আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাংলাদেশের শ্রীলংকান বধুদের কথা।

বাংলায় কথা বলি,বাংলায় লিখন লিখি, বাংলায় চিন্তা করি, বাংলায় স্বপ্ন দেখি। আমার অস্তিত্ব জুড়ে বাংলা ভাষা, বাংলাদেশ।

বাংলাদেশের অনেক যুবকই আছে যারা মধ্যপ্রাচ্যে গিয়ে তাদের হৃদয় হারিয়েছেন শ্রীলংকান তরুনীদের কাছে। সেই হৃদয় উদ্ধার করতে তাদেরকে শেষ পর্যন্ত বিয়ে করতে হয়েছে শ্রীলংকায়। বর্তমানে বাংলাদেশে এরকম বধুর সংখ্যা কয়েক শত হতে পারে বলে ধারনা করা যেতে পারে।

তবে কোন গ্রীন কার্ডের মোহে নয় কেবল হৃদয়ের টানে শ্যামল বাংলায় অনেক নারী থাকতেও তারা শ্বশুড় বাড়ি করেছেন শ্রীলংকায়। ব্যাপারটা মজাদার ও সত্যি। প্রথমেই বলে নিই, শ্রীলংকার মেয়েরা কিন্তু মো্টেই সুন্দরী নয়। আকর্ষনীয় তো নয়ই। বেশীর ভাগই কালো।

তবে তারা অনেক স্মার্ট। তারা যেমন নিজেদের ঘরে বাইরে প্রচুর কাজ করে তেমনি দেশের বাইরেও তারা প্রচুর কাজ করে। তারা ভাল ইংরেজি বলতে পারে বলে অনেক দেশেই তাদের চাহিদা রয়েছে। তাদের আয়-রোজগারও বাংলাদেশী যে কোন শ্রমিকের চেয় বেশী। মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশে শ্রীলংকান রমনীরা কাজ করে।

তবে অন্য দেশের তুলনায় কুয়েত ও ইউএই অনেকটা উদার দেশ হওয়ায় তারা সেখানে আছে ভাল। বেশীর ভাগ বাংলাদেশী লংকান বধু তাদের হৃদয় খুইয়েছেন কুয়েতে কাজ করতে গিয়ে। কুয়েতেও প্রচুর পরিমাণে বাংলাদেশী মানুষ কাজ করে। সেই সুবাদে শ্রীলংকান মেয়েদের সাথে তাদের জানাশোনা হয়। পেটে বোমা মারলেও বাংলাদেশের মানুষরা একছত্র ইংরেজি বলতে পারে না।

সেই অসুবিধা দূর করেছে হিন্দী ফিল্ম। তাই মোটামুটি সবাই হিন্দী বুঝতে পারে। টুকটাক বলতেও পারে। এই ভাবে বাংলাদেশের যুবকার লংকান তরুণদের সাথে ভাব জমিয়ে ফেলে। সাথে থাকে ইশারার ভাষা।

সেই যে পুরানো দিনের বাংলা ছবির সেই: ইশারায় শিস দিয়ে আমাকে ডেকোনা-র মতো। সেই ভাব বিয়েতে গড়ায়। আমার সাথে এক শ্রীলংকান যুবকের এই বিষয়ে অনেক কথা হয়েছিল । সেই যুবক অনেক দিন ধরে কুয়েতে ছিল। সে যা বলল তা এই রকম।

কুয়েতে বিয়ে করে যে কোন দেশের মানুষ থাকতে পারে । পুলিশের কড়াকড়ির কারণে কোন প্রকার লিভ টুগেদারের সুযোগ নেই। এর সুযোগ নেয় অনেকেই। বিদেশে ৪/৫ বছর একনাগারে থাকলে নানান জৈবিক চাহিদা মানুষকে জ্বালায়। তাই চেষ্টা করলেই সমাধান বের করা যায়।

ওখানে কাজীর কাছ থেকে ভুঞা কাবিন নামা বের করে অনেক শ্রীলংকান তরুনী লিভ টুগেদার করে বাংলাদেশী তরুণদের সাথে। পুলিশ ঝামেলা করতে চাইলে কাবিন নামা দেখিয়ে রেহাই পায়। শ্রীলংকান যুবক থাকলেও তারা বাংলাদেশের যুবকদেরকে বেছে নয় । কারণ, তাতে নিজের দেশে খবর যাবার সম্ভাবনা থাকে না। লিভিং টুগেদারের পরেও যারা মায়া কাটাতে পারে না তারা সত্যি সত্যি বিয়ে করে হয়ে যায় বাংলাদেশী বধু।

বাংলাদেশের যুবকরা হিন্দি সংলাপ আর ইশারা-ইঙ্গিতে কাবু করে ফেলে লংকান তরুনীদেরকে। কিন্তু যখন তারা নিজেরাই কাবু হয়ে যায় তখন বিয়ে বিয়ে করে বাংলাদেশে নিয়ে যায় লংকান বধু।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.