সকালে বিছানায় শুয়ে এপাশ ওপাশ করছি। সকালের সংগাটা আমার কাছে আলাদা। ঘুম থেকে উঠার পরের ২ ঘন্টা হল সকাল। আম্মা এসে ব্যাপক একটা ঝাড়ী। আমি সাধারনত ঝাড়ী কম খাই।
কিন্তু আমার নিজের কাছেই মনে হল না আমার ঝাড়ী খাওয়াটা দরকার ছিল। কাম কাজ নাই। এইচএইসসি দিয়েছি, রেসাল্টও হয়ে গেছে। আমি আবার সমাজে তথাকথিত ভালো ছাত্র। কারণ এসএসসিতে গোলডু এইচএইসসিতে ইংরেজিতে পাই নাই।
কিন্তু আমি ১৯। ১৯ মানে বুয়েট। ঠিক আছে বুয়েটের ছাত্র জানি হয়েই গেলাম।
বুয়েট একটি ভালো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। তুমি এখানে পড়বা।
মহসিন সাহেবের ছেলে তালাস ওখানে পরছে। ও এখন ওমুক তমুক। আমাদের বিলডিং এর ওমুকের ছেলে সেই। খুব সাধারন। আমার মনে হয় প্রত্যেকটি বাংঙালি ছেলেকেই এটা শুনে বড় হতে হয়।
আব্বা কথাগুলো বলত আমি শুনে যেতাম। শুধু যে সে বলতো বলেই নয় আমারও ইন্জিনিয়ার হবার খুব শখ ছিল ছোট থেকেই। আসলেই বিনা কারণেই এই ইচ্ছা। আমি গণিতে কখনও ভাল ছিলাম না। ৯-১০ম থাকতে ফিজিক্সে টাইনা টুইনা পাস দিতাম।
বাসায় এসে চাপা চালায় দিতাম। গনিত না পারলেও ভালই লাগত, অনেকের মত এর প্রতি ভয় ছিল না। শুধু মাত্র খাতা দেবার সময় বাদে। তবে ফিজিক্স আমি চরম ভয় পাইতাম। মাঝে মধ্যেই মনে হইত ফিজিক্স যারা ভাল পারে তারা সাধারন মানুষের অন্তর্ভুক্ত না।
তারা ভাত খায় না। তারা নিউটন যে গাছ থেকে আপেল পড়তে দেখছে ঐ গাছের আপেল খায়। আজব ধরনের চিন্তা। তারপরও আমার ইচ্ছা বুয়েটে পড়বার।
এইচএইসসির পরে সময় শুধু নষ্টই করে গেছি।
বলতে গেলে সব কিছু পরতে হবে হাতে সময় নাই বললেই চলে। কি করা যায়? এত জমায় ফেলছি যে এত বেশি বোঝা নিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে না। বুয়েটিয়ান ব্লগারদের সাহায্য চাই।
আমার প্রথম পোস্ট মডু ভাই প্রথম পাতায় দিবে বলে মনে হয় না। তবে কোন ব্যক্তি পোস্টটা দেখে কোন ধরনের সাহায্য করতে পারেন তাহলে খুশি হব।
বেশি ভালো হয় ঢাবি বা বুয়েট এর কেউ এব্যাপারে কোন পরামর্শ দিলে। ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।