বুকের ভেতর বহুদূরের পথ.........
কত জনে কত কথা বলিল, কত উপদেশ দিল, কতকে গালিগালাজও করিল কিন্তু দেশনেত্রী ধনুর্ভংগ পণ করিয়াছেন কিছুতেই জামায়াতকে ছাড়িবেন না। মনে তাই প্রশ্ন জাগ্রত হয় নিশ্চয়ই ইহার মধ্যে কোন গুরুতর রহস্য লুক্কায়িত আছে। আর এই রহস্য উদঘাটন করিবার নিমিত্তে দীর্ঘ ৭ দিন (আগের পোস্টের পরে) ধরিয়া আঁতিপাঁতি করিয়া খুঁজিয়া অত্যন্ত কৌতুহলোদ্দীপক কিছু তথ্য আমি আবিষ্কার করিয়াছি। আজিকে সেইসকল তথ্য হইতে (মাত্র) একখানা আপনাদের সন্মুখে বর্ণনা করিব। (পরবর্তী তথ্যগুলো ব্লগের হিটের উপর নির্ভর করিবে )
জামায়াত প্রীতির রহস্য নং ১: সস্তায় কাঁচামাল সরবরাহের নিশ্চয়তা
কারখানায় উৎপাদন করিতে যেমন কাঁচামালের প্রয়োজন ঠিক তেমনি ভাবে রাজনীতিতেও কাঁচামালের প্রয়োজনীয়তা রহিয়াছে।
আর রাজনীতির কাঁচামাল হইতেছে আদম। সম্প্রতি সাপ্তাহিক ২০০০ নামক একটি দুষ্ট পত্রিকায় হিসাব করিয়া দেখানো হইয়াছিল একটি বড় আকারের সমাবেশ করিতে- নানা জায়গা হইতে আদম আনিতে কী পরিমাণ মালপানি খরচ হইয়া যায়। কিন্তু যেইদিন হইতে জামায়াতের সহিত গাঁটছড়া বাঁধিয়াছেন নেত্রী, সেইদিন হইতেই এই সংক্রান্ত দুশ্চিন্তা অনেকখানিই দূর হইয়া গিয়াছে। বি এন পির সমাবেশ ভরিয়া কেবল জামায়াতের জিহাদী কর্মীদেরই দেখা যায়। ভাবিয়া দেখুন সামনের ৫টি বছর কত অগুণতি মিছিল আর সমাবেশ করিতে হইবে? আর এই সকল মিছিল সমাবেশে যদি আদম গুণিয়া মালপানি ছাড়িতে হয় তবে তো যুবরাজের কষ্টার্জিত ধনভান্ডার অচিরেই শূন্য হইয়া যাইবেক।
অতএব জামায়াতের সহিত ছাড়াছাড়ি, চলিবেনা চলিবেনা।
পূনশ্চঃ এই ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার নিকট হইতে মাননীয় দেশনেত্রী কিছু শিখিতে পারেন। ১৯৯৫-৯৬ সালে শেখ হাসিনাও জামায়াতের সস্তা জনশক্তির সেবা গ্রহণ করিয়াছিলেন। কিন্তু নির্বাচন আসিলে তাহাদিগকে গদাম লাথি মারিয়া নিজের পথ দেখিয়াছিলেন। ফলাফল জামাতের ৩ আসনের ভরাডুবি।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।