আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

বাড়ির সামনে এই নৃসংস খুন, ভাবতেই পারছিনা

সোশ্যাল মিডিয়া ব্লগ http://www.socialnewsbd.com/ আমি জানতাম ই না আমাদের বাসার ঠিক সাম্নের বিল্ডিং টায় সাংবাদিক মেহেরুন রুনি ও তার সামি সরোয়ার থাকতেন। না জানার ই কত্থা কারন কোন বিল্ডিং এ কে থাকল তা আসলে জানা হয়না। আজকে সকালে ৯ টার দিকে যখন পরিক্ষা দিতে বের হয়েছি বাসা থেকে, গেটের সামনে দেখি শাহজালাল এপার্টমেন্ট এর সামনে মানুষ, সাংবাদিক আর পুলিশের ভির। ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গেলাম একটু। সাথে সাথে আমাদের দারোয়ান এসে বলল ৩ টার দিকে ৫ তালার ফ্লাটের স্বামি স্ত্রী কে জবাই করে মেরে গেছে।

পড়লাম আকাশ থেকে। আমাদের এই এলাকায় এই ধরনের ঘটনা একটু বিরল ই। কিন্তু দেরি করতে পারলাম না পরিক্ষার তারা থাকার কারনে। তখন ও জানতাম না এটা মেহেরুন রুনি আর তার স্বামি সরোয়ার। প্রবল কৌতুহল দমন করে দিলাম ছুট পরিক্ষার জন্যে।

কিছুক্ষন আগে বাসায় এসে নিচে থেকে সব কিছু শুনলাম। আপনাদের ও বলি। রাত ৩ টার দিকে ঘটে এই ঘটনা। আমাদের দারোয়ান ৩ টার দিকে নাকি শব্দ শুনেছে চিল্লা পাল্লার। ২ জন লোক আসে খুন করতে।

তারা আগে ভাগেই বাসায় এসে বসেছিল। সরোয়ার তার কাজ সেরে বাসায় আসেন রাত ২ টার দিকে। মেহেরুন রুনি বাসায় আসেন ১ টায়। তার ভাই (সম্ভবত) বাসায় ছিলেন । ২ জন লোক মিষ্টি নিয়ে এসেছিল।

দারোয়ান কে বলেছে তারা নাকি ফ্যামিলি মেম্বার। বুঝলাম না দারোয়ান এত রাতে ওদের কিভাবে ঢুকতে দিল। ১২ টার পর লিফট এবং দরজা ২ টাই ওরা বন্ধ করে দেয় যতদুর জানি। লোকগুল ১২ টার দিকে এসেছে আর টিভির সাংবাদিক বললেন। দরজায় নক করে, এবং ছোট ছেলেটা দরজা খুলে দেয়।

জিজ্ঞাসা করে "আপ্নারা কে?" তারা বলেছে তারা তার বাবার কাছে কাজে এসেছে। ড্রইং রুমে বস্তে দেয়া হয়েছিল খুনিদের। মেহেরুন রুনি আর সরোয়ার এসে জিজ্ঞাসা করেছিলেন এরা কারা। বাচ্চাটা বলেছে তোমাদের সাথে দেখা করতে এসেছেন। তারা ছেলেটাকে জিজ্ঞাসা করেছিল "তুমি কোন স্কুলে পর, কোন ক্লাস এ পড়" ইত্যাদী।

এদিকে মেহেরুন রুনির ভাই না কি হবে ঠিক খেয়াল নাই, সে তার ভাগ্নে/ভাস্তে কে জিজ্ঞাসা করেছিল যে এরা কারা। ভাস্তে বলেছে এরা বাবার সাথে দেখা করতে এসেছে। তিনি (ভাই) বাথ্রুমে চলে গিয়েছিলান ঘটনার একটু আগে, আর কিছু শোনেন নাই। এদিকে চিৎকার চেচামেচি তে ফ্লাটের সবাই বারান্দায় এসে দারিয়েছিল। যাই হোক।

মেহেরুন রুনি আর সাগর কে খুনিরা হাত পা বেধে ফেলে। তারা তাদের সন্তান কে বলেছিল, আমাদের তো মেরে ফেলবে তুমি কোথায় যাবে? ছেলে বলেছিল আমি পালিয়ে যাব। ছেলেকে মুখ বেধে ফেলেছিল এবং বলেছিল কোন কথা বললেই মেরে ফেলব। পরে খুন করার পর, তারা ঘটনা টা ডাকাতি বলে চালানোর জন্যে রান্না ঘরের গ্রিল কেটে রেখে যায়। কিন্তু ওই গ্রিল দিয়ে একটা মা্নুষ গলে যাওয়া সম্ভব না।

আর তাছারাও বিল্ডিং এর ওই সাইডে থেকে নিচে নামা অসম্ভব। খুনিরা খুন করে আবার সোজা দরজা দিয়েই বেরিয়ে গেছে। কিন্তু দারোয়ান কিভাবে যেতে দিল? ওদের সারা রাত ডিউটি। বিশাল প্রশ্ন এখন কথা হচ্ছে, এটা পারিবারিক যোগসাজস ছাড়া এরকম ভাবে মার্ডার করা সম্ভব না। আবার সম্ভব হতেও পারে, সাংবাদিক অনেক কিছুই লেখেন যেগুল অনেকের ভাল লাগেনা।

আর যদি করেও থাকে, খুব ই কাচা কাজ। শুনে, দেখে মনে হল প্রফেশনাল কিলার না মনে হয়। কারন প্রফেশনাল হলে, বাচ্চা ছেলেটাকে ছেরে যেতনা। আর তার যে ভাই বাথ্রুমে ঢুকেছিল, ওই বেটা কিভাবে কিছু টের পেলনা যেখানে আমাদের বাসার দারোয়ান চেচামেচি শুন্তে পেল। খুন হয়ে যাওয়ার পর ছোট বাচ্চাটা নাকি বাথরুমের দরজাইয় টকা দিয়ে তার চাচা কে বের করে আনে।

তিনি বের হয়ে দেখেন এই সব। ছোট ছেলেটা আর তার চাচা তো খুনিদের চেহারা দেখেছে। ধরা পড়া সময়ের ব্যাপার। খুব ই কাচা কাজ। পারিবারিক যোগসাজস থাকতেও পারে, নাও থাকতে পারে।

পুলিশ এটা খুব সহজেই বের করতে পারবে কারন খুনিরা অনেক সূত্র ছেরে গিয়েছে। প্রফেশনাল হলে এই ভূল গুল করত না। ওই ভাই, যে বাথরুমে ঢুকে আর বের হয় নাই, পুলিশ তাকে ধরসে। সিকিউরিটি নাই এখন, পুলিশ আছে। দারোয়ান কিভাবে অত রাতে ২ জন অপ্রিচিত কে ঢুকতে দিল, রেজিস্টার করাও আছে।

আবার বের ও হয়ে গেল। বিল্ডিং এর সব লোকজন ওই রাতের বেলাই ই চিৎকার শুনে সবাই বারান্দায় এসে দারিয়েছিল। পরে কাজের মেয়ে নাকি দরজা খুলে ফোন করে সবাইকে খবর দিয়েছে। আমার মনে হচ্ছে ওই ভাই ই জরিত। সে বাথ রুমে ঢুকে আর বের হয়নি, শোনেঊ নাই নাকি কিছু।

যাই হোক, পরে খবর পেলে আবার জানাবো। নিচে গিয়ে দেখে আসি লেটেস্ট কিছু পাই কিনা আপডেট ঃ এই সেই জানালার গ্রিল যেটা কেটে রেখে গেছে ডাকাতি বলে চালানোর জন্যে যেমন্টা বলেছিলাম কাচা কাজ, বাংলানিউজ ও প্রকাশ করেছে অপেশাদার খুনিদের কাজ । অনেক সূত্র ছেরে গেছে। অচিরেই ধরা পরতে যাচ্ছেও তারা। তাদের একটা নামাজে জানাজা হয়ে গেছে, আরেকটা পান্থপথে হবে বৌ বাজার মসজিদে।

জারা রাজাবাজার এলাকার তারা যোগ দিবেন আশা কর আপডেট ঃ রুনির ভাইকে ছেরে দিয়েছে পুলিশ আমি প্রথমে একেই সন্দেহ করেছিলাম কারন যতটুকু শুনলাম নিচে সাংবাদিক দের কাছ থেকে, তারা বলেছিল ্রুনির ভাই বাথরুমের ভেতরে ছিল এবং মেঘ বাথরুমের দরজায় টোকা দিয়ে খুলে দেয়। তিনি বের হয়ে এসে দেখেন এইসব। যদিও কিছুই বলা যাচ্ছেনা এখন। অবশ্যই নজরদারিতে থাকবে সে। ।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।