আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ভাবতেই আছি ...রাস্তা ঘাটে টাকা ভাঙাতে না পারলে কি সদাই ম্যানেজ করা সম্ভব

[অন্যর দোষ না খুঁজে আগে যদি সবাই নজের দোষটা খুঁজত তাহলে বোধহয় সব সমস্যার সমাধান হয়ে যেত]............... [পথের শেষ নেই, আমার শেষ আছে, তাইত দ্বন্দ্ব] http://mamunma.blogspot.com/

কিয়দ পূর্বকালীন সময়ে পথে ঘাটে যত্রতত্র টাকা ভাঙানোর প্রয়োজন পড়লে খুব সহজ এবং সহজাত উপায় ছিল সিগারেট ক্রয় করণ , তাহাতে সহজে টাকা ভাঙানো যেত। ছোট নোট হলে কম সিগারেট আর বেশী বড় নোট হরে বেশি সিগারেট কিনলেই ভাঙানোর কর্মটি সহজে সম্পাদন করা যেত। কারন একমাত্র সিগারেটই এই দেশে যেকোন কানে যেকান মুহূর্তে পাওয়া যায় বলেই আমার অভিজ্ঞতা বলে । অতীত কাল প্রয়োগে উপরের প‌্যারাটি লেখার কারন খুব স্বাভাবিক। আমি ঐ সুবিধা হতে বঞ্চিত হয়ে পড়েছি ইদানিং কালে , কারন অধুনা ( মাস তিনেক) আমি সিগারেট সেবন মোটামুটি ৯৯.৯৯% পরিত্যাগ করেছি।

আজ বিকেল মতিঝিলে যেতে হয়েছিল কোন এক কাজে , পকেট সমূহে এবং মানিব্যাগে হাতড়ে পেলাম মোটমাট খুচরা ৬৩ টাকা যার মধ্যে একটি ৫০ টাকার নোট ছিল। আর ছিল বড়সড় অংকের মানে ৫০০ টাকার আরেকটি নোট। ওটা যে কোথাও এই অসহিষ্ণু আর অকারণ মিথ্যে কথার দেশে ভাংতি পাওয়া কত দুষ্কর সে সবাই ই জানেন। রিকশা ভাড়া ছিল ৩০ টাকা। ছিলনা-- ৫০ টাকার ভাংতি চালকের কাছে।

সময় নেই হাতে .... মেজাজ খারাপ হতে যাচ্চিল কিন্তু একটু হালকা হওয়ার চেষ্টা করলাম। রিকশাচালক কে হালকা ধমকে মিষ্টি করে বললাম, ( মিষ্টি করে বলার কারন ঐ চালকের চেহারায় আনকোড়া ভাব এবং বোকা ভাব প্রবল ছিল) যখন রিকশা নিয়ে বের হও ২০/৩০ টাকা কেনো তোমরা নিয়ে বার হতে পারনা বাপু? সে পকেট থেকে ১২ টাকা বের করে দেখাল। বুঝি, অনেক সময় তারা এমন পরিমাণ টাকা দেখায় যাতে ৫/৭ টাকা বেশী না দিয়ে অনেক সময় বাটে পড়া যাত্রীর উপায় থাকেনা। তো সেই ৫০ টাকা ভাঙাতে মশা মারতে কামান দাগানোর চেষ্টা করল সে আর আমি। কম করে ১৫টা রিকশা চালক সতীর্থকে সে জিজ্ঞাস করলেও সকলে সেই একই কথা...নাই....কি নিদারুন রিয়েলিষ্টক মিথ্য।

.. অবশেষ রিকশাটা সে তালা মেরে একটু দূরে গেলো, সেই সিগারেট ক্রয় এর মাধ্যমে ভাঙানোর জন্য। যাক ... পকেট তখন আমার ভাঙতি ২০ +১৩=৩৩ টাকা। মিতিঝিল থেকে কাজ সেরে হাতে খানিকটা সময় পেলাম..নয়া পল্টনে এক ফ্রেন্ডের বাসায় যাব ভাবলাম...সেখানে যেতে খরচ হলো ১২ টাকা। ফ্রেন্ডের বাসা থেকে বের হয়ে গন্তব্য শাহবাগ আজিজ মার্কেট। এই বার হলো আসল সমস্যা।

ভাল করে পকেট হাতরালাম আরেকবার। উপায় নেই। ফ্রেন্ডের কাছ থেকে আনলেই পারতাম। কিন্তু ...থাক ..কি ভাবত ওর বাবা মা। অনেক খুঁজে আরও দুেটা টাকা পাওয়া গেলো।

মোট এখন আমার সম্বল ২৩ টাকা আর একটি ৫০০ টাকার নোট। ... জোনাকি সিনেমা হলের সামনে থেকে শাহবাগ যেতে হলে অনেক ঘুরে সেই ভার্সিটির ভেতর দিয়ে ছাড়া যাবার কোন উপায় নেই রিকশার। বুঝলাম ভাড়া ওরা আজকাল কম যাইতে ভুলে গেছে। ঠিক তাই...তিনটে কে বললাম, ৩০ এর নিচে যাবেই না। ৫ টাকা এখন কোথায় পাই? হাঁটতে থাকলাম।

পকেটে টাকা নিয়েও কেমন জান অসহায় মনে হচ্ছে। সেগুন বাগিচা পর্যন্ত হাঁটলাম। শরীরটাও দূর্বল। না রিকশা নিলাম..মৎস ভবন মানে ঠিক অতদূর তো আবার যেতে দেয়না, নামলাম শিল্পকলা একাডেমীর অখানে ... আবার হাঁটা ( আমি হাঁটতে ভালই বাসি, সময় বাঁধ সাধে অনেক সময়)..রোডস এন্ড হাইয়েজের সামনে হাজির হয়ে যাক একটা ৩ নং বাসে উঠতে পারলাম। , ভেবেছিলাম পুরো রমনা আর শিশুপার্কএর সামনের রাজপথ হাঁটতেই হবে বোধহয়।

যাক হলোনা। ... মনে মনে ভাবলাম রিকশার জন্য যে ৫ টাকা কম ছিল..সেটা ছাড়াই কি সুন্দর ম্যানেজ হয়ে গেলো.... আসলে হয়ে যায়... হয়ে যাওয়াটাই মানুষের জীবনে চরস সত্য। কিন্তু সিগারেট ত্যাগী এই পথিকের রাস্তাঘাটে টাকা ভাঙানোর এখন উপায় কি হবে, ভাবতেই আছি।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।

প্রাসঙ্গিক আরো কথা
Related contents feature is in beta version.