অশুভ শক্তির মুখোশ উন্মোচনেই তৃপ্তি
ঢাবির চারুকলায় গতকাল তুলকালাম ঘটনা ঘটে গেছে। চারুকলা অনুষদে প্রথম বর্ষের ভর্তিচ্ছু ছাত্রদের সাক্ষাৎকারের প্রথম দিন ছিল গতকাল। সাক্ষাৎকার শেষে ছাত্র/ ছাত্রীরা যখন বেরিয়ে আসছিল তখন এসব ছাত্রদের ধরে পাশের পুকুর পারে নিয়ে গিয়ে তাদের র্যাগ দিতে থাকে পুরনো ছাত্ররা। ছেলে-মেয়েদের প্যান্ট-সালোয়ার খুলে ফেলা কিংবা পাঁচশ টাকার বিনিময়ে মেয়েদের উরু পর্যন্ত খুলে রাখা ইত্যাদি বিভিন্ন পন্থায় এসব নবীন ছাত্রদের হয়রানি করা হচ্ছিল। সাংবাদিকরা এ সংবাদ পেয়ে ছুটে এসে চারুকলার অধ্যাপক শিশির ভট্টাযার্যের শরনাপন্ন হলে তিনি তাদের সাথে রূঢ় আচরণ করে বলেন, তোরা কারা? এখানে কেন এসেছিস? চারুকলায় সাংবাদিক নিষিদ্ধ।
র্যাগিং দেয়া চারুকলার ঐতিহ্য। তোরা চলে যা!
পরে সাংবাদিকরা বেরিয়ে আসার সময় শিশির ভট্টাযার্যের মদদে সাংবাদিকদের ওপর চড়াও হয় উচ্ছৃঙ্খল ছাত্ররা। এসময় বেশ ক'জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হয় এবং কয়েকজনের ক্যামেরা কেড়ে নেয়া হয়।
চারুকলার ছাত্রদের আমরা বরাবরই একটু উচ্ছৃঙ্খল দেখে আসছি। চারুকলার ছাত্রদের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়জুড়ে নানা কথা রয়েছে।
বিভিন্ন অপরাধ, নেশা ইত্যাদির সাথে তাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলেন অনেকেই। র্যাগ অপসংস্কৃতির চর্চার মধ্য দিয়ে তারা তাদের দুঃশ্চরিত্রেরই জানান দিল।
এর সাথে সাথে অবাক হতে হয় শিশির ভট্টাচার্যের আচরণে। সাংবাদিকদের তুই তুকারি করার কথা না হয় বাদই দিলাম, র্যাগিংয়ের পক্ষে তিনি যেভাবে নির্লজ্জভাবে অবস্থান নিয়েছেন, তাতে শিক্ষক হিসেবে তার মান তিনি কতটা কমিয়েছেন, তা ভাবা প্রয়োজন।
Click This Link
Click This Link
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।