জিম্মি ৩ সেনা কর্মকর্তার মুক্তি
শান্ত রয়েছে কুড়িগ্রাম ক্যাম্প
কুড়িগ্রামের ২৭ রাইফেলস ব্যাটলিয়ন সদর দপ্তরে বিডিআর জওয়ানদের হাতে জিম্মি হওয়া ৩ সেনা কর্মকর্তাকে বৃহস্পতিবার রাতে পৌনে ৮টার দিকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভকেশনাল মোড় এলাকায় বিডিআর মার্কেটের ক্যান্টিনে স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তাদের সাথে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সুবেদার মেজর ময়শের আলীসহ অন্যান্য বিডিআর সদস্যদের সাথে আলোচনার পর লে. কর্নেল সুমন কুমার বড়ুয়া, মেজর সৈয়দ আলতাফ কবীর এবং মেজর কামালকে ছেড়ে দেয়া হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে শুরু হওয়া এই আলোচনায় জেলা প্রশাসক মো. আসাদুজ্জামান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেড সিরাজুল ইসলাম খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মীর জহুরুল ইসলাম, পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট আব্রাহাম লিংকন, সাংবাদিক ইউসুফ আলমগীর উপস্থিত ছিলেন।
পৌনে ৮টার দিকে ৩ সেনা কর্মকর্তাকে গাড়িতে করে বিডিআর এলাকা থেকে অনত্র নিয়ে যাওয়া হয়।
অপরদিকে দুপুর আড়াইটায় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক সুবেদার মেজর ময়শের আলী প্রধান গেইটে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে নিজেকে কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব নেয়ার কথা জানিয়ে বলেন, অনাকাক্সিত ঘটনা রোধ এবং নিজেদের নিরাপত্তার জন্য এই সশস্ত্র অবস্থান নিয়েছেন তারা।
সম্ভাব্য সেনা অভিযান ঠেকানোর পাশাপাশি তারা দুস্কৃতকারীদের ঠেকাতে প্রস্তুত আছেন। দেশের স্বার্থে জেলার ২৭৮কিলোমিটার সীমান্তের ২৫টি বিওপিতে তারা আগের মতোই দায়িত্ব পালন করছেন বলে তিনি জানান।
এর আগে কুড়িগ্রামে বিডিআর জওয়ানরা বিদ্রোহ করে ২৭ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণ নেয়। সকাল সাড়ে দশটার দিকে জওয়ানরা দফায় দফায় গুলিবর্ষণ করে এই নিয়ন্ত্রণ গ্রহন করে। সুবেদার মেজর ময়শের আলী এই ব্যাটালিয়নের কমান্ডিং অফিসারের দায়িত্ব নিয়েছেন।
সদর দপ্তরের ৪টি গেইট বন্ধ করে সশস্ত্র প্রহরা বসায় জওয়ানরা। প্রধান গেইট সংলগ্ন বিডিআর মার্কেটও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। সদর দপ্তরের চারদিকে কিছুদুর পরপর এবং প্রধান কার্যালয়ের ছাদ ও আবাসিক ভবনগুলোর ছাদে ভারি অস্ত্রে সজ্জিত বিডিআর জওয়ানরা অবস্থান নিয়েছে। মাঝে মধ্যে মাইকে জওয়ানদের সতর্কাবস্থায় থাকতে নির্দেশ ও আশেপাশের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাবার পরামর্শও দেয়া হয়।
সেনা কর্মকর্তাদের ছেড়ে দিয়ে বিডিআর ক্যাম্প শান্ত রয়েছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।