লড়াই করে জিততে চাই
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে বি এস এফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশী কিশোরী ফেলানি খাতুন হত্যার মামলায় অভিযুক্ত সীমান্তরক্ষীকে নির্দোষ বলে রায় দিয়েছে বাহিনীর নিজস্ব আদালত। এই রায়ের পরে মুক্তি দেওয়া হয়েছে বি এস এফের ১৮১ নম্বর ব্যাটালিয়নের কনস্টেবল অমিয় ঘোষকে। বি এস এফের সূত্রগুলো এই খবর নিশ্চিত করেছে। তবে বাহিনীর তরফ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এখনও কিছু জানানো হয় নি। সেনাবাহিনীর কোর্টমার্শালের সমতূল্য বি এস এফের নিজস্ব আদালত জেনারেল সিকিউরিটি ফোর্সেস কোর্ট তাদের বিচার শেষ করে গতকাল।
এই রায়টি চূড়ান্ত ছাড়পত্রের জন্য বাহিনীর মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো হবে। অগাস্টের ১৩ তারিখ থেকে ফেলানি হত্যা মামলার বিচার চলছিল ভারতের কোচবিহার জেলায় সোনারি বি এস এফ ছাউনিতে। মোট পাঁচজন বিচারক গোটা বিচার প্রক্রিয়া চালান আর কোর্ট পরিচালনা করেন বি এস এফের গুয়াহাটি ফ্রন্টিয়ারের ডি আই জি কমিউনিকেশনস সি পি ত্রিবেদী। ২০১১ সালের ৭ই জানুয়ারী ভোরে পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার অন্তর্গত চৌধুরীহাট সীমান্ত চৌকির কাছে কাঁটাতারের বেড়া পেরনোর সময়ে ফেলানি খাতুন কনস্টেবল অমিয় ঘোষের গুলিতে মারা যান। দীর্ঘক্ষণ তাঁর দেহ বেড়ার ওপরেই ঝুলে ছিল।
মি. ঘোষের বিরুদ্ধে ভারতীয় দন্ডবিধির ৩০৪ ধারায় অনিচ্ছাকৃত খুন এবং বি এস এফ আইনের ১৪৬ ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছিল। ফেলানি হত্যার মামলায় সাক্ষ্য দিতে বাংলাদেশ থেকে তাঁর বাবা ও মামা ভারতে এসেছিলেন।
বিবিসি বাংলা
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।