ঝাকের কই হবার চেয়ে বন্ধুহীনথাকা ভাল, বিবেক বিক্রি করুম না, পারলে ঠেকাও ! ratul.mahmud@yahoo.com
তিল ধারনের ক্ষমতা না থাকিয়াও মুড়ির টিন বাস গুলো দিনকে দিন অনেক লোড লইয়া চলিয়াছে, এবং তিলকে তাল বানাইয়া তিলের মাঝে নিজে ঢুকিয়া সারি সারি তিলের চাষের যে প্রচলন তা ইদানিংকালে যেমন দেখা যাইতেছে, হয়ত পূর্বেও কেও কেও দেখিয়াছে।
আমার আলোচনার নির্যাসের মাঝে কোথাও তিলের তিল পরিমান না থাকিলেও তিলের ব্যবহার করিয়া করিয়া ভাবিতেছি, কি করিয়া ইহার সাথে ব্রাত্য রাইসুকে ঢুকানো যায়। ভাবিতে কষ্ট হয় যাহার মাথাতে কত শত বুদ্ধি-সৃজনশীলতার ঘুরপাক অহরহ ছিল, যেই মাথার অবস্থা বর্তমানে এই করুন অবস্থা কি করিয়া হইল! কিরূপে হোক বিরূপেই হোক, ইহা যে ঐ মুড়ির টিন বাসগুলোতে ঠাসিয়া ডাসিয়া লোকভরার মতই অবস্থা হইয়াছে, অতিরিক্ত যাত্রীবহনের ফলে উহা একদিকে কাত হইয়া তক্তা মারিয়া গিয়াছে। অতিরিক্ত বুদ্ধির ঠাসাডাসিতে নধর শরীরখানী তখন উল্টাইয়া যাইবার উপক্রম।
কাহারও সাথে ব্যক্তিগত আক্রোশ যখন পেশাগত স্থান ছাড়িয়া পাবলিকে স্পেসে স্পেস স্যুট পরিয়া অবতরন করিয়া থাকে তখন তাহার পশ্চাৎদেশে কেহ যদি মৃদু আঘাত করিয়া বসে তাতে কাহাকেও দোষ দেওয়া যাইবে বলিয়া মনে হয় না।
যাহারা আমরা এই ব্লগবাসী, অথবা পেপার পড়িয়া বা টিভি দেখিয়া থাকি তাহারা প্রত্যেকে জানি রোকেয়া কবীর ও মুজিব মেহদী রচিত মুক্তিযুদ্ধ ও নারী বইটা কিরূপে কিছু দূর্বৃত্তকর্তৃক লুন্ঠিত হইয়া একুশে বইমেলায় প্রকাশ পাইয়াছে। আমি আশেপাশের সকলকেই বলিতে শুনিয়াছি, ইহা বড় অন্যায়, ইহা একজন লেখককে মারিয়া ফেলার মত অপরাধ। মৃত্যুর স্বাদ গ্রহনকারী ঐ লেখকদ্বয় যদি থুতু নিক্ষেপ করিতে চাই তাহলে তা নিশ্চয় খুনের চেয়ে বড় অপরাধ হইবে না বলিয়া ইহা আমি বিলকুল নিশ্চিত।
অথচ ব্রাত্য সাহেব কি সুন্দর করিয়া ইহা বলিয়া গেলেন তাহাতে আমার খুব কষ্ট হইতেছে। আমি ইহাকে নিচে পেশ করিতেছি-
"বই চুরির ব্যাপারে মামলা করলেন না কেন? মামলা করলে দেখবেন থুতু দেয়া যায় না।
পুলিশের কাছে গিয়া "চোররে থুতু দিতে চাই" বলার অর্থ হয় না। চোররে থুতু মারার জন্য যে ভদ্রলোকদের মুখ ব্যবহার দরকার তারা কি আপনারে তা করতে দেবেন আশা করছেন? আপনাদের বইয়ের মেধাস্বত্ব মাইরা দিয়া যত বড় অপরাধ করছেন মেহেদী হাসান পলাশ আমার ধারণা ওনারে থুতু মারার আহবান জানাইয়া তার চেয়ে কম অপরাধ করেন নাই আপনি। "---ব্রাত্য রাইসু
নিজের সৃষ্টিকে চোর মেহেদী হাসান পলাশ চুরি করিয়া নিয়াছে, তাহাকে থুতু মারিবার মত কথা বলিয়া মুজিব মেহেদী অনেক বড় মনের পরিচয় দিয়াছেন বলিয়াই আমার বিশ্বাস। আমি যদি ঐ জায়গায় থাকতাম তাহলে ঐ পলাশকে জুতোপেটা করিয়া দেশ ছাড়া করিতে কুন্ঠাবোধ করিতাম না। কিন্তু বড়ই অভাগা আমরা।
শাষনযন্ত্র আজ পাষান লোকদের হাতে, মুক্তিযুদ্ধ আজে লুন্ঠিত ঐ সকল চোর চামুন্ডাদের হাতে, ইতিহাস আজ পাতিহাস হইয়া দূর দূরান্তে উড়িয়া যাইতেছে, কে তাহাকে পথে ফিরাইবে ঠিক নাই। এই রকম নিষ্ঠুর সময়ের মাঝে যখন মুজিব মেহেদী সবাইকে ডাক দিয়াছেন এই অন্যায়ের প্রতিবাদ করিবার জন্য, তখন সর্বশক্তিতে বলিয়ান তিলে তিলারন্য ব্রাত্য রাইসুর বুকে ইহা তীব্র আঘাত হানিয়াছে। উনি বলিয়া উঠিয়াছেন, মুজিব মেহেদী, পলাশকে অপমান করার ব্যাপারে আমার আপত্তি রহিল।
ভাবিয়া পাই না, এই মানুষটাই না কি সুন্দর রচনা রচিয়াছে, অথচ সৃষ্টির স্বত্বাধিকারীর প্রতি তাহার কি বিরাগ। আমাকে মাফ করিবেন ব্রাত্য রাইসু, আমিও বুকে ব্যাথা পাইয়াই ভুল বাংলায় কিছু নোট রাখিয় গেলাম।
সাথে সাথে আমিও ইহাও আশা করিয়া থাকি, আমাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় মেধাস্বত্ব চোর মেহেদী হাসান পলাশ উপযুক্ত শাস্তি পাইবে এবং রোকেয়া কবীর ও মুজিব মেহদী তাদের নিজের বইকে নিজের অধিকারে ফিরিয়া পাইবেন।
Click This Link মুজিব মেহদী
Click This Link ব্রাত্য রাইসু
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।