নিজেকে চেন।
কাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীদের ফঁাসির দাবিতে পূর্বঘোষিত মহাসমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেল তিনটায় শাহবাগের গণজাগরণ মঞ্চে আনুষ্ঠানিকভাবে মহাসমাবেশ শুরু হয়। শাহবাগসহ আশপাশের গোটা এলাকা জন সমুদ্রে পরিণত হয়েছে। এরই মধ্যে ৫০ হাজারের বেশি মানুষ সমাবেশস্থলে জমায়েত হয়েছেন।
বিভিন্ন এলাকা থেকে এখনও মানুষের ঢল আসছে শাহবাগের দিকে।
মহাসমাবেশে বক্তব্য দিচ্ছেন বাংলাদেশ ব্লগার অ্যান্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কসহ অন্য সংগঠকেরা। এই মহাসমাবেশ থেকেই আন্দোলনের পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত সাধারণ মানুষও ব্যানার ফেস্টুন নিয়ে যোগ দিয়েছেন এই মহাসমাবেশে। একই সঙ্গে বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশিদের বিভিন্ন সংগঠনও এতে যোগ দিয়েছে।
সমাবেশে যোগ দিয়েছেন দেশের বরেণ্য শিল্পী, সাংস্কৃতিক-সামাজিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা। তেল-গ্যাস-বিদু্যত্ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু, নাট্য-অভিনেত্রী বিপাশা হায়াত, কর্মজীবি নারীর নির্বাহী পরিচালক রোকেয়া রফিক বেবিসহ আরও অনেকে সমাবেশস্থলে এসে সংহতি জানিয়েছেন।
আজ ভোর থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ এসে জড়ো হতে থাকে শাহবাগ চত্বরে। সকাল ৯টা থেকে সেখানে নামে মানুষের ঢল। ১০টা থেকে বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান ব্যানার নিয়ে সমাবেশস্থলে আসেন।
এসেছেন কর্মজীবী নারী, বাংলাদেশ ব্যাংক অ্যাসোসিয়েশনসহ আরও অনেক প্রতিষ্ঠান। অনেকের গায়ে লাল-সবুজের পতাকা রঙ্গ পোশাক, কপালে লেখা বাংলাদেশ। বুকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবি। সমাবেশ ছড়িয়ে পড়েছে শাহবাগ থেকে বাংলামোটর, রমনা পার্ক, এলিফ্যান্ট রোড ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি পর্যন্ত। সবার কণ্ঠে একই ধ্বনি: Èকাদের মোল্লাসহ সব যুদ্ধাপরাধীদের ফঁাসি দিতে হবে, রাজাকার ও জামাত শিবিরকে না বলুন, যুদ্ধাপরাধের রায় নিয়ে আঁতাত ও আপোশের বিরুদ্ধে রুখে দঁাড়ান।
'
বেলা একটার পর জুম্মার নামাজের বিরতি দিয়ে বেলা দুইটা থেকে আন্দোলন আবার শুরু হয়। আন্দোলনের সংগঠকদের সূত্রে জানা গেছে, শাহবাগে এই অবস্থান কর্মসূচি চলবেই। যুদ্ধাপরাধের ফঁাসির দাবিতে গড়ে ওঠা স্বতস্ফূর্ত এই আন্দোলনকে সারা দেশে ছড়িয়ে দেওয়ার কর্মসূচি নেওয়া হবে। এরই রূপরেখা ঘোষণা করা হবে আজকের মহাসমাবেশ থেকে। আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক বাংলাদেশ ব্লগার এন্ড অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট নেটওয়ার্কের মাহমুদুল হক মুনশি বলেছেন, Èমহাসমাবেশের মধ্য দিয়ে আমরা কর্মসূচি শেষ করতে চাচ্ছি না, বরং আন্দোলনকে আরও বেশি ছড়িয়ে দিতে এবং দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আরও কঠোর কর্মসূচি আমরা ঘোষণা করব।
এই অবস্থান কর্মসূচি চলবে। '
প্রথম আলো ।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।