আমি সেই দিন হব শান্ত. . .
আগামী ৯ ফেব্রুয়ারী ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রণব মুখার্জী তিনদিনের সফরে বাংলাদেশ আসছেন। তার এজেন্ডাসমূহের মধ্যে অন্যতম হলো বিনিয়োগ, উন্নয়ন ও সুরক্ষা চুক্তি। এই চুক্তি বাংলাদেশ ও ভারতে পরস্পরের বিনিয়োগের পরিবেশ সৃষ্টি ও পুঁজির রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সাক্ষরিত হবে। এই চুক্তির আওতায় দুই দেশের বিনিয়োগকারীদের 'ন্যাশনাল ট্র্রিটমেন্ট' সুবিধা দেওয়া হবে। অর্থাৎ, বাংলাদেশে এদেশীয় বিনিয়োগকারীরা যেসব সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে, ভারতীয় বিনিয়োগকারীরাও একই সুযোগ-সুবিধা পাবে।
ভারতে বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীরাও একই সুযোগ-সুবিধা পাবে। এই চুক্তি করার মাধ্যমে বাংলাদেশে টাটা-র মত সর্বগ্রাসী শিল্পগ্রুপ-এর বিনিয়োগের রাস্তা পরিষ্কার হবে। উল্লেখ্য, টাটা পূর্বেও বাংলাদেশে বিনিয়োগের চেষ্টা চালিয়ে জনগণের প্রতিরোধের মুখে ব্যর্থ হয়েছে। এমনকি টাটা নিজদেশে বিনিয়োগের ক্ষেত্রেও জনতার প্রতিরোধের মুখে কারখানা গুটাতে বাধ্য হয়েছে। এখন বর্তমান সরকার এই চুক্তির মাধ্যমে টাটা এবং অন্যান্য ভারতীয় শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সুবিধা দিতে প্রচেষ্টা চালাচ্ছে যা আমাদের নিজস্ব জাতীয় অর্থনীতি গড়ে ওঠায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে।
আমাদের সাথে ভারতের অর্থনীতির যে বিশাল ব্যবধান তা এই চুক্তির মাধ্যমে আরো বৃদ্ধি পাবে। তাই 'জাতীয় গণতান্ত্রিক গণমঞ্চ' এই দেশবিরোধী চুক্তিসহ ট্রানজিট, যৌথ সামরিক মহড়া প্রভৃতি কর্মকাণ্ড প্রতিহত করার জন্য জনসাধারণকে আহ্বান জানাচ্ছে।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।