নোয়াখালী উপকূলীয় চরাঞ্চলের ৪টি বড় চরে প্রায় ২০ হাজার পরিবারের ২লাখ লোক বসবাস করে।
উপকূলীয় চরাঞ্চলের গরীব মানুষের মাঝে আজ ঈদের দিন আনন্দ নেই। শুধু এবারের ঈদ কেন প্রতি বছর এদের স্বপ্ন স্রোতে ভেসে যায়। নিভে যায় ঈদ আনন্দ।
নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলার চর নাঙ্গলীয়া,কেরিংচর, চর বাশার ও চর আজমলের নদীভাঙ্গাঁ ও ছিন্নমূল হাজার হাজার মানুষ নিঃস্ব হয়ে এচরে আশ্রয় নিয়েছে।
এদের আদিবাড়ী ছিল নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলা, ভোলাজেলার মনপুরা লীপুরের রামগতি ও চট্রগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ উপজেলা। এরা প্রায় সকলে বেকার নদীভাঙ্গাঁ ভুমিহীন মানুষ।
প্রতিনিয়ত দুর কষ্টের মধ্যে এরা বসবাস করে। ঈদের দিন চারদিকে যখন আনন্দ চলছে। তখন এ মানুষ গুলোর হাড়িতে কিছু পাক হয়নি।
প্রতিদিনের মতোই অনাহারে থাকতে হচ্ছে।
ঈদের দিন মলিন হয়ে রয়েছে তাদের মুখ। দীর্ঘশ্বাসে ভারি হয়ে উঠেছে তাদেও ঘরবাড়ি। এ চর গুলোতে কোরবানী দেওয়ার মত মানুষ বর্তমানে বসবাস করেনা। অথচয় এক সময় তারা গরু ও ছাগল কোরবানী দিত।
রাক্ষুসী নদী তাদের সবকিছু কেড়ে নিয়েছে। বর্তমানে ভুমিহীন পরিবারের পুরুষরা সুবর্ণচর উপজেলার যে সব পরিবার কোরবানী করে তাদের কাজ করে যে টুকু গোস্ত পায় তা নিয়ে পরিবার পরিজন নিয়ে ঈদ করে। এছাড়া অনেকের ছোট ছোট ছেলে মেয়ে জেলা শহরের বিভিন্ন বাসা বাড়ীতে কাজ করে তাদের দেওয়া গোস্ত একদিন পরে নিলে তাদিয়ে তাদের ঈদ। এসব মানুষের আর্তনাদ আগে কেউ শোনেনি এবংবর্তমানেও শুনছেনা।
বেকার নদীভাঙ্গাঁ ভুমিহীন মানুষরাজীবন-জীবিকার জন্য এখন কোথায় যাবে,তা তারা নিজেরাও জানেনা।
১১-১২-২০০৮ বৃহস্পতিবার সন্ধায়৬.০৫ ও শুক্রবার সকালে দিগন্ত টেলিভিশনে দেখুন।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।