যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে
সমস্যাটা খালেদা জিয়ার না, এটা সংক্রমিত হয়েছে শহীদ জিয়ার মাধ্যমে। তিনি রাজনীতিকে ডিফিকাল্ট করেছেন, রাজনীতির মধ্যে পলিটিক্স ঢুকাইছিলেন। বাংলাদেশী টার্মটাকে এমনভাবে ডিফাইন করলেন যে বাঙালী হয়ে পড়লো শত্রু, বাংলাদেশী হিসাবে এর আগে কেউ ভাবতে শেখে নাই তেনার আগে। মোটামুটি তিনি বাঙালীদের বাংলাদেশীর সামনে মুখোমুখি দাড় করিয়ে দিলেন যুদ্ধাংদেহীরূপে অথচ উক্ত দুইটা টার্মের মধ্যে কোন বিদ্বেষ থাকারই কথা নয়। বাংলাদেশীদের বেশীরভাগ বাঙালী - এই বিষয়টাকে অস্বীকারের একটা নষ্ট পলিটিক্স ঢুকিয়েছিল তথাকথিত জাতীয়তাবাদের প্রবক্তা।
তার উত্তর ও অর্ধাঙ্গিনীসূরী খালেদা জিয়া বিডিআর ম্যাসাকারের প্রথম দিন বেশ ঐক্যবদ্ধ টোনে বললেন, জাতীয় এই ক্রাইসিসে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, সরকারকে যেকোন সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত।
তৃতীয়দিন মানে ২৭ তারিখ থেকে খালেদা জিয়ার কণ্ঠে নতুন বানী ঝংকৃত হতে থাকলো। তিনি বললেন, বিডিআর বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা ছিল কৌশলগত ভুল। বরবারের মতই ঘর পোড়ার মধ্যে আলু পুড়িয়ে খাবার লোভ তিনি সংবরন করতে পারলেন না। বিডিআরদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা না করে যদি তখনই আর্মীর আক্রমন চালানো হতো জনগনের সাপোর্ট যে আর্মী পেত না সেটা বুঝতে প্রথম দিনের বিডিআর সাপোর্টারদের দেখলেই বোঝা যায়।
এত বড় একটা হত্যাযজ্ঞ হলো, আমাদের সোনার সন্তানদের কুকুরের মত হত্যা করলো অথচ পাবলিক সহানুভূতিশীল হলো বিডিআরএর প্রতি। হাউ কাম! এর জন্য ইনফরমেশন গ্যাপকে একটা বড় কারণ হিসাবে উল্লেখ করা যায়। দরবার হল সহ পিলখানার ভেতরে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ সম্বন্ধে তখনও মিডিয়া, পাবলিক ও সরকার কিছুই জানে না। তেমন একটা অবস্থায় বিদ্রোহের রেশ সীমান্তে ছড়িয়ে যেন না পড়ে তারজন্য সবচেয়ে কৌশলগত সিদ্ধান্ত ছিল সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বিডিআরদের বিদ্রোহ বাড়তে না দেয়া। এটা যে সঠিক সিদ্ধান্ত ছিল তার প্রমান মেলে সীমান্তে বিডিআরদের প্রশমিত হতে দেখে।
অথচ খালেদা জিয়া সরকারের সাথে সহযোগিতার কথা বলে এখন কেবল আর্মীর নৈকট্য অর্জনের জন্য সরকারের সিদ্ধান্তকে কৌশলগত ভুল আখ্যা দিচ্ছেন। আর্মী অফিসারদের প্রতি অবর্ননীয় অত্যাচার দেখে জনমত যখন এখন আর্মীর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে উঠেছে তখন তিনি সুযোগটা নিলেন। অথচ সরকার যখন সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন তখন তিনি উল্টো স্বরেই কথা বলেছিলেন। কে নিষেধ করেছিলো তাকে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণার বিরোধিতা করতে?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।