পঁচা মানুষ সময় যত গড়াচ্ছে নতুন মাত্রা যুক্ত হচ্ছে গণআন্দোলনে। প্রতিবাদের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ছে সর্বত্র। এমনকি কর্মক্ষেত্রে থেকে এক সুরে আওয়াজ দিচ্ছেন। গণআন্দোলনের পঞ্চম দিনে এসে ম্লান হয়নি একটুও। যেন দ্রুতিই ছড়াচ্ছে কয়েকগুণ।
আন্দোলন আর শাহবাগে সীমাবদ্ধ নেই। শাহবাগ ছাপিয়ে গোটা সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এখন আন্দোলনে উত্তাল হয়ে উঠেছে।
শুক্রবার ছিল মহাসমাবেশ। কিন্তু শনিবার রাতে জনগণের অংশগ্রহণ ছিল আগের দিনের মতোই। যে যেখানে রয়েছে, সেখান থেকেই প্রতিবাদের আওয়াজ তুলছেন।
শনিবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েল চারুকলা অনুষদের কবি নজরুল ইসলাম আর্ট গ্যালারিতে গিয়ে দেখা গেল নতুন এক মাত্রা।
সেখানে একটি চিত্রকলা প্রদর্শনীর আয়োজন করেছেন ৪ আঁকিয়ে। তারা দরজার বড় করে পোস্টার সাঁটিয়ে দিয়েছেন, “রাজাকার প্রবেশ নিষেধ। ”
মৃৎশিল্প বিভাগের নাদিমুজ্জামান, প্রাচ্যকলা বিভাগের মুসতাকিনা তারিন, কারুশিল্প বিভাগের আরিফা খানম পাপিয়ার আঁকা ছবির প্রদর্শনী চলছে।
মুসতাকিনা তারিন বলেন, “আমরা অন্তর থেকে সংহতি জানাচ্ছি শাহবাগের গণআন্দোলনে।
যেহেতু আমরা চাইনা কোনো রাজাকারের পায়ের ধুলায় কলঙ্কিত হোক চারুকলা। ”
এদিকে সোহরাওয়াদী উদ্যানে লালন চর্চা কেন্দ্রেও আন্দোলনের ছোয়া লেগেছে। সেখানেও বিশাল ব্যানার টানানো হয়েছে মূল মঞ্চে।
‘পরের নারী, পরের দব্য হরণকারি ও হত্যাকারীদের ফাঁসি ছাড়া অন্যকিছু মানি না’-ইত্যাদি শব্দে সুর দিয়ে যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি চাচ্ছেন লালনভক্তরা।
লালন চর্চা কেন্দ্রের প্রচার সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বাংলা নিউজকে বলেন, “আমরা বুধবার থেকে আন্দোলনে শামিল হয়েছি।
ফাঁসি না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ”
বৃহস্পতিবার লালন চর্চা কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আন্দোলনকারিদের জন্য খাবার সরবরাহ করা হয় বলেও জানান জাহিদুল ইসলাম।
এদিকে সময়ের সঙ্গে ছড়িয়ে পড়া আন্দোলনের ভাষাও তীব্রতর হচ্ছে। গণআন্দোলন গণ বিস্ফোরণের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
Click This Link ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।