কিছুদিন ধরে দেখা যাচ্ছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আধা উন্নত দেশগুলোতে অভিবাসনের স্বপ্ন নিয়ে সাগরে পারি জমাচ্ছে নির্বোধ কিছু মানুষ। এরা বেশিরভাগই বাংলাদেশের, শ্রীলংকার এবং কখনো কখনো ভারতের দক্ষিণের রাজ্যগুলোর। বলাবাহুল্য, মুনাফাখোর পাচারকারীদের খ্খপ্পরে পড়ে তাদের আম-ছালা দুটোই যায়।
দশে মিলি করি কাজ, হারি জিতি নাহি লাজ মনে করে তারা সংখ্যায় থাকে সাধারণত: দুতিনশো। প্রায়ই যে ধরনের তড়িটি ভাসায় তারা, সেটির ইঞ্জিন গোলোযোগ থাকে, নতুবা লোকাধিক্যের কারনে ভারবহনে অক্ষম হয়ে, ডুবে ডুবে জল কেলি করতে করতে চলে সেই নৌযান।
একসময় দেখা যায়, দড়িয়ায় ঝড় উঠেছে। পাঞ্জেরি নাই----কেধরবে হাল?
মাঝ দড়িয়ায় জান নিয়ে টানাটানি! যাবে মালয়েশিয়া, দেখা গেলো ঝড়ে পড়ে জাহাজ ভিড়েছে আন্দামানের কোনাটিতে। কিংবা কখনো কখনো হয়তো মিয়ানমার উপকূলে। সাগরে যাদের সলিল সমাধি ঘটে, তাদেরকে ভাগ্যবান বলতে হয় এজন্যেই, বেঁচে থাকার দূর্গতি অপরিসীম।
সেরকম অভাগাদের উদাহরণ থাইল্যান্ড থেকে নির্মম কায়দা ফেরৎ পাঠানো একদল ভুক্তোভোগী।
অবৈধ পথে (উক্ত পথে) মরতে, মরতে থাইল্যান্ডের কো সাই ডেং উপকূলে পৌছেছিলো তারা। তরি তীরে ভেড়া মাত্র তাদের হাত পিছমোড়া করে বেঁধে, ইঞ্জিনবিহীন নৌকায় তুলে দিয়েছে থাই সেনারা। একমুঠো খাবার কিংবা সুপেয় পানি দেয়নি ওই পাষন্ডগুলো। আর যারা মৃতপ্রায়, তাদের পাঠিয়েছে গরাদে।
ফিরতি পথে নিশ্চয়ই জিকির করতে করতে আসছিলো অভিবাসনে আগ্রহী ব্যর্থ দলটি।
কারন হাত খোলা অবস্থার চেয়ে পিছমোড়া অবস্থায় সাগর নিশ্চয়ই আরো বেশি ভয়ংকর! সেটা বঙ্গোপসাগর পারি দিয়ে ভারত মহাসাগরে ভাসতে ভাসতে কোন সৌভাগ্যক্রমে ভারতের উপকূলে ভেড়ার আগে অনেকেই পটল তুলেন। যারা বেচে ফিরেছেন, সাগরের নোনা-জলো-হাওয়া, অকৃপণ হাতে পানিশূন্যতায় ভরে দিয়েছে তাদের দেহখানি। ডায়েরিয়ায় মৃত্যূর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন এরা।
এমনটি হরহামেশাই ঘটছে ইদানীং। বিষয়টিতে কর্তৃপক্ষের সুনজর দরকার।
পাচারকারীদের চিন্হিত করন, ধরিয়ে দিন, এবং তাদের প্রতারণার দিকটি উন্মোচিত করে নির্বোধ বোকা মানুষগুলোর নজরে আনা যেতে পারে-কি?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।