বাঙ্গালি জাতির উন্নতি নেই, কারন আমরা কখনই কার প্রতি মন থেকে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করিনা। আজ সকালের সংবাদ শুনেএই লেখাটার জন্য অনুপ্রানিত হলাম। গত সিডরের সময় বরিশালে ছিলাম । তাই সিডরের ভয়াল সব চিএ দেখার সুযোগ হয়েছিল। ভোরের দিকে মোটামুটি প্রকৃতি শান্ত হলে সকালে বের হই মোটরসাইকেল নিয়ে।
গন্তব্য পিরোজপুর এর দিকে। টেলিযোগাযোগ সম্পুর্ন বিচ্ছন্ন। আমাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে সেলফোন নেটওয়ার্ক রিস্টোরড করার জন্য। মোটরসাইকেল নিয়ে কিলো দুই যাওয়ার পর দেখি মোটরসাইকেল তো দুরের কথা পায়ে হেটে যাওয়ার পথ নেই। যা হোক মোটামুটি তিনদিন পর প্রধান প্রধান রাস্তাগুলো ঠিক হলে ত্রান এবং ত্রানকর্মীরা আসতে শুরু করে।
সারাদেশ থেকে ত্রান আসতেছে, বিদেশ থেকেও ত্রান এবং ত্রানকর্মীরা আসতেছে। এতটাই ত্রান এসেছিল যে এর আগে এত ত্রান কেউ দেখেনি এবং পায়নি। দেশি ও মার্কিন সেনারা সর্বাতক চেষ্টা করে ত্রান পৌছে দিয়েছিল। রান্নাবান্নার সামগ্রী থেকে শুরু করে রান্না করে খাওয়ার জন্য উন্নতমানের তেল পর্যন্ত দিয়েছিল। শীত এর কাপড়, কম্বল পর্যাপ্ত পেয়েছিল।
একজনই কমপক্ষে ৪-৫ টা করে সেট পেয়েছিল। এতটাই ত্রান পেয়েছে যে ৬ মাস পর্যন্ত কাজের লোক পাওয়া যায়নি। কাজ করতে বললে বলত "কাজ করমু ক্যান ইউনিয়ন পরিষদে বইয়্যা থাইক্যা যদি ১০ কেজি চাল পাই" আমার মনে হয় তারা পত্যেকে ৬ মাসের করে চাল, ডাল তেল মজুদ করে রেখেছিল। অথচ আজ সকালের খবরে দেখলাম লোকজন অভিযোগ করে বলতেছে ওনারা কিছুই পায়নি। অথচ আপনারা না দেখলে বিশ্বাস করবেন না যে সিডর এলাকার লোকজন রে যে পরিমাণ সাহায্য দাতা সংস্হা, সরকার, ঢাকা এবং সারাদেশের বিভিন্ন পেশার লোকজন করেছে তা দিয়ে অনায়াসে ৬ মাস কেটে গেছে।
জমি চাষ এর জন্য ট্রাক্টর ও ধানের চারা রোপনের জন্য মেশিন দিয়েছিল। হায়রে বাঙ্গালি জাতি বিচিএ সেলুকাস আমরা । আল্লাহর নেয়ামত স্বীকার করি না দেখেই আজ এই অবস্থা ।
।
অনলাইনে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কথা গুলোকেই সহজে জানবার সুবিধার জন্য একত্রিত করে আমাদের কথা । এখানে সংগৃহিত কথা গুলোর সত্ব (copyright) সম্পূর্ণভাবে সোর্স সাইটের লেখকের এবং আমাদের কথাতে প্রতিটা কথাতেই সোর্স সাইটের রেফারেন্স লিংক উধৃত আছে ।