এটা আমার জন্য অনেক সুখকর যে, আমি এখন ব্লগ ও ফেইসবুক থেকে নিজেকে আসক্তিমুক্ত রাখতে পারছি। পরিবার ও পেশাগত জীবনের কর্মব্যস্ততা অনেক আনন্দের। ... ব্লগে মনোযোগ দিতে পারছি না; লিখবার ধৈর্য্য নেই, পড়তে বিরক্ত লাগে।
সে এক স্বপ্নের কলেজ ছিল, যে কোন ছাত্রেরই। ঢাকা কলেজে পড়বার সৌভাগ্য যেমন সবার হয় না, পড়াবার সৌভাগ্যও তেমনি হয় না সবার- বলেছিলেন প্রিন্সিপাল নোমান স্যার নবীন বরণ অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষণে।
তারপর কলেজে পড়বার সময়, কলেজ থেকে বের হয়ে, বহু বহুদিন ধরে, সব ক্ষেত্রেই দেখেছি ঢাকা কলেজিয়ানদের একচেটিয়া দাপট, মেধার বিচ্ছুরণ।
কিন্তু সেই কলেজ, আমার ১৯৮৫-৮৬ সনের ঢাকা কলেজ কি আর আছে? পরীক্ষার রেজাল্টে যেখানে আগে মেধাতালিকার প্রায় ২০টিতেই থাকতো ঢাকা কলেজিয়ানদের নাম, অধুনা জিপিও-৫ ধারীদের সংখ্যার হিসেবে ঢাকা কলেজের নামই ওঠে না। নিউজে ঢাকা কলেজের উল্লেখও থাকে না। কেন এমন হলো সেই সোনার স্বপ্নের কলেজ?
আমি উত্তর ছাত্রাবাসের ১০১ নম্বর রুমে থাকতাম। সেকশন-সি, রোল-৫৩, বিজ্ঞান বিভাগ।
পাশ করে বেরিয়ে আসার বেশ কিছুদিন পর্যন্ত ১০১ নম্বর রুমে বেড়াতে যেতাম, কলেজ ঘুরে দেখতাম, অডিটরিয়ামে ঢুকতাম।
একদিন অহনাকে নিয়ে গেলাম।
ছাত্ররা আমাদের দেখে সালাম জানায়, স্যার বা ম্যাডাম সম্বোধন করে পাশ কেটে চলে যায়। বিব্রত হই, কিন্তু ভালো লাগে। অহনাকে নিয়ে খেলার মাঠে গেলাম।
কয়েকটা ছেলে ফুটবল, কয়েকজন ভলিবল খেলছে। এক পাশে কয়েকজন ক্রিকেটও করছে। অহনাকে বললাম, তুই দাঁড়া, আমি একটু বোলিং করি। ও সায় দিয়ে তারপর বলে, চল্ আজ যাই, দাঁড়াতে পারছি না। ....পেটের ভেতর ৯ মাসের বাবু নিয়ে ঘোরাঘুরি করা যায় না।
খেলার মাঠকে বিদায় নিয়ে চলে আসি।
আমার ঢাকা কলেজ পেছনে পড়ে থাকে, বুকের আর মনের গভীরে নাড়া দিতে থাকে, যেমন অহনার বাবুটাও নাড়া দিচ্ছিল ক্রমাগত...তার ২দিন পর পেট কেটে ওর বের হবার কথা, কিন্তু তখনই বেরিয়ে আসতে চাইছিল বোধ হয় পৃথিবীর আলোতে।
ঢাকা কলেজ - জামান স্যার, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার ও শামীম আজাদ ম্যাডামের কথা; এবং হাবিজাবি
ঢাকা কলেজে - জামান স্যার, আব্দুল্লাহ আবু সায়ীদ স্যার ও শামীম আজাদ ম্যাডামের কথা; এবং হাবিজাবি
ঢাকা কলেজের কথা
ঢাকা কলেজের পুরনো গৌরব কোথায় গেলো?
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।