পটুয়া কামরুল হাসান। তাঁকে আবারো স্যালুট করি। মহান মুক্তিযুদ্ধ যখন শুরু হলো , তিনি বললেন - ওরা মানুষ হত্যা করছে, আসুন আমরা পশু হত্যা করি।
কিংবা দেশ যখন দাপটশালী স্বৈরশাসকের দখলে তখন তিনি
বললেন- দেশ আজ বিশ্ব বেহায়ার খ্প্পরে ।
সেই বিশ্ববেহায়া আজ বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি হতে চায়।
আর সেই দেশে আজ চলছে সেই পশুদের তান্ডবনৃত্য ।
ওরা লালনের ভাস্কর্য ভেঙেছে। কাল তারা আঘাত হেনেছে মতিঝিলে বলাকা ভাস্কর্যের উপর।
পটুয়া কামরুল হাসান বেঁচে নেই। তিনি বেঁচে থাকলে আজ কি বলতেন , কি লিখতেন তা আমার জানতে খুব ইচ্ছে করে।
কখনও সময় আসে, মানুষ গ্রাম - গ্রামান্তর থেকে শহরমুখি হয়। তাদের হাতে থাকে বাঁশের লাঠি, বেতের ঢাল। একাত্তরে সে দৃশ্য আমি নিজ চোখে দেখেছি। দেখেছি , একজন মায়ের পা ছুঁয়ে শেষ কদমবুছি করে রনাংগনে গিয়েছে একটি সন্তান । সেই সন্তান আর মায়ের কোলে ফিরে আসে নি।
আমি জানি, এই বাংলা মা এমন অনেক সন্তান প্রতিদিন জন্ম দিচ্ছে।
প্রতি ভোরে এই বাংলার আকাশের নীচে লালিত হচ্ছে এমন অনেক বলিষ্ট
হাত। সে হাত মুষ্টিবদ্ধ হবেই। হয়তো আবারো রক্তের দামে কেনা হবে কোনো স্বপ্নসৌধ ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।