ইমরোজ
১৯৪৭ সাল থেকে পাকিস্তানের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনগুলো খুব লক্ষ্য করে দেখা যাবে, আসলে এই দেশটি কোনদিন একটি শক্ত ভিত্তি দাঁড় করাতে পারেনি।
শুরু থেকেই তাদের রাজনীতিতে চলেছে আধিপত্য বিস্তারের নোংরা খেলা। আর সেই খেলা আজ অবধি বন্ধ হয়ে যায়নি। পাকিস্তানে গত ১০ বছরে কয়েক হাজারের উপরে মানুষ হত্যা করা হয়েছে। এর মধ্যে ভি আই পির সংখ্যাই শ'খানেকের উপরে।
এক কথায় পাকিস্তান একটা বর্বর দেশ। একটা ব্যার্থ রাষ্ট্র।
পাকিস্তানে কোন বোমা হামলা হলে, বা কোন সন্ত্রাসী হামলা ঘটনা ঘটলে তা বিবিসি বা সি এন এন খুব একটা গুরুত্ব সহকারে প্রকাশ করে না। কারণ এটা পাকিস্তানের প্রেক্ষাপটে খুব সাধারন একটা ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রশ্ন আসতে পারে, কেন পাকিস্তানের এই অবস্থা হলো? এর একটাই উত্তর, পাকিস্তানে এই পর্যন্ত কোন একটা গণতান্ত্রিক সরকার তাদের মেয়াদপূর্ণ করতে পারে নাই।
সব সময় সেনা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তাদের গণতন্ত্রকে রহিত করে দেয়া হয়েছে। গণতন্ত্র একেকবার একেক সংগা পেয়েছে পাকিস্তানে। কখনও মৌলিক গণতন্ত্র, কখনও ইসলামিক গণতন্ত্র। আসলে গণতন্ত্র জিনিসটাই তারা মিস ইন্টারপ্রেট করে আসছে তাদের জন্ম লগ্ন থেকে।
আমি আর বেশি কিছু বলতে চাই না।
তাহলে হয়তো অনেক কথা শুনতে হতে পারে। এক নায়কতন্ত্রের দান পাকিস্তান এখন আফগানিস্তানের হাতে পরেছে। আফগানিস্তানের কোন কিছুই নেই। কিন্তু পাকিস্তানকের মত অসীম শক্তির (!) রাষ্ট্রকে তারা তুলোধূনো করছে প্রতিদিন। হাসতেই থাকি।
পাকিস্তানিরা বলত, তাদের সেনাবাহিনী নাকি বিশ্বের সেরা সেনাবাহিনী। আর এখন, লজ্জায় আর কিছুই বলে না।
পাকিস্তান আজন্ম একটা ব্যর্থ রাষ্ট্র। আজকে শ্রীলংকান খেলোয়াড় দের উপর হামলা করে তাদের দেশের অবস্থা আরেকবার জানিয়ে দিল গোটা বিশ্বকে। আমরাই পারি, সব মাইরা সাফা করে দিতে।
বাংলাদেশের মত একটা দেশে আমরা জঙ্গীদের ফাঁসি দিয়ে ফেলতে পারলাম, আর তারা একজনেরও বিচার করে শেষ করতে পারল না। কেন পারল না? কারণ তাদের মধ্যে কোন শৃংখলা নেই। তাদের বিচারপতিদের নিয়ে তারা নোংরা রাজনীতি করে। এখানে আর কীই বা আশা করব।
পাকিস্তানের হত্যা দিনকে দিন বেড়েই চলেছে।
আজকের ঘটনায় যদি কোন শ্রীলংকান প্লেয়ার মারা যায় তবে, পাকিস্তানে আগামী বিশ্বকাপও অনিশ্চিত হয়ে যাবে।
পাকিস্তানের এহেন অবস্থা দেখে আমি বেশ আনন্দ পাই, এই ভেবে , ভাগ্যিস আমরা আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।