আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ



যে কোন ঘটনা ঘটলে আমরা গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাই। ফুলবাড়িতে মানুষ বিদ্রোহ করল, আমরা গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাইলাম। কানসাটে মানুষ বিদ্রোহ করল, আমরা গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাইলাম। ডেমরায় মানুষ বিদ্রোহ করল, আমরা গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাইলাম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্ররা বিক্ষোভ করল, আমরা গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাইলাম।

সারা দেশে জঙ্গীরা গ্রেনেড ফাটাইল, আমরা গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাইলাম। লগি বৈঠা নিয়া রাজপথে কামড়া কামড়ি হইল, আমরা গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাইলাম। আনসার বিদ্রোহ হইল, আমরা গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাইলাম। বিডিআর বিদ্রোহ হইল, আমরা গভীর ষড়যন্ত্রের গন্ধ পাইলাম। আমাদের এই আজিব দেশে যা কিছুই ঘটুক সরকারের প্রধান ও প্রথম দায়িত্ব এই গন্ধ খুজিয়া বাহির করা।

তারপর তারা গন্ধ শুকতে থাকেন আর আমরা জনগণ খুশি হইয়া যাই। যাক, একটা কারণ তো পাওয়া গেছে। কিন্তু এই সব বিদ্রোহ বা বিক্ষোভের পেছনের কারণ আমরা কোনদিনও জানতে পারি না। আমরা কখনও জানতে চেষ্টা করি না স্বাধীন দেশের উপযোগী নিয়ম কানুন কেন গড়ে উঠল না। কেন গড়ে উঠল না মানুষকে সেবা দেওয়ার সরকারী মনোভাব ? কেন সেই বৃটিশ আইনের কল্যাণে এখনও সরকারী কর্মকর্তারা জনগণের প্রভু হয়েই থাকল ? কেন সৎ, যোগ্য ও দক্ষ মানুষরা পিছিয়ে থাকল ? পা চাটা ও দলবাজিতে ওস্তাদ লোকেদের কব্জায় কেন দেশের সকল সুযোগ সুবিধা ? চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি ও কমিশন বাণিজ্য কেন দেশের প্রধানতম বাণিজ্য হয়ে উঠল ? সব পেশার লোকজন কেন রাজনীতিবিদ হওয়ার ইদুর দৌড়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ল ? এইসব প্রশ্নের কোন উত্তর নাই।

আমরা কেবল পেছন দিকে হাঁটি আর গভীর ষড়যন্ত্রের কথা বলে সন্তুষ্ট হই ও সন্তুষ্ট করি। একটা প্রতিপক্ষের ঘাড় খুঁজি এবং সেই ঘাড়ে সকল দায় চাপিয়ে নিজেকে হালকা করি। বঞ্চিতের পুঞ্জিভুত ক্ষোভ রয়েই যায় পরবর্তীতে কোন নতুন বিদ্রোহের জন্য।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।