"কাদম্বিনী মরিয়া প্রমাণ করিল সে মরিয়া গেছে.। "
কুষ্টিয়া,নড়াইল,সাতক্ষীরায় পাকিস্তানী সৈন্যদের বিরুদ্ধে সন্মূখযুদ্ধ করেছিলেন মেহেরপুর জেলার মুজিনগর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা রবিন দফাদার, দাউদ আলি,ছমির উদ্দিন,সিরাজুল ইসলাম ও রওসন আলী। যুদ্ধের কারণে হয়ে পড়েন ভূমিহীন। স্বাধীনাতার ৩৭ বছর পর সরকার থেকে মুজিবনগর স্মৃতি সৌধের পাশে সামান্য খাস জমি পেয়ে সেখানে কোনমতে মাথা গোঁজার জন্য ঘর তুলেছিলেন হতদরিদ্র এইসব মুক্তিযোদ্ধা।
কিন্তু সময়ের কি নির্মম পরিহাস ! মুক্তিযুদ্ধ আর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে যে আওয়ামিলীগ রাজনীতির বানিজ্য করে সে আওয়ামিলীগ ক্ষমতায় আসার পর এসব মুক্তিযোদ্ধাদের উচ্ছেদ করা হল তাদের ভিটেমাটি থেকে।
আর এই মহৎ (??) উচ্ছেদ অভিযানের নেতৃত্ব দিলেন মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের আওয়ামিলীগের সাবেক সভাপতি মমিন চৌধুরী। সরকারি এই জায়গাটিকে এখন তিনি তার বলে দাবি করছেন। কারণ এখন তার সরকার ক্ষমতায়। মমিন চৌধুরী তার দল বল নিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছেন হতদরিদ্র এসব মুক্তিযোদ্ধার ঘরবাড়ি।
৫ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের ৪০ জন সদস্য এখন খোলা আকাশের নিচে বাস করছে।
অন্যদিকে মমিন চৌধুরীর লোকজন দখলি জমির চারপাশে ঘের দেওয়ার কাজ করছে...
এই হল আওয়ামিলীগের মুক্তিযোদ্ধা প্রীতি। যে প্রীতি ভোটের বৈতরনী পার হয়ে গেলে দরিদ্র মুক্তিযোদ্ধাদের ভিটেমাটি ছাড়া করার মধ্য দিয়ে পূর্ণতা পায়.....
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।