আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিডিআর বর্বরতা: যেসব বিষয়ের সমীকরন মেলে না

আস সালাম - আপনার উপর শান্তি বর্ষিত হোক

আমি সাদা চোখে যা দেখছি, তার অনেক কিছুই গড়বড়ে। বিডিআর বিদ্রোহে সরকারের নেয়া পদক্ষেপ গুলো যৌক্তিক কিনা, কিংবা সময়োপোযোগী কিনা - তা নিয়ে অনেক আলোচনা হচ্ছে। সেটা হতেই পারে। এত বড় বর্বরতার পরে সরকারের ও অন্যান্য সংশ্লিষ্টদের সমালোচনা হবে না - এমনটি আশা করা বোকামী। সুতরাং খুব সংগত কারনেই আমরা অনেক রকম মতামত দেখতে পাচ্ছি।

সাধারন ক্ষমা যৌক্তিক কিনা, বিডিআর জোয়ানরা কি করে পালাল, আর্মি কেন তখন কর্ডন দেয় নি - এসব প্রশ্ন বার বার ঘুরে ফিরে আসছে। খুব স্বাভাবিক, কারন ক্ষতির মাত্রা অনেক বেশী। এই ক্ষতি নিয়ে আলোচনা আজকে যদি না হয়, তবে ভবিষ্যতে এরকম ঘটনায় আবারও আমরা ভুল করব। তবে যে বিষয়টা নিয়ে আমার আজকে প্রচন্ড ব্যস্ততার মাঝেও ব্লগ লেখা। সেটা কিছুইনা - হঠাৎ দেখা একটি নিউজ।

তা হল -সাহারা খাতুনকে বাদ দিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন। কমিটির প্রধান একজন সচিব পর্যায়ের কর্মকর্তা। নিউজটা দেখে আমি অবাক হয়ে কিছুক্ষন তাকিয়ে রই। একটি তদন্ত কমিটিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী থাকবেন, সেটাই স্বাভাবিক। নেহায়েৎ যদি পরিস্থিতির কারনে তাকে না নেয়া হয়, তাহলে প্রথমবার কেন তাকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হল।

আর যদি আবার পুনর্গঠিত করা হল, তবে মন্ত্রী বাদ দিয়ে সচিব পর্যায়ের একজনকে কি করে প্রধান করা হয়? তবে কি এটা ঠুটো জগন্নাথ কমিটি? যদি পুনর্গঠন করতেই হত, তবে হয় প্রধানমন্ত্রীকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা উচিত ছিলো, নতুবা সর্বদলীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা প্রয়োজন ছিল। এভাবে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীকে অপমান করার অধিকার কারো নেই। যতদিন তিনি সে পদে আছেন, ততদিন তার প্রাপ্য সম্মান তাকে দিতেই হবে। আমি এই ঘটনায় সিভিল প্রশাসনের প্রতি সামান্য হুমকির আভাস দেখছি। বিডিআরের বর্বরতা নারকীয়, যে স্বজন হারিয়েছে সেই শুধু তা বুঝতে পারবে।

তা সত্ত্বেও একটি বিষয় কারো চোখ এড়িয়ে যায় না। তা হল, বিডিআর বিদ্রোহ আজ প্রথম হয় নি, বরং বার বার হচ্ছে। এর উৎস মুখ বন্ধে প্রয়োজন যৌক্তিক পদক্ষেপ। সিভিল প্রশাসনকে প্রভাবিত করার কোন রকম অপচেষ্টা সে পদক্ষেপকে গড়বড়ে করবে। সাম্প্রতিক বিডিআর বর্বরতায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রাথমিক সংযম প্রশংসার যোগ্য।

কিন্তু সেনাবাহিনীর বিভিন্ন অতীত কার্যক্রমে সাধারন মানুষের মাঝে তাদের একটি ইমেজ সংকট রয়েছে। যার ফলে, তাদের এমন কোন আচরন করা উচিত নয়, যাতে মানুষের কাছ থেকে দূরত্ব আরো বেড়ে যায়।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.