যুদ্ধাপরাধীদের বিচার চাই । কাদঁতে আসিনি ফাসিঁ দাবী নিয়ে এসেছি ।
মিথ্যেবাদী রাখাল বালকের গল্প আমরা জানি , শৈশবেই এদেশের ছেলেমেয়ারা এই গল্পটি শুনে বড় হয় । বাবা-মায়েরা এই গল্পটি শোনানোর সাথে সাথে প্রয়োজনীয় উপদেশ দিতে ভুল করেন না , মিথ্যে কথা বলা মহা পাপ । সেই শিক্ষা আমাদের জাতীয় জীবনে কোন অর্থবহ করে না ।
আর আমাদের ব্যাক্তি জীবনে , সেই বাণী তো স্রেফ বইয়ের ভাষা আর কেবল উপদেশ দানের জন্যই । কিন্তু সেই উপদেশ কেউ যেন পালন করতে চান না ।
মিথ্যেবাদী রাখাল বালক খেলার ছলে মানুষকে বিভ্রান্ত করত বাঘ এসেছে বলে । সেই রাখাল বালকের মতোই আমাদের দেশের কিছু রাজনীতিবিদেরা । আর যখন নির্বাচন আসে তখন যেন সেই বিভ্রান্তের রাজনীতিই মুখ হয়ে ওঠে, মানুষকে ভয় দেখিয়ে, ইমোশনাল ব্ল্যাকমেইল করেন এদেশের রাজনীতিবিদরা ।
১৯৯১ সালের সংসদ নির্বাচনের সময় সবে হাইস্কুলের শিক্ষার্থী ছিলাম । কসেই নির্বাচনের রাজনীতি কয়েকটি বিষয় এখন স্পষ্ট মনে আছে । সেইবার একটি দলের প্রচারণা ছিল এমন যে , একটি দলকে ভোট দিলে বাংলাদেশ তার সার্বভৌমত্য হারাবে, ভারত হয়ে যাবে । তার থেকেও নোংরা কথা ছিল এমন যে , মসজিদ থেকৈ মন্দিরের উলু ধ্বনি শোনা যাবে । দেশ বিক্রি হয়ে যাবে ।
মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছে, কেননা স্বাধীনতা হীনতায় কে বাচিঁতে চায় ? তেমনিভাবে আরেকটি দল, রাজাকারের দল তো দাবীই করে বসল যে তাদের ভোট দিলে বেহেস্তের চাবি পাওয়া যাবে । এ যেন এক টিকিটে দুই ছবি !! (এই নিলর্জ্জরাই দাবী করে তারা নাকি ইসলামের রক্ষক । )
১৯৯৬ সালের রাজনীতির হাওয়াও ঘুরে ফিরে একই শ্লোগান ছিল, আমরা পরাধীন হয়ে যাবো, দেশে দুর্ভিক্ষের সৃষ্টি হবে এমনতর হাস্যকর কথা । দেশে আর কোন রাজনৈতিক দল থাকবে না, এক নায়কতন্ত্র শুরু হবে । আদতে হাস্যকর হলেও যখন একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রী এমন বাণী দেন তখন মানুষ বিশ্বাস না করলেও বিভ্রান্ত হয় ।
২০০১ সালে এসে শুধু ভারত ভারত ইস্যু ওতো যুতসই ছিলো না । তাই সেই ইস্যুকে পোক্ত করতে আছে ব্যক্তি মালিকানার ইসলাম । নিজে ধর্ম করুক না করুক কিন্তু সেই ধর্মকে ব্যবহার করতে তাদের বিন্দু মাত্র দ্বিধা হয় না ।
এবার তারা শুরু করেছে নতুন উক্তি, নির্বাচন বানচালের চেষ্টা হচ্ছে । ২০০৬ সালের নির্বাচন বানচাল করেও তার মন ভরেনি ।
তাই তিনি যেন চান ২৯ ডিসেম্বরের নির্বাচনও বানচাল হোক । কেননা তাদের গণজোয়ার তারা খুব ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন, সেই জোয়ারে ভেসে যাবার ভয়েই কি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন তিনি ??
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।