত ট্রাফিক ও রেঙ্কিং পাবেন।
এসইও নিয়ে কোন সমস্যা বা এসইও এর অসংখ্য টিপস ও টুইটোরিয়াল এর জন্য আমাদের ব্লগ ভিজিট করতে পারেন – SEO Tutorial Learning Blog
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।