ভোরের তারা হয়ে একাকি পথ খুজি
মুমিনরা যখন বেহেশতে প্রবেশ করবে তখন ধ্বনিত হবে-
১)তুমি চিরকাল সুস্হ থাকবে কখনই রোগাক্রান্ত হবে না।
২)তুমি অনন্তকাল বেঁচে থাকবে কখনই মৃত্যু হবে না।
৩)তুমি সবসময়ই প্রাচুর্য্যের মধ্যে থাকবে যা কখনই শেষ হবে না।
বেহেশত সোনা এবং রুপার ইট দিয়ে তৈরী। সুগন্ধী যুক্ত কস্তুরী হল এর সিমেন্ট।
এর বহিরাবরন হবে মুক্তা এবং ইয়াকুত (এক ধরনের মূল্যবান পাথর) দ্বারা তৈরী, বালুর বদলে থাকবে জাফরান।
মানের দিক থেকে বেহেশতের মধ্যে সর্বৎকৃষ্ট হচ্ছে জান্নাতুল ফেরদৌস, তারপর জান্নাতুল আদান, সব শেষে জান্নাতুল মাওয়ার অবস্হান। যারা আল্লাহকে পাবার জন্য তার সৃষ্টিকে ভালবাসবে, তাদেরকে আল্লাহপাক ইয়াকুত দ্বারা নির্মিত ভিত্তির উপর ৭০,০০০ ঘর বানিয়ে দিবেন। এই ঘর গুলো সূর্য কিরনের ন্যায় উজ্জ্বল আলোকচ্ছটা ছড়াবে।
বেহেশতের আটটি দরজা আছে।
এরা বেহেশতের আটটি মর্যাদা স্বরুপ ।
১.জান্নাতুল মাওয়া
২.দারুল মাকাম
৩.দারুল সালাম
৪.দারুল খুলদ
৫. জান্নাতুল আদ দ্বীন
৬.জান্নাতুল নাইম
৭.জান্নাতুল কাছিফ
৮.জান্নাতুল ফেরদৌস
বেহেশতের খাবার-[/sb
* বেহেশতবাসী একনাগাড়ে চল্লিশ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন খাদ্য এবং ফলমূল খেয়ে যেতে পারবে। বেহেশতের প্রতিটি ঘরে ৭০,০০০ ডাইনিং টেবিল থাকবে যার প্রত্যেকটি আবার ৭০,০০০ রকমের বিভিন্ন খাদ্য দিয়ে সাজানো থাকবে। প্রতিটি ডিস হবে নতুন নতুন স্বাদযুক্ত। তারা ঢেকুর তুলবে যা তাদের খাদ্যকে হজম করিয়ে দিবে।
পরিপাককৃত পানি সুগন্ধি ঘাম হয়ে বের হয়ে যাবে। বেহেশতে কোন মল মূত্র থাকবে না।
এক কাঁদি খেজুরের দৈর্ঘ্য হবে বারো হাত সমান আর একেকটি খেজুরের আকার হবে একটি বড় কলসির সমান। এরা দুধের চেয়েও সাদা, মধুর চেয়েও মিষ্টি, মাখনের চেয়েও নরম এবৎ বিচি বিহীন হবে।
প্রতিটি বেহেশতে চার ধরনের নালা থাকবে।
এগুলো হল-
পানির নালা
দুধের নালা
মধুর নালা
এবং শরাবান তহুরা
বেহেশতবাসীর সেবায় ৮০,০০০ তরুন যুবক, অপূর্ব বিক্ষিপ্ত মুক্তার ন্যায় ঘুরতে থাকবে।
* বেহেশতের বাগান
বেহেশতে অপূর্ব সব বাগান রয়েছে। প্রতিটি বাগানের দৈর্ঘ্য হবে একশত বৎসরের যাত্রার সমান। এই বাগানে গাছের ছায়া পড়বে গভীর করে। গাছগুলো হবে কাটাবিহীন।
পাতা গুলো হবে আকারে হাতির কানের সমান। গাছের ফল গুলো সারিবদ্ধ ভাবে ঝুলে থাকবে। এই সব গাছের কান্ড গুলো হবে সোনা এবং রুপা দিয়ে তৈরী।
সেখানে রয়েছে আঙ্গুরের বাগান। একেকটি আঙ্গুরের শাখা হবে বিশাল আকারের।
প্রতিটি আঙ্গুর হবে একটি বড় পাত্রের সমান। কেউ একজন প্রশ্ন করেছিল "ইয়া রাসূল আল্লাহ , এটা কি আমি এবং আমার পরিবারের জন্য যথেষ্ট, তিনি উত্তর দিয়েছিলেন এটা তোমার এবং তোমার সমস্ত গোষ্ঠীর জন্য যথেষ্ট।
বেহেশতের পোশাক-[/sb
বেহেশতের পোশাক হবে অপূর্ব। একজন একই সময়ে ৭০ ধরনের পোশাক পরতে পারবে। পোশাক গুলো হবে সুন্দর, রুচিশীল,ভারহীন এবং বিভিন্ন রঙের।
এগুলো এত চমৎকার যে শরীর, এমনকি হার্টও দেখা যাবে। হার্টের মধ্যে ভালোবাসার তরঙ্গ গুলোও দৃশ্যমান হবে। এই পোশাক গুলো কখনই পুরনো হবে না, কখনই ময়লা হবে না এবং কখনই ছিড়ে না।
বেহেশতে তিনটি ঝরনা রয়েছে। এরা হল-
১. কাফুর
২.জানজাবিল
৩.তাসনিম
*বেহেশতবাসীর বৈশিষ্ট্যঃ
বেহেশতের মধ্যে প্রতিটি বেহেশতবাসীর উচ্চতা হবে হযরত আদম (আঃ) এর সমান অর্থাৎ ৯০ ফুট।
চেহারা হবে হযরত ইউসুফ (আঃ) এর মত অপূর্ব সুন্দর। বয়স সব সময়ই হযরত ইসা (আঃ) এর মত তরুন অর্থাৎ ৩০-৩৩ বৎসর থাকবে। কন্ঠ হবে হযরত দাউদ (আঃ) এর মত মধুর। সহনশীলতা হবে হযরত ইয়াকুব (আঃ) এর মত। ধৈর্য্য হবে হযরত আইয়ূব (আঃ) এর মত।
আর স্বভাব হবে হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর মত।
যদি কোন ব্যক্তি দৈনিক তিনবার বেহেশতের জন্য প্রার্থনা করে, তখন বেহেশতও সেই ব্যক্তির জন্য আল্লাহর কাছে অনুরোধ করে "ও আল্লাহপাক একে বেহেশতে প্রবেশ করতে দেন। "
আর যদি কোন ব্যক্তি দৈনিক তিনবার দোযখ থেকে রক্ষা পেতে প্রার্থনা করে, তখন
দোযখও আল্লাহর কাছে অনুরোধ করে "ও আল্লাহপাক একে দোযখ থেকে রক্ষা করুন। "
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।