আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বিডিআর জোয়ানদের বিক্ষোভ সামরিক এবং আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে বৈষম্যের বহিঃপ্রকাশ

কিছু লেখার নাই।

বাংলাদেশের সামরিক ও আধা-সামরিক বাহিনীর মধ্যে বাংলাদেশ রাইফেলস এর সিপাহীরা সার্বক্ষণিকভাবে মাঠে-ময়দানে কর্মরত থাকে। বাংলাদেশের সীমান্তরক্ষী এই বাহিনী বাংলাদেশের সীমান্ত রক্ষার ক্ষেত্রেও ইতিমধ্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছে এবং তা অব্যাহত আছে। প্রায় দু'শতাধিক বছরের ঐতিহ্যবাহী এই বাহিনীর নিজস্ব কোন কমান্ড নেই, তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে ডেপুশনে আসা অফিসারদের কমান্ডে পরিচালিত হন। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অফিসাররা সুবিধাভোগী শ্রেণী।

যে কারণে এই বাহিনীর ভেতরেই সাধারণ সেপাহী ও নন কমিশন্ড অফিসারদের সাথে কমিশন্ড অফিসারদের দ্বন্দ্বের কথা শোনা যায়। ১/১১ এর পরবর্তীতে বাংলাদেশে বিগত ২ বছরে সেনাবাহিনীর শাসনের মধ্যে তার আঁচ পাওয়া যায়। এই ক্ষমতার বলে বৈধ-অবৈধ সুবিধা গ্রহণের মাধ্যমে অফিসারদের অনেকেরই আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে বলে পত্র-পত্রিকায় বিভিন্ন সময়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। অপারেশন ডাল-ভাত কর্মসূচি চলাকালে এর দ্বায়িত্বপ্রাপ্ত আর্মি অফিসারদের সম্পর্কে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগের খবর পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে এবং তা সদ্য হওয়া অসম্ভব নয়। কারণ সেনাবাহিনী অফিসার হলেও তারা এ সমাজের বাইরের কেউ বা ফেরেশতা নয়।

অতিরিক্ত সুবিধা মানুষকে সহজেই দুর্নীতি করতে প্ররোচিত করে থাকে- এ ধরনের নজীর সমাজে বিরল নয়। অন্যদিকে বাহিনীর শৃংখলা রক্ষা করার জন্য দায়িত্বের বাইরে সাধারণ সিপাহীরাই তাদের কাছ থেকে মানবিক ব্যবহার পায় না আর বিডিআর-এর সিপাহীরা তো কোন ছার! এর বাইরে বিডিআর সিপাহীদের দীর্ঘদীনের নানা বঞ্চনার বিষয়তো আছেই। তাই সম্মানের সাথেই সেনাবাহিনীর অফিসারদের উদ্দেশে বলতে হয়_ দেশের প্রতিরক্ষার কাজে আপনারা নেতৃত্ব দেবেন, অতিরিক্ত সুবিধার প্রতি বেশী ঝোঁক দেশমাতৃকার প্রতিরক্ষার কাজ ক্ষতিগ্রস্ত করবে। আর সেনা ও বিডিআর জওয়ানরা আন্ডারকমান্ড হলেও মানুষ হিসেবে নিশ্চয়ই মানবিক আচরণের দাবি রাখে।


অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.