আমার এই পথ চাওয়াতেই আনন্দ
জায়গাটার ধরণ অনেকটা ভারতের রাজস্থান টাইপের মনে হল। ভারতীয়রা প্রত্নতাত্ত্বিক খোদাই করে তিন স্তরের মাটির নিচে কিছু পেয়েছে। যারা এসেছেন দেখতে, তাদের পরনে গ্রীকদের মত জামাকাপড়। আমাদের নিয়ে যাওয়া হল, খুজে পাওয়া জিনিসগুলো দেখাতে। গ্রান্ড ক্যানিয়নের মত গভীর গর্ত, সুন্দর করে তিন স্তরে কাটা।
সেখানথেকে তারা পেয়েছে একটা মডেল টাইপের কিছু। খুব সম্ভবত প্রাচীন কোন স্থাপনার মডেল সেটা, যে কোন বিল্ডিং ডিজাইন করার সময় আর্কিটেকটেরা যা করে। ওটার গায়ে হলুদ রঙ এর কিছু লাগানো ছিল।
স্ট্রাকচারটা বাসায় নিয়ে আসা হল। আমাদের বাসা না, কিন্তু ঘরের বারান্দাটা আমাদের টিকাটুলির বাসা।
বারান্দায় একটা ছোট ফ্যান চলছে, যার পাখার রঙ নীল। অজানা অচেনা দুই একজনের মাঝে আমিও স্ট্রাকচারটা দেখছিল্লাম। তখন, মনে হল ওটার আকৃতি মানুষের মত। অর্ধের মানুষ, তবে আকার স্বাভাবিক মানুষের চাইতে অনেক বেশী। হঠাৎ বুঝলাম সেটা এখন জীবিত হয়ে উঠবে।
ঠিকই হল, আমি ঘরের বাইরে গিয়ে দরজা অর্ধের খুলে ভেতর থেকে বাবা মাকে বেরিয়ে আসতে বললাম। বাবা খালি গায়ে লুঙ্গি পরিহিত বের হতে গিয়ে আবার কি নিতে ঘরে ঢুকল। আমি বুঝলাম, স্ট্রাকচারটা মানুষের আকৃতি নিয়ে জেগে উঠেছে। বাবা বেরিয়ে আসার আগেই আমি দরজা বন্ধ করে দিলাম। মানুষটা দরজার কাছে এসে কাকুতি মিনতি করছিল দরজা খুলে দেবার জন্য।
আমি খুললাম না। এর মাঝে আমার মা কোথা থেকে যেন ঐ রুমে চলে আসল। এক পর্যায়ে মানুষটা দরজা উপড়ে ফেলতে শুরু করল। আমি দৌড়ে ১৬ তলা বিল্ডিং থেকে নেমে পড়লাম, সাথে বাবাও।
বিল্ডিং থেকে বেরিয়েই কার্জন হল প্রাঙ্গন।
মূল ভবনের তিন তলা থেকে একটা লোক লাফ দিতে যাচ্ছিল, ভাবলাম সে জেগে উঠা মানুষটা নাকি? নামার পরে দেখি একজন পুলিশ ইউনিফর্ম পড়া। আমার হাতে একলোকের দেওয়া একটা টর্চ লাইট, যেটার উপরের অংশ নির্দিষ্ট কোনে নাড়ানো যায় (আমার চাচার এমন একটা টর্চ আছে)। কার্জন হলে অনেক মানুষ, সবাই উদ্বিগ্ন। হঠাৎ, দেখলাম সেই জেগে ঊঠা মানুষটা যে কিনা মিশরের ফরাওদের মত জামাকাপড় পড়া কার্জন হলের উপরে। সেখান থেকেই কি সব বলতে বলতে লাফ দিয়ে নিচে নামল।
আমি লুকোবার চেষ্টা করলাম। মানুষের ভীড়ে পালাতে গিয়ে ওটার সামনেই গিয়ে পড়লাম। সে সবার উদ্দেশ্যে একটা মন্ত্র টাইপের উচ্চারণ করতে করতে কিছু একটা ছুড়ে দিতে চাচ্ছিল। আমাকে দেখেই, আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিল। যেই না আমাকে ছুঁয়েছে, ঠিক সেই মূহুর্তেই, The Mummy Returns মুভির মত একটা বিড়াল কেউ সামনে ধরে বসল।
ভয়ে ওটা দ্রুত মিলিয়ে গেল এবং আলাদিনের জ্বীনের মত একটা থলিতে ঢুলে গেল. এই যাত্রা বেঁচে গেলাম
………………………….. আমি জেগে উঠলাম।
আজ সকালে ৯ টার দিকে উঠে ছোট বোনকে পাসপোর্ট ফর্ম জমা দিতে নিয়ে গেলাম। বাসায় ফিরে কেমন ক্লান্ত লাগছিল, তাই ঘুমালাম। দুপুরে ভাতও খাই নাই, ঘুমিয়েই ছিলাম। সেই ঘুমের মাঝে দেখা অদ্ভুত স্বপ্ন এটি।
ঘেমে গিয়ে ছিলাম প্রায়। হার্টবিট ছিল খুব দ্রুত। বান্ধবিকে ফোন করে বললাম সব, যা যা মাথায় ছিল। ও বলল, এক কাপ চা খেয়ে তারপর গোসল করে নিতে। তাই করলাম, গোসল করতে করতে ভেবে দেখলাম, ফ্যানের রঙ ছিল নীল, স্ট্রাকচারের গায়ে ছিল হলুদ রঙ।
মানুষের ব্রেনের এক অদ্ভুত খেলা এই স্বপ্ন, মাঝে মাঝেই দেখি। দুই একজনকে জিজ্ঞাসা করে বুঝেছি, অন্যরাও দেখে। আপনারাও কি এসব উলটা পালটা দেখেন?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।