রিজওয়ানুল ইসলাম রুদ্র
অন্ধকার এই সময়টাই রাত?
আমরা কীসের অপেক্ষা করছি? নতুন একটা দিনের... নাকি আরো গহীন অন্ধকারের। যে অন্ধকার বারবার জাগিয়ে তুলবে প্রেয়সীর চোখ, উষ্ণ নিঃশ্বাস... বৃষ্টির শব্দ। অন্ধকার চিরকালই প্রকাশ করে বৈপরীত্য। তবুও এ অন্ধকারই আমার প্রিয়, অন্ধকারই আমার নিঃসঙ্গবোধ, অন্ধকার হলো ২৫ মার্চ-কালোরাত... রাত্রি শব্দটার সাথে মিশে আছে বেলিফুলের স্নিগ্ধতা। অথচ এই রাত নিয়ে কত ভূতের গল্প, মৃত্যুভয়, অরণ্য, গা ছমছমে অদ্ভুত শিহরণ, রাত মানেই নিশিকন্যাদের ভোর, রাত মানেই নক্ষত্র শ্বাপদ, পাশের ঘরে খাটের দুলুনি... রাত মানেই নতুন এক সকালের আগমন, ঠিক যেমন একটি শিশু জন্মলাভ করে মাতৃগর্ভের অন্ধকার থেকে আলোর শব্দময় জগতে, সে মুগ্ধ হয়ে কাঁদে... আহা! ফেলে আসা, ধূসর হয়ে যাওয়া ভালোবাসার জন্য কবিমন ছুটে যায় ধ্বণিময় বাঙলা ভাষায়, অক্ষরের পর অক্ষর, শব্দের পর শব্দ দিয়ে বাক্য তৈরী হয়, তৈরী হয় মৃত প্রেমের এপিটাফ, হারানো মেয়েটার কাতরধ্বণি, প্রবল নৈঃসঙ্গবোধ, গোপন অঙ্গের প্রলুব্ধ হাতছানি, একটি ভালোবাসার সমাধি তৈরী হয়. অনেক কষ্টের পর, একটি ছন্দহীন কবিতায়; অন্তহীন গদ্যে... ভালোবাসার মানুষ যে ফিরে আসে না! মেয়েরা স্বার্থপর, তার সাথে আমার অসম সম্পর্ক ছিলো, সে তো জানতো এসব, তবুও অন্য কারো বুকে খুঁজে পেয়েছে আশ্রয়? না-কি সমাজ-অস্বীকৃত সম্পর্কগুলো এমনই হয়? এমনই হয় এর পরিণতি, ধূসর কিন্তু প্রাণবন্ত... স্মৃতি যে মুছতে চায় না; বারবার পিছু ডাকে অদৃশ্য মায়ায়... অভেদ্য এই বন্ধন ছিন্ন করে শীতপাখি হয়ে আকাশে উড়তে চাই, অন্য কোন রমণীর বুকে মাথা রেখে আবারো ঘুম ভেঙে জেগে উঠতে চাই, গরম কফির পেয়ালায় সাদা মেঘের প্রতিফলন দেখতে চাই, আমার ভেতরের ক্ষুদ্র ঈশ্বরকে ডেকে তুলতে চাই, আমি, এক পরাহত জীবন-
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।