বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজে রাজস্ব আদায় বিষয়ে এক সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “সংলাপ হবে, সমাধান হবে এবং ২৪ জানুয়ারির মধ্যে যথাসময়ে নির্বাচন হবে। ”
আগামী জাতীয় নির্বাচন কীভাবে হবে- তা নিয়ে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের মুখোমুখী অবস্থানের মধ্যেই এ মন্তব্য করলেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মুহিত।
সরকার বলে আসছে, সংবিধান অনুযায়ী বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকতেই দশম সংসদ নির্বাচন হবে। তাতে আপত্তি জানিয়ে নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে আসছে বিরোধী দল বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এর আগে গত মে মাসে একবার বিরোধী দলকে সংলাপের আহ্বান জানালেও সে সময় বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া দাবি পূরণে সরকারকে ৪৮ ঘণ্টার সময় বেঁধে দেন।
সম্প্রতি জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন টেলিফোনে দুই নেত্রীর সঙ্গে নির্বাচনের বিষয়ে কথা বলার পর বিএনপির পক্ষ থেকে আবারো সংলাপের দাবি তোলা হয়।
সংলাপ কীভাবে হবে- সে বিষয়ে আর কিছু না বললেও নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সামনে দলীয় অবস্থানেই তুলে ধরেন মুহিত।
তিনি বলেন, “বিভিন্ন দেশে সংসদীয় পদ্ধতিতে যেভাবে নির্বাচন হয় সেভাবেই আমাদের দেশে নির্বাচন হবে। ”
এ প্রসঙ্গে মালয়শিয়ার উদাহরণও দেন তিনি।
বর্তমান সরকারের মেয়াদে আমদানি-রপ্তানি বেড়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যেখানে ১৬ বিলিয়ন ডলার রপ্তানি ছিল তা এখন ২৭ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
কাস্টম কমিশনার মাসুদ সাদিক চট্টগ্রাম কাস্টম হাউজের এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন।
‘রাজস্ব আদায় বিষয়ে’ এই দিকনির্দেশনামূলত সভায় মন্ত্রী বলেন, গত ২২ বছরের গণতান্ত্রিক সরকারের প্রথম ১৭ বছরে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। আর গত পাঁচ বছরে তার সমান বা বেশি আয় হয়েছে। এর কৃতিত্ব রাজস্ব কর্মকর্তাদের। ”
ভবিষ্যতেও এ অগ্রগতি ধরে রাখতে রাজস্ব কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
নির্বাচনের বছরে প্রতিবারই রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা থাকে মন্তব্য করে আবুল মাল মুহিত বলেন, এ কারণে দেশ পিছিয়ে যায়।
অন্যদের মধ্যে নৌপরিবহন সচিব সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম, এনবিআর সদস্য (শুল্ক) মো. ফরিদ উদ্দিন ও চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল নিজাম উদ্দিন আহমেদ সভায় বক্তব্য দেন।
ফরিদ উদ্দিন জানান, এবারে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা এক লাখ ৩৬ হাজার ৯০ কোটি টাকা, যা গত অর্থ বছরে এক লাখ ১২ হাজার কোটি টাকা ছিল।
সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে চলতি বছরে সর্বোচ্চ লক্ষ্যমাত্রা নেয়া হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “বর্তমানে দেশের পরিস্তিতি কিছুটা অস্থিতিশীল হলেও এই লক্ষ্য অর্জন করা অসম্ভব নয়। ”
এই লক্ষ্য পূরণকে একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে তা অর্জনে কাজ করার জন্য চট্টগ্রাম কাস্টমসের কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান এই এনবিআর সদস্য।
তিনি চট্টগ্রাম বন্দর ও কাস্টমসের মধ্যে সমন্বয়ের ওপরও জোর দেন।
সভার পর অর্থমন্ত্রী মুহিত চট্টগ্রাম বন্দর ভবনে যান এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গে বন্দরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন।
চট্টগ্রাম বন্দরের সদস্য (হারবার অ্যান্ড মেরিন) ক্যাপ্টেন মো. শাহজাহান এসময় বন্দর পরিস্থিতি সম্পর্কে মন্ত্রীকে অবহিত করেন।
বিকালে মেরিন একাডেমির একটি অনুষ্ঠানেও অংশ নেন মন্ত্রী।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।