ফেলানি আর দেবযানী, একজন বাংলাদেশী আর একজন ভারতীয় নাগরিক। শুধু দেশ নয়, সামাজিক মর্যাদা, সম্মান, অর্থ, প্রতিপত্তি সব দিক হতে দুই বিপরিত মেরুর তাঁরা। কিন্তু দুজনেই মানুষ।
দেবযানী খোবরাগাড়, নিউইয়র্কে নিযুক্ত ভারতীয় এই কূটনীতিক কে গ্রেফতার এবং হেনস্তার অভিযোগ এনে যুক্তরাস্টের বিরুদ্ধে নয়াদিল্লি কঠোর অবস্থান নিয়েছে। দেবযানীর মর্যাদাহানির বিরুদ্ধে সকল সভ্য মানুষ অবস্থান নেবে এটাই স্বাভাবিক, উচিতও।
কিন্তু এর অন্য একটি দিকও রয়েছে। ভিসায় মিথ্যা তথ্য সরবরাহ করার অভিযোগ দেবযানীর বিরুদ্ধে এনেছে যুক্তরাস্ট্র , ভিসা জালিয়াতির মামলা হয়েছে। জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনে একজন জ্যেষ্ঠ কূটনীতিক হিসাবে দেবযানীকে বদলী করার মাধ্যমে তাঁকে কূটনীতিক রক্ষাকবচের দ্বারা দায়মুক্তির চেষ্টা করছে ভারত। তাঁর বিরুদ্ধে আনীত মামলা প্রত্যাহার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র কে আহবানও করেছে ভারত।
২০১১ সালের ৭ ই জানুয়ারী বাংলাদেশ - ভারত সীমান্তে ফেলানি নামের ১৫ বছরের কিশোরীকে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী
বাহিনীর (বিএসএফ)সদস্যরা গুলি করে হত্যা করে ।
গুলিবিদ্ধ ফেলানির লাশ পাঁচ ঘণ্টা কাঁটাতারে ঝুলে ছিল। নিরস্ত্র এই কিশোরী বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে অবৈধ ভাবে সীমান্ত অতিক্রম করেছে বলে গুলি করে হত্যা করা হয় তাঁকে।
পরবর্তীতে বিএসএফ এর নিজস্ব আদালতে এ হত্যার বিচার হয় যাতে অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষ বেকসুর খালাস হয়।
ফেলানি- ১৫ বছরের দরিদ্র,নিরস্ত্র এক কিশোরী, বেঁচে থাকার লড়াইয়ে সে সীমান্ত অতিক্রম করে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও। এজন্য শুধু যে তাঁর বেঁচে থাকার অধিকারই কেড়ে নেয়া হয়েছে তা নয়, তাঁর হত্যার বিচারটুকু পর্যন্ত নিশ্চিত করেনি।
অথচ দেবযানীকে রক্ষার জন্য তার রাষ্ট্র লড়ছে। ভিসা জালিয়াতির অভিযোগ ছাড়াও ভারতের আদর্শ আবাসন কেলেঙ্কারিতেও মিথ্যা তথ্য দেয়ার অভিযোগ উঠেছে দেবযানীর বিরুদ্ধে । যার বিরুদ্ধে এতো সব অভিযোগ তাকে রক্ষার চেষ্টাই শুধু নয় ,জাতিসংঘ মিশনে তাকে বদলী ও করা হয় ।
ফেলানি আর দেবযানী এই দু'জনের অপরাধ , আনীত অভিযোগ , বিচার , সংশ্লিষ্ট পক্ষ গুলোর পদক্ষেপ, পক্ষপাতিত্ব যেকোনো বিবেকবান মানুষকে বিচলিত করবে। কখনও ছিচকা চোরের অপরাধ আর "white-collar criminal " এর অপরাধ এক হতে পারেনা।
অথচ ছিচকা চোর এর ফাঁসি হয় আর "white-collar criminal " রা সম্মানিত হয়। দেবযানী আর ফেলানি এই দুজনের প্রতি আচরন দেখে আজ নতুন করে "white-collar criminal "এর সম্পকে দেখতে বসেছিলাম। পাঠকের সাথে কপি-পেস্ট করে শেয়ার করলাম সেটা ----
White-Collar Crime: an overview
The phrase "white-collar crime" was coined in 1939 during a speech given by Edwin Sutherland to the American Sociological Society. Sutherland defined the term as "crime committed by a person of respectability and high social status in the course of his occupation." Although there has been some debate as to what qualifies as a white-collar crime, the term today generally encompasses a variety of nonviolent crimes usually committed in commercial situations for financial gain. Many white-collar crimes are especially difficult to prosecute because the perpetrators use sophisticated means to conceal their activities through a series of complex transactions. The most common white-collar offenses include: antitrust violations, computer and internet fraud, credit card fraud, phone and telemarketing fraud, bankruptcy fraud, healthcare fraud, environmental law violations, insurance fraud, mail fraud, government fraud, tax evasion, financial fraud, securities fraud, insider trading, bribery, kickbacks, counterfeiting, public corruption, money laundering, embezzlement, economic espionage and trade secret theft. According to the Federal Bureau of Investigation, white-collar crime is estimated to cost the United States more than $300 billion annually. Although typically the government charges individuals for white-collar crimes, the government has the power to sanction corporations as well for these offenses. The penalties for white-collar offenses include fines, home detention, community confinement, paying the cost of prosecution, forfeitures, restitution, supervised release, and imprisonment. However, sanctions can be lessened if the defendant takes responsibility for the crime and assists the authorities in their investigation. Any defenses available to non-white-collar defendants in criminal court are also available to those accused of white-collar crimes. A common refrain of individuals or organizations facing white-collar criminal charges is the defense of entrapment. For instance, in United States v. Williams, 705 F.2d 603 (2nd Cir. 1983), one of the cases arising from "Operation Abscam," Senator Harrison Williams attempted unsuccessfully to argue that the government induced him into accepting a bribe.
Both state and federal legislation enumerate the activities that constitute white-collar criminal offenses. The Commerce Clause of the U.S. Constitution gives the federal government the authority to regulate white-collar crime, and a number of federal agencies (see sidebar), including the FBI, the Internal Revenue Service, the Secret Service, U.S. Customs, the Environmental Protection Agency, and the Securities and Exchange Commission, participate in the enforcement of federal white-collar crime legislation. In addition, most states employ their own agencies to enforce white-collar crime laws at the state level. Click This Link
white-collar criminal রা সব দেশেই রক্ষাকবচ পায়। ফেলানির মত দরিদ্ররা আনীত অভিযোগে জীবন দেয়।
তাঁদের প্রতি বিচার টুকু পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়না। আর দেবযানীরা থাকে সকল ধরা ছোঁয়ার বাইরে। বাংলাদেশ কি শিক্ষা নেবে দেবযানীর ঘটনা হতে ????? ভারত কি কখনও বোঝার চেষ্টা করবে গুলিবিদ্ধ কিশোরী ফেলানির লাশ কাঁটাতারে ঝুলে থাকতে দেখে আমাদের কেমন লেগেছিল ?????
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।