সৃষ্টি সুখের উল্লাসে।
এইতো আসন্ন নির্বাচনের কারণে বাংলাদেশ এখন নির্বাচনী জ্বরে কাঁপছে। এই বারই আমি প্রথম ও নতুন ভোটার হলাম। ভোটার হয়েও পড়ে গেছি বড় বিপদে। কাকে ভোট দেব, এই প্রশ্নই আমকে এখন তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে।
আমাদের দেশের রাজনীতি মূলত আ.লীগ ও বি,এন,পি কেন্দ্রীক। অন্যান্য দলগুলো এদের ছায়াতলে নিজেদের অবস্থান খুজছে। এতে সৃষ্টি হয়েছে জোট , মহাজোটের। এবার আসছি এ দুটো দলের সামান্য বিশ্লেষণে। সামান্য এজন্য বলছি যে, আমি রাজনীতি সম্পর্কে খুব বেশী জানিনা।
কিন্তু একজন সাধারন ভোটার হিসেবে এই দুটি দল সম্পর্কে সামান্য জানার চেষ্টা করেছি। যাইহোক এবার আসি আসল আলোচনায়।
চারটি উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক দল নিয়ে গঠিত চারদলীয় ঐক্যজোট। এদের রয়েছে অনেক জনপ্রিয়তা। লাখ লাখ জনতা এদের সমর্থন করছে।
গত নির্বাচনে বিরোধী দলের সাথে মোটামুটা বড় ব্যবধানেই পাশ করেছে। কিন্তু এই জোটেরই একটি বিরাট অংশ রয়েছে যারা ৭১ এর স্বাধীনতার বিরোধীতা করেছিল, নিয়েছিল পাক সেনাদের পক্ষ। বুঝলাম না বি,এন,পি-র মত এমন জনপ্রিয় দল কিভাবে একটি যুদ্ধাপরাধীদের সাথে হাত মিলালো। যদিও এহেন কাজ আ,লীগও একবার করেছিল। যাইহোক, স্বাধীনতার বিরোধিতাকারী কোন দলকে নিয়ে স্বাধীন দেশের সরকার গঠন হয়না।
এবার মহাজোটের কথায় আসছি। আ.লীগকে কেন্দ্র করে বেশ কয়েকটি দল একত্রিত হয়ে গঠিত হয়েছে মহাজোট। এর গুরুত্বপূর্ণ একটি দল রয়েছে যেটা উপরের যুদ্ধাপরাধীদেরচেও কম অপরাধী নয়। দলটি গণতান্ত্রিক স্বাধীন বাংলাদেশকে হত্যার প্রচেষ্টায় ৯ টি বছর দেশে ও দেশের জনগনের গলা টিপে ধরে রেখেছিল। এছাড়াও আরো কিছু ছোট ছোট সমাজতান্ত্রিক দল রয়েছে যাদের সাংবিধানিক বৈধতাই নেই।
কারণ গণতান্ত্রিক বাংলাদেশে সমাজতান্ত্রিকতার কোন স্থান নেই। যদি তাদের সমর্থন করা হয় তবে ৩০ লাখ শহীদের রক্তের অবমাননা করা হবে।
এবার আপনারাই বলুন আমি বা আমার এমন সাধারন মানুষরা কাকে ভোট দেবে। প্রতেকটি দলইতো কোন না কোন ভাবে গণতান্ত্রিক স্বাধীন বাংলাদেশের বিরুদ্ধে অবস্থান করছে। তবে কি ভোট না দিয়ে অসচেতনতার পরিচয় দেব।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।