পুনরায় পাবলিশ করলাম,এটা সারা দিন পাবলিশ করা উচিত। আমার প্রতিবাদ তাই পাবলিশে। । । ।
। [কপি করার জন্য আন্তরিক ভাবে লজ্জাবোদ করছি]
ভর্তিচ্ছু ছাত্রীর শ্লীলতাহানির তথ্য সংগ্রহকালে সাত সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলার শিক্ষার্থীরা। চার ফটোগ্রাফারের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলেছে তারা। আজ বেলা সাড়ে এগারোটার দিকে চারুকলা অনুষদের ২০০৮-০৯ শিাবর্ষে অনার্স প্রথম বর্ষে ভর্তিচ্ছু এক ছাত্রীকে র্যাগের নামে শ্লীলতাহানি করে অনুষদের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীরা। এই ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে শিক্ষার্থীরা উপস্থিত সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায়।
আজ সকাল দশটা থেকে অনুষদের প্রথম বর্ষে ভর্তিচ্ছু শিার্থীদের ভাইভা শুরু হয়। ভাইভা দিয়ে কোনো শিার্থী অফিস থেকে বেরুলে প্রথম বর্ষের (পুরাতন) ছাত্র চাঁদা আদায় করতে থাকে। কোনো রসিদ ছাড়াই তারা সবাইকে পাঁচশ টাকা করে দিতে বাধ্য করে। টাকা না দিলে র্যাগের নামে তাদের ওপর শারীরিক নির্যাতন চালায়। ছাত্রদের নগ্ন করে দাড় করিয়ে রাখে।
এতে কেউ রাজি না হলে তাকে চারুকলা পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। এক পর্যায়ে এক ভর্তিচ্ছু ছাত্রীর কাছ থেকে চাঁদা দাবি করা হয় এবং তার পায়জামা উরুর ওপরে তুলে নাচতে বলে। ছাত্রীটি তার পরিচিত এক সাংবাদিককে বিষয়টি জানালে বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত দিনকালের সংবাদদাতা জাহেদুর রহমান আরমান সেখানে যান। আরমাস ঘটনাস্থলে গিয়ে নিজের সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঘটনার ব্যাপারে জানতে চান। তখন শিার্থীরা বিষয়টি তাদের আভ্যন্তরীন বিষয় বলে দাবী করে এবং আরমানকে আটকে রাখে।
খবর শুনে যায়যায়দিন সংবাদদাতা পলাশ সরকার, ইন্ডিপেন্ডেটের আরিফুল ইসলাম চারুকলায় যান। তারা দুজন ঘটনাস্থলে থাকা শিক শিশির ভট্টাচার্যের সাথে আলাপ করলে তিনি র্যাগকে চারুকলার ঐতিহ্য বলে অভিহিত করেন এবং সাংবাদিকদের এতে নাক না গলানোর পরামর্শ দেন। এক পর্যায়ে শিশির ভট্টাচার্য পলাশ সরকারকে রুম থেকে জোর করে বের করে দিতে চাইলে উভয়ের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। এরপর শিশির ভট্টাচার্যের আদেশে র্যাগে নেতৃত্ব দেয়া শিার্থীরা সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধর করে।
হামলায় নেতৃত্বদানকারীদের মধ্যে ছিলো প্রথম বর্ষের শিার্থী মঞ্জুরুল ইসলাম ও রনি।
খবর শুনে ক্যাম্পাসের অন্যান্য সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে গেলে চারুকলার শিার্থীরা তাদের ওপর আরেক দফা হামলা চালায়। এতে আহত হন সংবাদের সোহরাব আলম, ইনকিলাবের শাহজাহান শুভ, সংগ্রামের আরিফুর রহমান ও এবিসি রেডিওর আব্দুর রহীম দীপু । এসময় সংবাদ, ডেসটিনি, নিউ এজ এবং ফটোগ্রাফারদের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাংচুর করা হয়। তাছাড়া সাংবাদিকদের মোবাইল, মানিব্যাগ কেড়ে নেয় হামলাকারীরা। আহতদের বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতদের মধ্যে দীপু, আরিফ ও পলাশের অবস্থা গুরুতর।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।