আমাদের কথা খুঁজে নিন

   

ডিভি লটারী বিষয়ক মিথ

যখন বিকাল হতে থাকে, হতে হতে সূর্যটা ঢলে পড়ে, পড়তে থাকে

কথিত আছে এই লটারী একই বিল্ডিং এ দ্বিতীয়বার পতিত হয় না। একই পরিবারেও নয়। এজন্য কোন ফ্লাটের কেউ এই লটারী পেলে প্রতিবেশীরা বাসা পরিবর্তন করে থাকে। আরো নৈরাশ্যবাদীরা বলে থাকেন একই সড়কে দ্বিতীয়বার এই লটারীর দেখা মেলা ভার। এই সব সাধারণভাবে প্রযোজ্য।

তবে সবচেয়ে দূর্ভাগ্যবানরা নাকি ডিভির খবর জানতে পারেন সময় শেষ হবার পরে। এবং সৌভাগ্যবান দ্বিতীয়বারও পেয়ে যান। সৌভাগ্যবান এমন একজন হলেন আমাদের শিশির ভাই। ২০০২ সালে যখন তিনি ডিভির জন্য এপ্লাই করেন তখন তার স্ত্রীর সাথে সুসম্পর্ক ছিল। কিন্তু লটারীর চিঠিটা যেদিন এলো তার ঠিক আগের দিন তাদের ডিভোর্স হয়ে যায়।

এবং পরবর্তীতে প্রাক্তন স্ত্রীর কোন এক কারসাজীতে শিশির ভাই আর ইন্টারভিউতে টেকেন নাই। এত বড় একটা সুযোগ হাত ছাড়া হবার পরে ভদ্রলোক এক প্রকার পাগল হয়ে যান, খাওয়া দাওয়া ছেড়ে প্রায় বিবাগী হয়ে ওঠেন। সবাই যখন তাকে নিয়ে হতাশ হয়ে ওঠেন ঠিক তখনই ২০০৪/০৫ আবার তিনি ডিভি পেয়ে যান। একই ব্যক্তির দুইবার ডিভি প্রাপ্তি আমার জানামতে একমাত্র তারই। দূর্ভাগ্যজনক হলো শাহীন ভাইয়ের কপাল।

২০০৫ এ যখন তার ডিভির বিশাল এনভেলাপ বাসায় দিয়ে যায় একমাত্র মা ছিলেন ঘরে। তিনি অতশত না বুঝে সেটা টেবিলে ফেলে রাখেন। এরপর কাজের বুয়া ঘর পরিষ্কার করার সময় সেটাকে রাখেন পত্রিকার স্তুপের উপর। এরপরে তার উপরে পেপার জমতে থাকে। এবং এভাবেই দুই বছর পেপার জমতে থাকে ডিভির লেটারের উপরে।

দুই/আড়াই বছর পরে সেই পত্রিকা যখন বিক্রির জন্য শাহীন ভাই বের করেন তখন খুঁজে পান তার নামে আসা ডিভি। মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকা ছাড়া তার আর কিছুই করার ছিল না তখন।

অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।