আত্মবিশ্বাসহীনতায় প্রকট হচ্ছে আত্মার দেউলিয়াত্ব, তবুও বিশ্বাস আগের মতই নিশ্চল..
ক্ষুদ্রঋণ প্রকল্প সম্বন্ধে Click This Link
বইমেলা নিয়ে আমার বরাবরই স্পেশাল পরিকল্পনা থাকে। আমার বইসংগ্রহের ধরনটাও অনেকে বলেন অদ্ভুত। যাইহোক, আমার বন্ধুরা এবারকার বইমেলাকে আখ্যায়িত করেছিল "মিশন বইমেলা কেনা" হিসেবে। গতকাল আমার বইকেনা বেসরকারীভাবে শেষ হয়েছে। তবে, সময় যেহেতু এখনোবেশ কিছদিন আছে, আরও কেনা হতেও পারে।
তার আগে, এখন পর্যন্ত কেনা বইয়ের তালিকাটা দিয়ে রাখি:
বইয়ের নাম লেখক/ অনুবাদক
১. বৌদ্ধ দর্শন = রাহুল সাংকৃত্যায়ন
২.ডেথ অব ইভান ইলিচ = লিও টলস্টয়/ আসিফ খান
৩.নির্বাচিত মালায়ালাম গল্প= সংকলিত/দিব্যিন্দু পালিত
৪. শোশা = আইজাক বশেভিস সিঙার/ মহীবুল আজিজ
৫.লেডি চ্যাটার্জিস লাভার = জি,এইচ, লরেন্স/জাহাঙ্গীর কবির
৬.কালো বরফ= মাহমুদুল হক
৭.মৃত্যুর কড়ানাড়া= গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মারকেস/ বেলাল চৌধুরী
৮. থ্রু আ গ্লাস ডার্কলি= ইয়স্তেন গার্ডার/ দ্বিজেন্দ্রনাথ বর্মন
৯.হে সুন্দর হে বিষণ্নতা= ইয়াসুনারী কাওয়াবাতা/ আলী আহমদ
১০.সিদ্ধার্থ= হেরমান হেস
১১.সংখ্যাতত্ত্বের নানা কথা= সি.স্টানলি ওজিলভি, জন টি. এণ্ডারসন
১২.দি গ্রাস ইজ সিংগিং= ডোরিস লেসিং/ কবীর চৌধুরী
১৩.সুডোকু মিলিয়ে আনন্দ= মুনীর হাসান
১৪.ডাবলিনার্স= জেমস জয়েস/ জুলফিকার নিউটন
১৫.তিথিডোর= বুদ্ধদেব বসু
১৬.ভবঘুরে ও অন্যান্য= সৈয়দ মুজতবা আলী
১৭.বড়বাবু= সৈয়দ মুজতবা আলী
১৮.অন্ধত্ব= হোসে সারমাগো/ শওকত হোসেন
১৯.নানাকথা এবং নানাকথার পরের কথা= সরদার ফজলুল করিম
২০.গুড আর্থ= পার্ল এস বাক্
২১.মালগুড়ি ডেইজ= আর.কে. নারায়ণ/ সৈয়দ হালিম
২২. দ্য মিথ অব সিসিফাস= আলবেয়ার কামু/ মনোজ চাকলাদার
২৩.বিস্রস্ত জর্নাল= আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ
২৪.মান্যবরেষু= নগীব মাহফুজ/ বিদিশা ভট্টাচার্য
২৫. ইলেভেন মিনটস= পাওলো কোয়েলহো
২৬.লোকালয= ইভান বুনিন/খন্দকার মজহারুল করিম
২৭.বনফুলের শ্রেষ্ঠ গল্প= বনফুল
২৮.নদে= সেতিল বিয়োর্নস্তা/ আনিস পারভেজ
২৯, এ প্রাসেজ টু ইন্ডিয়া= ইএম ফরস্টার
৩০.গ্রেট গ্যাটসবি= এফ.স্কট ফিটজিরাল্ড/ কবীর চৌধুরী
৩১.হাজার বছরের বাঙালি সংস্কৃতি= গোলাম মুরশিদ
৩২.আঠারো শতকের গদ্য= গোলাম মুরশিদ
৩৩.জ্যাক দেরিদা, পাঠ ও বিবেচনা= সম্পদনা পরভেজ হোসেন/ফয়েজ আলম
৩৪.এনলাইটেনমেন্টের সম্যক বিবেচনা( ইমানুয়েল কাণ্ট, মিশেল ফুকো, নোয়াম চমস্কি, ম্যাক্স হর্কহেইমার)
৩৫.চমস্কিয় ব্যাকরণ (বাংলা ভাষাকেন্দ্রিক বিশ্লেষণ)= ডঃ বিনয় বর্মন
৩৬.গন উইথ দ্য উইণ্ড= মার্গারেট মিচেল/ শওকত হোসেন
৩৭.ব্ল্যাসফেমি= তাহমিনা দুররানি
৩৮.অবিস্মরণীয় নারী= খুসবন্ত সিং
৩৯.বুদ্ধিজীবীর দায়ভার ( লেখকের নাম মনে নেই, জনৈক বন্ধু পড়তে নিয়েছে)
৪০.কথাসাহিত্যের কথকতা= হাসান আজিজুল হক
৪১.মাই লিটল পপলার ইন এ রেড কারচিফ= চিঙ্গিজ আইৎমাতভ/প্রমিত হোসেন
৪২.মিশেল ফুকো, পাঠ ও বিবেচনা= সম্পাদনা: পারভেজ হোসেন।
৪৩.লড়াই= আলবেয়ার কামু/শামসুদ্দিন চৌধুরী
৪৪.সংস্কৃতির ভাঙ্গা সেতু= আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
৪৫.প্লেটোর ইউটোপিয়া ও অন্যান্য প্রসঙ্গ= বার্ট্রাণ্ড রাসেল/মশিউল আলম
৪৬.সুবর্ণস্রস্টা= পাওলো কোয়েলহো
৪৭.জুয়াড়ী= দস্তয়ভস্কি
৪৮. শ্রেষ্ঠ গল্প= আন্তন চেখভ
৪৯.পূর্বক্ষণ (লেখকের নাম মনে নেই, জনৈক জুনিয়রের হেফাজতে)
৫০. প্রবন্ধ সমগ্র= হাসান আজিজুল হক
৫১.পশ্চিমের মেঘে সোনার সিংহ= শাহাদুজ্জামান
৫২.দি প্র্যাকটিস এণ্ড থিয়োরি অব বলশেভিজম= বার্ট্রাণ্ড রাসেল/ আব্দুল হাই
৫৩.সুফীবাদ= অধ্যাপক আব্দুল মালেক নূরী
৫৪.পুরাণ গল্পের পুনর্গল্প= ল্যু স্যুন
৫৫.থিংকস ফল অ্যাপার্ট= চিনুয়া আচিবি/ জুলফিকার নিউটন
৫৬.মাণ্টোর গল্পসমগ্র-১= অনুবাদ: জাফর আলম
৫৭.দি লেইট বুর্জোয়া ওয়ার্ল্ড= নাদিন গর্ডিমার/ কবীর চৌধুরী
৫৮.নির্বাচিত উর্দু গল্প= জাফর আলম
৫৯.বালি ও ফেনা= কাহলিল জিবরান
৬০.মানুষের শিল্পকর্ম= কবীর চৌধুরী
৬১.রম্র লেখকের বিশ্বপরিক্রমা= আতাউর রহমান
৬২. বিশ্ববিখ্যাতদের রম্যকথা-১
৬৩. বিশ্ববিখ্যাতদের রম্যকথা-২
৬৪.অবরোধ= রিচার্ড কে টেইলর
৬৫. বেউলফ= অনুবাদ: কবীর চৌধুরী
৬৬. তারাশঙ্কর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস-১
৬৭.তারাশঙ্কর শ্রেষ্ঠ উপন্যাস-২
৬৮.একবাল আহমেদ: পাঠ ও বিবেচনা= সম্পাদনা: শরীফ আতিক উজ্-জামান
৬৯.নুহূলের মানচিত্র= শেখ আলমামুন
৭০.এসো, সেপ্টেম্বর= তিলোত্তমা মজুমদার
৭১.পাবলো নেরুদার দেশে= শাকুর মজিদ
৭২.পাস্কুয়াল দুয়ার্তের পরিবার= কামিলো হোসে সেলা/ আলী আহমদ+গোলাম মুস্তাফা
৭৩.নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঞ্জাবী গল্প= খুশবন্ত সিং/ অনীশ দাস অপু
৭৪.প্লেটোর সিম্পোজিয়াম= কাজী মোতাহার হোসেন
৭৫.লর্ড অভ দ্য ফ্লাইজ= উইলিয়ম গোল্ডিং/ শরিফুল ইসরাম ভূইয়া
৭৬.শতবর্ষের গল্প= অনেক লেখক
৭৭.বিভূতিভূষণ শ্রেষ্ঠ গল্প
৭৮.মৃত সৈনিকের জুতার নকশা= মঈনুস সুলতান
৭৯.বুদ্ধদেব বসু শ্রেষ্ঠ গল্প
৮০.প্লাতোন রচনাসমগ্র= সম্পাদনা: সলিমুল্লাহ খান
৮১.প্রবন্ধ সংগ্রহ= প্রমথ চৌধুরী
৮২.গৌলকধাঁধায় সেনাপতি= গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস
৮৩.সরলা এরেন্দিরা ও অন্যান্য গল্প=গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস
৮৬.গোত্রপিতার হেমন্ত=গাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেস
৮৫.এক জোছনায় তুমি আর আমি= সুলতানা শিরীন সাজি
উপহার:
১. মহা পৃথিবী= মাহবুবুর শাহরিয়ার
২. প্রেম ও অনুভব= "
৩. বাথানের মহিষেরা= জাকিউল ইসলাম ফারুকী
.................................এবার বইকেনার নেপথ্য মানুষদের প্রতি কিঞ্চিৎ কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আদিখ্যেতা। "আদিখ্যেতা-ই বলব, কারণ তাদের সাহায্য ও সমর্থনের বিপরীতে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ না করে আর কী-ই বা করতে পারি, কিন্তু আমার "পঞ্চম প্রজাতির গর্দভ' সত্তা আমাকে প্রতিনিয়ত কটাক্ষ করে বলছে "হিমালয়, কিছু একটা কর্ । "
ক্ষুদ্রঋণ দিয়েছে যেসব বন্ধু সবার নাম অন্তত উল্লেখ করতে পারি। সর্বপ্রথম "ক্ষুদ্রঋণ" দিয়েছিলো বুয়েটে আমার অন্যতম ঘনিষ্ঠ বন্ধু "তাজুল"।
এরপর ক্রমাণ্বয়ে অমিত, আরমান, মুমু, শারমিন, আদনান, অধি, ইমু, হাসিব, চপল, অধি, নীনা, এষা, রেজা, নিপুণ,শাওন, শান্ত, দিপন, সুমন, রোস্তম, শুভাশিস, লিমন........... এই বন্ধুদের ধন্যবাদ তো দেবইনা, কৃতজ্ঞতাসূচক কথাও বলবোনা ওদের প্রতি। আরে, ফ্রেঞ্চ ভাষায় বন্ধুকে বলে "আমি"। তাই বন্ধুত্ব মানেই হল “অসংখ্য আমাদের” অগণিত “বিচ্ছিন্ন-অপরিচিত” হৃদয়গুলোর “আমি”নামক একটিমাত্র “অভিন্ন পরম হৃদয়ে” রূপান্তর। সুতরাং ওদের থেকে ঋণ পাওয়াটা আমার জন্য নাগরিক অধিকারের মত। তবুও বন্ধুদের বলতে পারি, "আমি আছি"।
এবার "অনুদান" প্রসঙ্গে আসি।
দেড়বছর আগে যখন প্রথম নেটের সংযোগ নেই, তখন চ্যাটের জীবাণু আমার মস্তিস্কের সর্বাংশে ছড়িয়ে পড়েছিল। সেসময়ই চ্যাট করতে করতে "শুচি আপুর" সঙ্গে পরিচয় হয়। উনি জাবির শিক্ষার্থী। মাসকয়েকের মধ্যেই আমি সম্পূর্ণরূপে চ্যাট ভাইরাস মুক্ত হলেও শুচি আপুর সঙ্গে এখনো যোগাযোগ আছে।
আমি ভারচুয়াল জগতের সঙ্গে বাস্তব জগতকে মেলাতে চাইনা বলে ইচ্ছা ছিল কখনই উনার সঙ্গে দেখা করবোনা। কিন্তু এবারকার বইমেলায় সেই সংকল্প আর ধরে রাখা সম্ভব হয়নি। তাই পরিচয়ের দেড় বছর পর উনার সঙ্গে বইমেলায় ঠিকই সাক্ষাৎ ঘটল। এবং লিস্টের ২০ ও ৪৭ নং বই দুটি তারই তরফ থেকে প্রাপ্ত। আপুর এই অনুদানের জন্য আমার লাইব্রেরীর বাকি বইগুলো অবশ্যই তাকে আগামী বইমেলা পর্যন্ত স্মরণ করবে।
শিহাব ভাইয়ের সঙ্গে উনি বুয়েটে থাকা অবস্থায়ই পরিচয় ছিল। খুব বেশি আলাপ না হলেও আমার ৩বছরের বুয়েট জীবনে উনার মত সরল মানুষ খুব বেশি দেখিনি। সম্প্রতি উনি ব্লগ লিখছেন "অন্যসময়" নিকে। একদিন হঠাৎ সকাল বেলা তিনিও "অনুদান" দিয়ে গেলেন আমি কোনকিছু বুঝে উঠার আগেই। শিহাব ভাইয়ের জন্য কী বলা যায়?কিছুই বলবো না।
বরং উনার সংগৃহীত বইয়ের সংখ্যা ১০০০০থেকে আরও বৃদ্ধি পেতে থাকুক চক্রবৃদ্ধি হারে, কেবল এই প্রত্যাশা করা যেতে পারে।
শিমুল ভাই আমাদের হলেই থাকতো, আমার রুমমেটের ঘনিষ্ঠ বন্ধু হওয়ার সুবাদে আমাদের রুমেও সে আসতো প্রায়ই, কিন্তু কোনদিন কথা হয়নি। এরপর ব্লগে "সীমান্ত আহমেদ" নামের এক ব্লগারের লেখা নিয়মিত পড়া শুরু করলাম, উক্ত ব্লগারটিও আমার ব্লগে আসতে থাকল। জানতে পাললাম "সীমান্ত আহমেদ" সাবেক বুয়েটিয়ান। কিছুদিন আগে পরীক্ষার জন্য পড়ছিলাম রাতে, এমন সময় ০২ ব্যাচের এক ভাইয়া রুমে এসে আমাকে জিজ্ঞেস করলো "এই রুমে, হিমেল কার নাম?" আমি বুঝে নিয়েছিলাম এই ভাইয়াটি একজন ব্লগার, যার নিক ছন্নছাড়ার পেন্সিল অথবা সীমান্ত আহমেদ।
২য় অনুমানটিই সত্য হল।
এরকিছুদিন পর আমি বইকেনা নিয়ে সেই পোস্টটি দেই ব্লগে। এরপর হঠাৎ বৃহস্পতির রাত আড়াইটার সময় দেখি শিমুল ভাই রুমে চলে এসেছে। উনি প্রায়ই হলে আসেন, তাই অবাক হওয়ার কিছু নেই এতে, কিন্তু ঐ সময় আমার রুমে তাকে দেখি আমি অবাক হয়ে পেরছিলাম!!! তার স্পষ্ট উচ্চারণ "তোমার বইসংগ্রহের আইডিয়াটা আমার ভাল লাগছে। টাকা-পয়সার ডিলিংস ভাল বুঝিনা।
তাই টাকা দিতে পারুম না। তুমি কয়েকটা বইয়ের নাম বল, এগুলা তোমার লাইব্রেরীতে ডোনেট করব। " কিন্ত অফিসের ব্যস্ততা, আর আমার পছন্দের বইয়ের দুষ্প্রাপ্যতায় শেষ পর্যন্ত উনি আমাকে "অনুদান" ই দেন, আর তার পরিমাণটা দেখে আমি আবারও অবাক হয়ে খুবই পেরেছিলাম! শিমুল ভাই স্পষ্টবাদী-অন্তর্মুখী মানুষ; অহেতুক বাড়াড়ম্বর পছন্দ করে না । তাই "ধন্যবাদ-কৃতজ্ঞতাসূচক" শব্দ লিখলে নিশ্চিৎ উনার রোষানলে পড়তে হবে। তাই উনার প্রতি একটাই প্রত্যাশা_ এমন অবাক যেন প্রতিনিয়ত হতে পারি তার সৌজন্যে।
এবং অতি অবশ্যই লীনা আপু।
ডিসেম্বর মাস পুরোটাই আমি ব্লগে অনুপস্থিত ছিলাম। দুপুরে একঘণ্টা সাইবার ক্যাফেতে বসে ব্লগ দেখতাম। সেসময়ই একজন নতুন ব্লগারকে দেখলাম আমার ব্লগে। আমার 'উদ্ভট-ফালতু" লেখাগুলো অজানা কারণে পড়ে মন্তব্য করছেন আমার প্রতি করুণা অথবা সমব্যথী হয়ে।
এরপর জানুয়ারিতে আবার যখন নিয়মিত হলাম, সেই ব্লগার তার সহমর্মিতা আমার প্রতি অক্ষুণ্ন রাখলেন। তিনি ব্লগার লীনা দিলরূবা। আমার জীবনের অদ্ভুততম অভিজ্ঞতাটি ঘটল তিনি আমার বইকেনার পোস্টটি পড়ে "অনুদান" দিতে আগ্রহ প্রকাশ করায়। সেই অদ্ভুতের মাত্রা ক্রমাণ্বয়ে বাড়তে থাকল যখন তিনি আমাদের হলে এসে আমাকে "অনুদান" দিলেন। বুয়েটের বাইরে তিনিই প্রথম ব্লগার যার সঙ্গে আমার দেখা হল।
তার "অনুদানের" পরিমাণ এখানে উল্লেখ করবোনা, শুধু এটুকই বলতে পারি, উনি "অনুদান" দিতে আগ্রহ প্রকাশ করার পর আমার ৩ বন্ধু সম্ভাব্য পরিমাণ বিষয়ে অনুমান করেছিল। আর উনি যে অনুদানটি দেন, হিসেব করে দেখলাম তার পরিমাণ ৩বন্ধুর সম্মিলিত অনুমানের থেকেও বেশ কিছুটা বেশি।
আমি লেখার ক্ষেত্রে যতটা উদার, মুখে কথা বলার ক্ষেত্রে তার থেকে অনেক বেশি কৃপণ। তাই তার এই ঔদার্যের প্রত্তুত্তরে আমার বক্তব্য ছিল "থ্যাঙ্কস শব্দটার ডাইমেনশন খুব ছোট। এর মাধ্যমে সম্পূর্ণ অনুভূতি প্রকাশিত হয়না।
নতুন শব্দ খুজতে হবে। " তাই লীনা আপুর জন্য এখনো কোন যথার্থ শব্দ খুজে পাইনি, পাচ্ছিনা। প্রতিদিন লেখা নিয়ে এক্সপেরিমেণ্ট করার সঙ্গে সঙ্গে বৃহৎ ডাইমেনশনের শব্দও খুজে ফিরছি। লীনা আপু, একদিন হয়ত পেয়েও যাব, আপনার কাছে এটাই প্রত্যাশা করি।
যাইহোক, আজ লীনা আপুর জীবনের একটি বিশেষ আনন্দময় দিন, আজ বইমেলার শেষদিন বলে আমার জন্যও দিনটি আনন্দদায়ক।
বিশেষ দিনে নাকি উইশ করতে হয়, নয়তো দিনটি বিবর্ণ লাগে। আমি বরাবরই এই উইশ সংক্রান্ত ব্যাপারগুলো এড়িয়ে চলি, কারণ এগুলো ভাল বুঝিনা। তবুও এই বিশেষ দিনটিতে শুভেচ্ছাসূচক কথা-বার্তা কিছু লেখা উচিৎ ছিল, নেহায়েত কোন গিফট দেয়া। কোনকিছুই যেহেতু হলনা, তাই আমার লাইব্রেরীর সবগুলো বই-ই আপাতত উৎসর্গ করলাম। সত্যি বলতে কি, একমাত্র বইয়ের ব্যাপারেই আমি সিরিয়াস, কিছুটা মোহাচ্ছন্ন।
তাই উৎসর্গ করার জন্য এই দিনটিতে বইকেই শ্রেষ্ঠ মাধ্যম মনে হল।
সবশেষে সাজি'পু। উনার জন্য আলাদা একটা পোস্ট বরাদ্দ থাকল। ।
এই আমার বই সংগ্রহের ইতিবৃত্ত, আর এর সঙ্গে জড়িত মানুষগুলো।
কিছুই বলার নেই, কিছুই শোনার নেই। আমাদের হয়ে বই কথা বলুক অনুভবের সঙ্গে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।