আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

সেন্টমার্টিনের কাছে বন্ধুর গল্প (দুই বছর দশ মাস ও চারশ+ মূলক পোষ্ট)

যারা উত্তম কে উচ্চকন্ঠে উত্তম বলতে পারে না তারা প্রয়োজনীয় মুহূর্তে শুকরকেও শুকর বলতে পারে না। এবং প্রায়শই আর একটি শুকরে রুপান্তরিত হয়।

আমি তুচ্ছ বাহক মাত্র সাপেক্ষের দুইপারের পথচারী যেব্রাক্রসিং দাগদাগ অ-বিন্যাস ভীষণ অ-মানবিক বিশেষণের সীমাগুলো নতুন করে বেঁধে যাওয়া কেননা, না পেরুনোর মানেই বাঁধা পরে যাওয়া কেননা, না পেরুনোর মানেই বাঁধা ডিঙানোর উচ্চাভীলাস যেহেতু আমি বাঁধা পড়ে গেছি দ্বীপ আর বন্ধুর সাপেক্ষে তাই গল্পগুলোর কিছুটা অনুমান করি কেননা ন্যূনতম অনুমিতি ভিন্ন, যৌথতা শংকিত হয় সাপেক্ষের একনায়কত্বর ভয়; তাকে যূথবদ্ধ করে পা উল্টিয়ে হাত-থাবার মত মাথা উল্টিয়ে বুক-পাঁজরের মত এবং; বন্ধুরা মন খারাপ করে বন্ধুর হয়ে ওঠে জুন জুলাইয়ের ঢেউগুলোর মত সি-ট্রাকগুলো স্থলের পাঁচটনি’র মত দানবীয় নয় পথের বিশালত্ব কিভাবে কোমল আর অসহায় করে তোলে সবক’টা শিশ্নকে দেখে; আমোদ জাগে তবুও শিশ্ন দিয়ে আমরা তীরে ভিড়তে চাই ভীরে একাকার হয়ে যাবার পর শিশ্নগুলো কোমল হয়ে ওঠে আবার শক্ত হয় আবার সমবিষমমর্ষযৌথবিচ্ছিন্নআগ্রাসী একাকী হয় তবুও কেবলমাত্র সাপেক্ষের উপস্থিতিতে বন্ধুদের বন্ধুর পথ ক্রমশ মসৃণ হয়ে আসে আবার পাশাপাশি হাঁটে আবার পাশ ঘেঁষে যাওয়া স্তন দেখে টিটকারী দেয় গোষ্ঠীগত চোখটিপ মারে এবং এক একটি শিশ্ন স্বপ্ন দেখে ভূমি থেকে আকাশ ভেদ করবার সবচেয়ে উথিত সবচেয়ে দোর্দন্ড স্কাইস্ক্র্যাপার বন্ধুরা বন্ধু’র চাইতেও বন্ধুর হয়ে ওঠে যোণী তার স্মিত হাসিতে দুষ্টু দুষ্ট ঠোঁট বাঁকায় যেহেতু আমি বাঁধা পড়ে আছি এক নায়কোচিত শিশ্নবাজ প্রকল্পে যেহেতু আমি আরেকটি সফল উত্থানের দিকে ধাই তাই আমি আরেকটি সাপেক্ষ চাই যোণীকে আমি জ্ঞান দিয়ে লেহন করি তার ছদ্ম ছায়াসঙ্গী হই আর ছায়াগুলো জ্ঞান হয়ে ওঠে, জ্ঞানগুলো শিশ্ন হয়ে ওঠে বন্ধু এবং আমি যোণী-মন্থন করছি বলে ভাবি যোণী, মন্থনের সুড়সুড়ি কাঙ্খা দেখে স্মিত হাসিতে দুষ্টু দুষ্ট ঠোঁট বাঁকায় তবুও তারা স্নেহ দিয়ে দরকারী তরলতা যোগায় যেহেতু যোণীদের এখনো অনেকেই স্নেহশীল তাই ট্রাক ট্রাক ভ’রে মানুষজন দ্বীপের কাছে যায় আর সাদাকলারের ড্রইংরুম ভ’রে ওঠে মিহি বালুতে একের পর এক হাত উঠতে থাকে আর সমস্বরে জানান দেয় আমি গ্যছি, আমি গ্যছি, আমরা শিশ্ন-যোণী গ্যছি, আমরা শিশ্ন-শিশ্ন গ্যছি, আমরা যোণী-যোণী গ্যছি..... আমরা নিষ্কাম গ্যছি ঘরের কোণায়;....... বালির ভেতরে মুখ ডুবানো হাতহীন শরীর স্বপ্ন দেখে হাত তুলবার যেহেতু সে বাঁধা পড়ে আছে ভুখন্ডের প্রলম্বিত শিশ্ন-শরীরে দ্বীপে যেয়ে, হয়ত সে ভূ-শিশ্নের একফোঁটা বীর্য দেখতে চায় দ্বীপে যেয়ে, হয়ত সে শিশ্নের ক্ষুদ্রতা মাপতে চায় অথবা সে সমুদ্রে যেতে চায়, সাপেক্ষ নীতির পরপারে একটা সত্যিকার সমুদ্র দেখতে চায় যেহেতু আমি বাঁধা পড়ে আছি শ্রেণীশিশ্নসভ্যতাসুখশিরোনামসম্মৃদ্ধিসাফল্যসৃষ্টির সাপেক্ষ-ক্রসিং এ সেহেতু আমি এর কাছে ওর গল্প করি গল্পই দালালদের বাঁচিয়ে রেখেছে এতকাল সাপেক্ষের ইতিহাস এই কথাই বলে..... গল্প দিয়ে ইতিহাস ভাঙ্গা যায়নি কখনো দালালেরা; এটা ভালো করেই জানে..... পাঠকদের জন্য: এইটা একটা দুই বছর দশ মাস ও চারশ+ মূলক পোষ্ট। ব্লগীয় পরিসরে কোন কিছু পূর্তি হওয়া উপলক্ষে কখনো কোন পোষ্ট দিতে ইচ্ছে করেনি কখনো। এখন মনে করতে পারি সামষ্টিক প্রবণতা থেকে এই সচেতন বিচ্যুতি পুরো প্রকল্পে একটা গোপন অহম ও স্বাতন্ত্রবোধ কাজ করেছে সম্ভবত।

একই সাথে এটা হয়ত জনপ্রিয়তা ও যোগাযোগ কৌশলে আমার ব্যর্থতা/অনিচ্ছা/সিদ্ধান্ত বা সবচেয়ে জোরালো যেটা ক্যালাসনেস এর ফসলও হতে পারে। তবে ৪০০তমতে লোভ জেগেছিল ব্লগীয় জীবন নিয়ে প্রচলিত ট্রেইন্ডে কিছু লেখার। এটা একটা চমৎকার সামাজিকীকরণ পদ্ধতিও বটে। অনেকটা সামষ্টিক পরিসরে নিজ ও অপরের এসেসমেন্টের মত। তবে পরবর্তীতে যুদ্ধাপরাধী নিয়ে পোষ্টটা দেয়াটা অনেক জরুরী মনে হল, ফলে এটা ৪০১ তম।

উপরের লেখাকে কোন কাঠামোয় ফেলবো সেটা নিয়ে কোন দুশ্চিন্তা নেই। তবে কিছুটা সংশয় ছিল। সেই সংশয় থেকে তখনি মনে হয়েছে যে নিজ'কে যতটা সম্ভব প্রকাশ করা যায় এবং যে মাধ্যমে কমফোর্ট থাকে সেটাতে যাওয়াই উত্তম। পথ পরিক্রমাকে সেলিব্রেট করার সাথে সাথে সেটার পুনরাবৃত্তি না করার আমি পক্ষপাতি। যদিও সেটা কঠিন কাজ।

উপরের লেখাকে সংজ্ঞায়িত কাঠামোব্ধ না করার উদ্দেশ্যটা সৎ, কারণ কোন পথ চলাকে আমরা কেবল বিশেষ কিছুর মোড়কেই চিহ্নিত করতে পারি। পুরোটা বয়ান তো দূরের কথা কিছুটা বোঝাও দুরুহু কাজ। ফলে এই অমীমাংসা চলতে থাকুক। ব্লগারদের পাঠকত্ব লেখকত্ব ব্লগত্ব বহাল থাকুক। সবার জন্য শুভ কামনা।


সোর্স: http://www.somewhereinblog.net     দেখা হয়েছে ১১ বার

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।